যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক জন র্যাটক্লিফ জানিয়েছেন, মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের একাধিক পারমাণবিক স্থাপনা ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। এতে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি কয়েক বছর পিছিয়ে গেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, র্যাটক্লিফের এই বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার এক ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনের বিপরীত, যেখানে বলা হয়েছিল— এই হামলার পর ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি শুধু ‘কয়েক মাস’ পিছিয়েছে। প্রতিবেদনের এমন মূল্যায়নে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হন।
সিআইএ প্রধান বলেন, “আমাদের হাতে নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য আছে, যা ইঙ্গিত করে— ইরানের বেশ কয়েকটি স্থাপনায় এমন ক্ষতি হয়েছে, যা পুনর্গঠনে অনেক বছর লেগে যেতে পারে।”
তবে র্যাটক্লিফ সরাসরি বলেননি যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর প্রতিক্রিয়ায় দাবি করেন, “ইরানের স্থাপনাগুলো পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়েছে।” তিনি ফাঁস হওয়া প্রাথমিক মূল্যায়নকে ‘ভুয়া’ উল্লেখ করে বলেন, “মিডিয়া তথ্য ছাড়াই বিভ্রান্তিকর খবর ছড়াচ্ছে।”
ট্রাম্প আরও জানান, হামলার বিস্তারিত তুলে ধরতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং সামরিক কর্মকর্তারা একটি বিশেষ সংবাদ সম্মেলন করবেন।
স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, ফোরদো এবং ইস্পাহানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর প্রবেশপথে বড় গর্তের চিহ্ন রয়েছে। তবে ভূগর্ভস্থ ক্ষতি সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ’র প্রধান রাফায়েল গ্রসি বলেন, “হামলার আগেই ইরান হয়তো তাদের ইউরেনিয়ামের বড় একটি অংশ অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছিল।”
ইসরায়েলের পারমাণবিক শক্তি কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “ফোরদোতে স্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে এবং ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা বহুবছর পিছিয়ে গেছে।”
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি হামলায় স্থাপনাগুলোর ক্ষতি স্বীকার করলেও বিস্তারিত তথ্য দেননি। তবে ইরানের সংসদীয় উপদেষ্টা মেহেদী মোহাম্মাদি বলেন, “ফোরদোতে কোনো অপূরণীয় ক্ষতি হয়নি।”
ইরান এখনও দাবি করে আসছে যে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ। তবে এই সংঘাত ও হামলা ইঙ্গিত দিচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক জন র্যাটক্লিফ জানিয়েছেন, মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের একাধিক পারমাণবিক স্থাপনা ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। এতে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি কয়েক বছর পিছিয়ে গেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, র্যাটক্লিফের এই বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার এক ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনের বিপরীত, যেখানে বলা হয়েছিল— এই হামলার পর ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি শুধু ‘কয়েক মাস’ পিছিয়েছে। প্রতিবেদনের এমন মূল্যায়নে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হন।
সিআইএ প্রধান বলেন, “আমাদের হাতে নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য আছে, যা ইঙ্গিত করে— ইরানের বেশ কয়েকটি স্থাপনায় এমন ক্ষতি হয়েছে, যা পুনর্গঠনে অনেক বছর লেগে যেতে পারে।”
তবে র্যাটক্লিফ সরাসরি বলেননি যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর প্রতিক্রিয়ায় দাবি করেন, “ইরানের স্থাপনাগুলো পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়েছে।” তিনি ফাঁস হওয়া প্রাথমিক মূল্যায়নকে ‘ভুয়া’ উল্লেখ করে বলেন, “মিডিয়া তথ্য ছাড়াই বিভ্রান্তিকর খবর ছড়াচ্ছে।”
ট্রাম্প আরও জানান, হামলার বিস্তারিত তুলে ধরতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং সামরিক কর্মকর্তারা একটি বিশেষ সংবাদ সম্মেলন করবেন।
স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, ফোরদো এবং ইস্পাহানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর প্রবেশপথে বড় গর্তের চিহ্ন রয়েছে। তবে ভূগর্ভস্থ ক্ষতি সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ’র প্রধান রাফায়েল গ্রসি বলেন, “হামলার আগেই ইরান হয়তো তাদের ইউরেনিয়ামের বড় একটি অংশ অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছিল।”
ইসরায়েলের পারমাণবিক শক্তি কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “ফোরদোতে স্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে এবং ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা বহুবছর পিছিয়ে গেছে।”
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি হামলায় স্থাপনাগুলোর ক্ষতি স্বীকার করলেও বিস্তারিত তথ্য দেননি। তবে ইরানের সংসদীয় উপদেষ্টা মেহেদী মোহাম্মাদি বলেন, “ফোরদোতে কোনো অপূরণীয় ক্ষতি হয়নি।”
ইরান এখনও দাবি করে আসছে যে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ। তবে এই সংঘাত ও হামলা ইঙ্গিত দিচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে।