ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে এখনই হত্যা করার পরিকল্পনা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। তবে তাঁর ভাষায়, “আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।”
মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একাধিক পোস্টে ইরানকে কেন্দ্র করে কড়া বার্তা দেন ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র জানে খামেনি কোথায় লুকিয়ে আছেন এবং তাঁকে টার্গেট করাও "খুব সহজ"।
ট্রাম্প লেখেন, “তিনি (খামেনি) সহজ লক্ষ্যবস্তু, তবে সেখানে নিরাপদ আছেন। আমরা তাকে অপসারণ করব না, অন্তত এখনই না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই না বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বা আমাদের সেনাদের লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হোক। তবে আমাদের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে।”
এর আগে আরেক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “আমরা এখন ইরানের আকাশ পুরোপুরি এবং সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি।”
তবে তাঁর এই দাবি নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিতর্ক চলছে, কারণ এখন পর্যন্ত এ ধরনের নিয়ন্ত্রণের কোনো নিরপেক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এই পোস্টের কিছুক্ষণ পরই ট্রাম্প ইরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’-এর আহ্বান জানান। তিনি লিখেন, “UNCONDITIONAL SURRENDER”—বড় হাতের অক্ষরে এই বার্তাটি স্পষ্ট করে দেন।
ট্রাম্প আরও বলেন, ইরানের নাগরিকদের অবিলম্বে রাজধানী তেহরান ছেড়ে দেওয়া উচিত। তার এই বার্তার পরপরই ইসরায়েলও তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে সতর্কতা জারি করে।
এই পরিস্থিতিতে ইরানের সামরিক প্রধান মেজর জেনারেল আবদুররহিম মুসাভি একটি ভিডিও বার্তায় জানান, তাদের আক্রমণ ছিল ‘সতর্কতামূলক’, তবে ‘শাস্তিমূলক অভিযান’ খুব শিগগিরই শুরু হতে পারে। তিনি তেল আবিব ও হাইফার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
ট্রাম্পের বার্তার প্রতিক্রিয়ায় ইরানিদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়েছে। বিবিসি জানায়, অনেক সাধারণ নাগরিক ট্রাম্পের বক্তব্যে উদ্বিগ্ন।
একজন বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “শহর খালি করা—এর মানে কী? আমরা যাব কোথায়? কিভাবে যাব? এটা কী ধরনের কাণ্ডজ্ঞানহীন কথা?”
আরেকজন জানান, তিন দিন ধরে তিনি তার বাবা-মায়ের কণ্ঠস্বরও শুনতে পাননি। প্রতিবার হামলার শব্দ শুনি, মনে হয় সব শেষ। আমার মা-বাবার কোনো খবর পাচ্ছি না। ইন্টারনেটও কাজ করছে না।
ইউরোপে অধ্যয়নরত এক ইরানি শিক্ষার্থী জানান, “পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা আমাদের শেষ করে দিচ্ছে। যদি আকাশসীমা খোলা থাকতো, অনেকেই এখনই ফিরে যেত।”
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ছবি: রয়টার্স
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে এখনই হত্যা করার পরিকল্পনা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। তবে তাঁর ভাষায়, “আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।”
মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একাধিক পোস্টে ইরানকে কেন্দ্র করে কড়া বার্তা দেন ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র জানে খামেনি কোথায় লুকিয়ে আছেন এবং তাঁকে টার্গেট করাও "খুব সহজ"।
ট্রাম্প লেখেন, “তিনি (খামেনি) সহজ লক্ষ্যবস্তু, তবে সেখানে নিরাপদ আছেন। আমরা তাকে অপসারণ করব না, অন্তত এখনই না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই না বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বা আমাদের সেনাদের লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হোক। তবে আমাদের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে।”
এর আগে আরেক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “আমরা এখন ইরানের আকাশ পুরোপুরি এবং সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি।”
তবে তাঁর এই দাবি নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিতর্ক চলছে, কারণ এখন পর্যন্ত এ ধরনের নিয়ন্ত্রণের কোনো নিরপেক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এই পোস্টের কিছুক্ষণ পরই ট্রাম্প ইরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’-এর আহ্বান জানান। তিনি লিখেন, “UNCONDITIONAL SURRENDER”—বড় হাতের অক্ষরে এই বার্তাটি স্পষ্ট করে দেন।
ট্রাম্প আরও বলেন, ইরানের নাগরিকদের অবিলম্বে রাজধানী তেহরান ছেড়ে দেওয়া উচিত। তার এই বার্তার পরপরই ইসরায়েলও তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে সতর্কতা জারি করে।
এই পরিস্থিতিতে ইরানের সামরিক প্রধান মেজর জেনারেল আবদুররহিম মুসাভি একটি ভিডিও বার্তায় জানান, তাদের আক্রমণ ছিল ‘সতর্কতামূলক’, তবে ‘শাস্তিমূলক অভিযান’ খুব শিগগিরই শুরু হতে পারে। তিনি তেল আবিব ও হাইফার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
ট্রাম্পের বার্তার প্রতিক্রিয়ায় ইরানিদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়েছে। বিবিসি জানায়, অনেক সাধারণ নাগরিক ট্রাম্পের বক্তব্যে উদ্বিগ্ন।
একজন বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “শহর খালি করা—এর মানে কী? আমরা যাব কোথায়? কিভাবে যাব? এটা কী ধরনের কাণ্ডজ্ঞানহীন কথা?”
আরেকজন জানান, তিন দিন ধরে তিনি তার বাবা-মায়ের কণ্ঠস্বরও শুনতে পাননি। প্রতিবার হামলার শব্দ শুনি, মনে হয় সব শেষ। আমার মা-বাবার কোনো খবর পাচ্ছি না। ইন্টারনেটও কাজ করছে না।
ইউরোপে অধ্যয়নরত এক ইরানি শিক্ষার্থী জানান, “পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা আমাদের শেষ করে দিচ্ছে। যদি আকাশসীমা খোলা থাকতো, অনেকেই এখনই ফিরে যেত।”