ইউক্রেন ও রাশিয়ার চলমান যুদ্ধে বৈশ্বিক সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর ওপরও আক্রমণ হতে পারে। ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেন সম্প্রতি রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে। এর পাল্টায় গত বৃহস্পতিবার রাশিয়া ইউক্রেনের নিপ্রো শহরে নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্পর্কে রুশ প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, সেটি একটি মধ্যপাল্লার হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। পুতিন দাবি করেছেন, এটি পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বলছে, এটি মধ্যপাল্লার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা ৫,৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
রাশিয়ার হামলার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ন্যাটোও ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও ন্যাটোর একজন মুখপাত্র মনে করেন, এই হামলা যুদ্ধের গতিপথ পরিবর্তন করতে পারবে না। আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলসে ন্যাটো ও ইউক্রেনের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা হবে।
এদিকে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা দোনেৎস্ক অঞ্চলের দালনে গ্রাম দখলে নিয়েছে। যদিও ইউক্রেন এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। সেখানে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে।
আসন্ন শীতের আগে রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু করেছে। শুক্রবার সুমি শহরে ড্রোন হামলায় বেশ কিছু ভবন ও যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এতে দুজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন।
রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করেছিল, প্রথমে রাজধানী কিয়েভ দখল করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। এরপর তারা মূলত পূর্বাঞ্চলের দনবাস অঞ্চলে মনোযোগ দেয়। বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
ইউক্রেন ও রাশিয়ার চলমান যুদ্ধে বৈশ্বিক সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর ওপরও আক্রমণ হতে পারে। ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেন সম্প্রতি রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে। এর পাল্টায় গত বৃহস্পতিবার রাশিয়া ইউক্রেনের নিপ্রো শহরে নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্পর্কে রুশ প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, সেটি একটি মধ্যপাল্লার হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। পুতিন দাবি করেছেন, এটি পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বলছে, এটি মধ্যপাল্লার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা ৫,৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
রাশিয়ার হামলার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ন্যাটোও ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও ন্যাটোর একজন মুখপাত্র মনে করেন, এই হামলা যুদ্ধের গতিপথ পরিবর্তন করতে পারবে না। আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলসে ন্যাটো ও ইউক্রেনের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা হবে।
এদিকে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা দোনেৎস্ক অঞ্চলের দালনে গ্রাম দখলে নিয়েছে। যদিও ইউক্রেন এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। সেখানে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে।
আসন্ন শীতের আগে রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু করেছে। শুক্রবার সুমি শহরে ড্রোন হামলায় বেশ কিছু ভবন ও যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এতে দুজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন।
রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করেছিল, প্রথমে রাজধানী কিয়েভ দখল করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। এরপর তারা মূলত পূর্বাঞ্চলের দনবাস অঞ্চলে মনোযোগ দেয়। বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।