ইরানের রাজধানী তেহরান ও নাতাঞ্জ শহরসহ বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের চালানো প্রাণঘাতী হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। দেশটির সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েলকে এর চড়া মূল্য দিতে হবে।
শুক্রবার ভোররাতে ইরানের বেশ কয়েকটি স্থানে এই হামলা চালানো হয়। রাজধানী তেহরানে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের (বিপ্লবী গার্ড) সদর দপ্তরেও হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। এতে বিপ্লবী গার্ডের প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি এবং পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান ফারেদুন আব্বাসি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের মুখপাত্র আবুলফজল শেখারচি বলেন, “জায়নবাদী এই হামলার জবাব অবশ্যই দেবে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী। ইসরায়েলকে হামলার চড়া মূল্য দিতে হবে এবং কঠোর জবাবের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”
রয়টার্সকে দেওয়া এক মন্তব্যে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর এক সূত্র বলেন, “ইসরায়েলের হামলার জবাব হবে কঠোর এবং ফলাফল নির্ধারণকারী। এর বিস্তারিত এখন সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে।”
ইরানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, তেহরানজুড়ে ৬ থেকে ৯টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। হামলা হয়েছে আবাসিক ভবনেও। আল-জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণের শব্দ তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও শোনা গেছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামলার দায় স্বীকার করে বলেছেন, “নাতাঞ্জ শহরে অবস্থিত ইরানের প্রধান পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে আমাদের হামলার লক্ষ্য ছিল, ইরানের যেসব বিজ্ঞানী পারমাণবিক বোমা তৈরিতে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের থামানো। যতদিন প্রয়োজন, ততদিন এ ধরনের হামলা চলবে।”
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ জানিয়েছেন, তারা ইরানে ‘আগাম প্রতিরোধমূলক’ হামলা চালিয়েছে।
হামলার পরপরই ইসরায়েলজুড়ে ‘বিশেষ জরুরি অবস্থা’ জারি করেছে নেতানিয়াহু সরকার। এর আগে ২০২১ সালের এপ্রিলে নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় সাইবার হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছিল ইরান।
শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
ইরানের রাজধানী তেহরান ও নাতাঞ্জ শহরসহ বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের চালানো প্রাণঘাতী হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। দেশটির সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েলকে এর চড়া মূল্য দিতে হবে।
শুক্রবার ভোররাতে ইরানের বেশ কয়েকটি স্থানে এই হামলা চালানো হয়। রাজধানী তেহরানে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের (বিপ্লবী গার্ড) সদর দপ্তরেও হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। এতে বিপ্লবী গার্ডের প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি এবং পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান ফারেদুন আব্বাসি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের মুখপাত্র আবুলফজল শেখারচি বলেন, “জায়নবাদী এই হামলার জবাব অবশ্যই দেবে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী। ইসরায়েলকে হামলার চড়া মূল্য দিতে হবে এবং কঠোর জবাবের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”
রয়টার্সকে দেওয়া এক মন্তব্যে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর এক সূত্র বলেন, “ইসরায়েলের হামলার জবাব হবে কঠোর এবং ফলাফল নির্ধারণকারী। এর বিস্তারিত এখন সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে।”
ইরানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, তেহরানজুড়ে ৬ থেকে ৯টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। হামলা হয়েছে আবাসিক ভবনেও। আল-জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণের শব্দ তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও শোনা গেছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামলার দায় স্বীকার করে বলেছেন, “নাতাঞ্জ শহরে অবস্থিত ইরানের প্রধান পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে আমাদের হামলার লক্ষ্য ছিল, ইরানের যেসব বিজ্ঞানী পারমাণবিক বোমা তৈরিতে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের থামানো। যতদিন প্রয়োজন, ততদিন এ ধরনের হামলা চলবে।”
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ জানিয়েছেন, তারা ইরানে ‘আগাম প্রতিরোধমূলক’ হামলা চালিয়েছে।
হামলার পরপরই ইসরায়েলজুড়ে ‘বিশেষ জরুরি অবস্থা’ জারি করেছে নেতানিয়াহু সরকার। এর আগে ২০২১ সালের এপ্রিলে নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় সাইবার হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছিল ইরান।