শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার পর কর্মসূচি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত, প্রোভিসি মামুন আহমেদের পদত্যাগের দাবি
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা ঘোষণা করা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে। পূর্বে ঘোষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল বন্ধ এবং নিউ মার্কেট থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি থেকে তারা সরে এসেছে। মঙ্গলবার বিকেলে সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. মুঈনুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "ঢাকা কলেজের সামনে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলতে না দেওয়া এবং নিউ মার্কেট থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি আমরা প্রত্যাহার করেছি।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন করছিলেন। তাদের দাবি ছিল, সাত কলেজকে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। গত রোববার সন্ধ্যায়, পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি মামুন আহমেদের সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে অভিযোগ ওঠে যে, তিনি আন্দোলনকারীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন।
এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ হিসেবে শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব, ও টেকিনিক্যাল মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে মিছিল নিয়ে প্রোভিসি মামুন আহমেদের বাসভবনের দিকে রওনা হন। এই মিছিলটি নীলক্ষেত মোড় হয়ে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং তাদের হামলার বিচার দাবি করেন। তারা ঘোষণা দেন, সোমবার সকাল ৯টা থেকে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করা হবে।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান সাত কলেজের আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজের শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম ২০২৪-২৫ সেশন থেকে বন্ধ হবে।
অপরদিকে, মুঈনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি মামুন আহমেদকে পদত্যাগ করতে হবে। ঢাকার সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় নিউ মার্কেট থানার দায়ী কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছি।"
এছাড়া, শিক্ষার্থীরা আরও দাবির মধ্যে রাকিবসহ আহত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার এবং প্রোভিসি মামুন আহমেদের পদত্যাগসহ কিছু বিষয় দাবি করেন। সরকার তিন দিনের মধ্যে হামলার তদন্ত করতে সময় নিয়েছে বলে জানান।
ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন মৌ বলেন, "আমাদের দাবির মধ্যে একটি দাবি পূর্ণ হয়েছে, বাকি দাবির জন্যও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আমরা আশাবাদী, আমাদের দাবি আরও ফলপ্রসূ হবে।"
তবে মুঈনুল ইসলাম উল্লেখ করেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আর কোনো সমস্যা হবে না। আমরা সব কিছু শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে চাই।"
এই পরিস্থিতিতে, ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন শিক্ষাবর্ষে সেশন জট না হওয়ার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাসও দেন তারা।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার পর কর্মসূচি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত, প্রোভিসি মামুন আহমেদের পদত্যাগের দাবি
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা ঘোষণা করা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে। পূর্বে ঘোষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল বন্ধ এবং নিউ মার্কেট থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি থেকে তারা সরে এসেছে। মঙ্গলবার বিকেলে সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. মুঈনুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "ঢাকা কলেজের সামনে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলতে না দেওয়া এবং নিউ মার্কেট থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি আমরা প্রত্যাহার করেছি।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন করছিলেন। তাদের দাবি ছিল, সাত কলেজকে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। গত রোববার সন্ধ্যায়, পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি মামুন আহমেদের সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে অভিযোগ ওঠে যে, তিনি আন্দোলনকারীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন।
এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ হিসেবে শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাব, ও টেকিনিক্যাল মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে মিছিল নিয়ে প্রোভিসি মামুন আহমেদের বাসভবনের দিকে রওনা হন। এই মিছিলটি নীলক্ষেত মোড় হয়ে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং তাদের হামলার বিচার দাবি করেন। তারা ঘোষণা দেন, সোমবার সকাল ৯টা থেকে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করা হবে।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান সাত কলেজের আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজের শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম ২০২৪-২৫ সেশন থেকে বন্ধ হবে।
অপরদিকে, মুঈনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি মামুন আহমেদকে পদত্যাগ করতে হবে। ঢাকার সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় নিউ মার্কেট থানার দায়ী কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছি।"
এছাড়া, শিক্ষার্থীরা আরও দাবির মধ্যে রাকিবসহ আহত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার এবং প্রোভিসি মামুন আহমেদের পদত্যাগসহ কিছু বিষয় দাবি করেন। সরকার তিন দিনের মধ্যে হামলার তদন্ত করতে সময় নিয়েছে বলে জানান।
ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন মৌ বলেন, "আমাদের দাবির মধ্যে একটি দাবি পূর্ণ হয়েছে, বাকি দাবির জন্যও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আমরা আশাবাদী, আমাদের দাবি আরও ফলপ্রসূ হবে।"
তবে মুঈনুল ইসলাম উল্লেখ করেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আর কোনো সমস্যা হবে না। আমরা সব কিছু শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে চাই।"
এই পরিস্থিতিতে, ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন শিক্ষাবর্ষে সেশন জট না হওয়ার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাসও দেন তারা।