ছবি: সংগৃহিত
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় ‘ন্যূনতম প্রয়োজনীয়’ খাবার সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হবে, যাতে মানবিক সংকট না বাড়ে। তবে ইসরায়েলি বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করেছে তারা।
রোববার নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, গাজার উত্তর ও দক্ষিণে ‘বিস্তৃত স্থল অভিযান’ শুরুর পরও তারা খাবার ও অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হামাসকে পরাজিত করতে তীব্র লড়াই জারি রাখার পাশাপাশি বেসামরিক জনগণের জন্য ন্যূনতম সহায়তা নিশ্চিত করা হবে।’
জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা OCHA-র মুখপাত্র ইরি কানেকো জানান, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সীমিত সহায়তা পুনরায় শুরু করার কথা জানিয়েছে। তবে লজিস্টিকস নিয়ে আলোচনা এখনও চলছে।
গাজায় ভয়াবহ মানবিক সংকট
ইসরায়েলের নতুন এই ঘোষণার আগ পর্যন্ত গাজায় খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির প্রবেশে কঠোর অবরোধ ছিল। গত মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল কিছু ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দিলেও গাজার পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মুখপাত্র খলিল আল-দেকরান রয়টার্সকে বলেন, ‘বোমাবর্ষণে অনেক পরিবারের সব সদস্য নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।’
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দাই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, নিহতের সংখ্যা ৫৩ হাজারের বেশি।
কাতার আলোচনায় অচলাবস্থা
ইসরায়েলের এই ঘোষণার আগে কাতারে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ শান্তি আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। হামাস যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির দাবি জানালেও ইসরায়েল হামাসের সম্পূর্ণ অস্ত্র সমর্পণের শর্তে রাজি নয়।
হামাসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘ইসরায়েলের অবস্থান অপরিবর্তিত—তারা যুদ্ধ বন্ধের কোনো প্রতিশ্রুতি ছাড়াই শুধু জিম্মি মুক্তি চাইছে।’ অন্যদিকে, ইসরায়েলি এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আলোচনায় এখনও কোনো অগ্রগতি নেই।
ইসরায়েলের সামরিক অভিযান অব্যাহত
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, গাজার বিভিন্ন এলাকায় ‘গিদিয়নের রথ’ অভিযানের অংশ হিসেবে গত এক সপ্তাহে ৬৭০টিরও বেশি হামাস লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। তাদের দাবি, এতে কয়েক ডজন হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
এদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইঙ্গিত দিয়েছে যে দোহায় কোনো চুক্তি হলে তারা গাজায় অভিযানের তীব্রতা কমাতে পারে। তবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল ও হামাসের সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের অভিযান চলবে বলে জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ
গাজায় দুর্ভিক্ষ ও মানবিক বিপর্যয় রোধে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন দেশ ইসরায়েলের ওপর অবরোধ শিথিল করার চাপ বাড়াচ্ছে। তবে ইসরায়েলের বক্তব্য, হামাসকে দুর্বল না করে তারা কোনো স্থায়ী শান্তি চায় না।।
ছবি: সংগৃহিত
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় ‘ন্যূনতম প্রয়োজনীয়’ খাবার সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হবে, যাতে মানবিক সংকট না বাড়ে। তবে ইসরায়েলি বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করেছে তারা।
রোববার নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, গাজার উত্তর ও দক্ষিণে ‘বিস্তৃত স্থল অভিযান’ শুরুর পরও তারা খাবার ও অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হামাসকে পরাজিত করতে তীব্র লড়াই জারি রাখার পাশাপাশি বেসামরিক জনগণের জন্য ন্যূনতম সহায়তা নিশ্চিত করা হবে।’
জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা OCHA-র মুখপাত্র ইরি কানেকো জানান, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সীমিত সহায়তা পুনরায় শুরু করার কথা জানিয়েছে। তবে লজিস্টিকস নিয়ে আলোচনা এখনও চলছে।
গাজায় ভয়াবহ মানবিক সংকট
ইসরায়েলের নতুন এই ঘোষণার আগ পর্যন্ত গাজায় খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির প্রবেশে কঠোর অবরোধ ছিল। গত মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল কিছু ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দিলেও গাজার পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মুখপাত্র খলিল আল-দেকরান রয়টার্সকে বলেন, ‘বোমাবর্ষণে অনেক পরিবারের সব সদস্য নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।’
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দাই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, নিহতের সংখ্যা ৫৩ হাজারের বেশি।
কাতার আলোচনায় অচলাবস্থা
ইসরায়েলের এই ঘোষণার আগে কাতারে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ শান্তি আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। হামাস যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির দাবি জানালেও ইসরায়েল হামাসের সম্পূর্ণ অস্ত্র সমর্পণের শর্তে রাজি নয়।
হামাসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘ইসরায়েলের অবস্থান অপরিবর্তিত—তারা যুদ্ধ বন্ধের কোনো প্রতিশ্রুতি ছাড়াই শুধু জিম্মি মুক্তি চাইছে।’ অন্যদিকে, ইসরায়েলি এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আলোচনায় এখনও কোনো অগ্রগতি নেই।
ইসরায়েলের সামরিক অভিযান অব্যাহত
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, গাজার বিভিন্ন এলাকায় ‘গিদিয়নের রথ’ অভিযানের অংশ হিসেবে গত এক সপ্তাহে ৬৭০টিরও বেশি হামাস লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। তাদের দাবি, এতে কয়েক ডজন হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
এদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইঙ্গিত দিয়েছে যে দোহায় কোনো চুক্তি হলে তারা গাজায় অভিযানের তীব্রতা কমাতে পারে। তবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল ও হামাসের সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের অভিযান চলবে বলে জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ
গাজায় দুর্ভিক্ষ ও মানবিক বিপর্যয় রোধে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন দেশ ইসরায়েলের ওপর অবরোধ শিথিল করার চাপ বাড়াচ্ছে। তবে ইসরায়েলের বক্তব্য, হামাসকে দুর্বল না করে তারা কোনো স্থায়ী শান্তি চায় না।।