ছবি: সংগৃহিত
ইসরায়েলের টানা বিমান হামলার মুখে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ চেয়েছে ইরান। দেশটির ভাষ্য, হামলা থামাতে হলে এটিই এখন ‘একমাত্র পথ’।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে বলেন, “যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সত্যিকারের কূটনীতি করতে চান এবং যুদ্ধ থামাতে আগ্রহী হন, তাহলে এখনই সময়। একটি ফোন কলই নেতানিয়াহুকে থামাতে পারে এবং কূটনীতির পথে ফিরে যাওয়ার দরজা খুলে দিতে পারে।”
রয়টার্সের খবরে জানা যায়, ইসরায়েলের বিমান হামলা আরও জোরালো হয়েছে। তবে পাল্টা জবাব হিসেবে ইরানও শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, যা তাদের ‘সফল পাল্টা আঘাত’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, “আমরা বিজয়ের পথে আছি।” তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করাই ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য।
সোমবার এক বিমানঘাঁটিতে সেনাদের উদ্দেশ্যে নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা তেহরানের বাসিন্দাদের বলছি—শহর ছেড়ে যান। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।”
রয়টার্স জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইরান মধ্যস্থতায় কাতার, সৌদি আরব ও ওমানকে অনুরোধ জানিয়েছে। একইসঙ্গে ইরান স্পষ্ট করেছে, যদি ট্রাম্প চান, তবে তাঁর প্রভাবেই ইসরায়েলকে এখন থামানো সম্ভব।
এর বিনিময়ে তেহরান পারমাণবিক আলোচনায় নমনীয়তা দেখাবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে আগে এক খবরে রয়টার্স বলেছিল, অস্ত্রবিরতির আলোচনায় ইরান অনিচ্ছুক ছিল এবং কাতার ও ওমানকে সেই বার্তাও দিয়েছিল।
সবশেষে, শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল ইরানের শীর্ষ সামরিক নেতৃত্ব ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের হত্যার মাধ্যমে ‘আচমকা’ অভিযান শুরু করে। এরপর থেকেই ইরানের আকাশপথে ইসরায়েলের দখল ও লাগাতার হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
ছবি: সংগৃহিত
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
ইসরায়েলের টানা বিমান হামলার মুখে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ চেয়েছে ইরান। দেশটির ভাষ্য, হামলা থামাতে হলে এটিই এখন ‘একমাত্র পথ’।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে বলেন, “যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সত্যিকারের কূটনীতি করতে চান এবং যুদ্ধ থামাতে আগ্রহী হন, তাহলে এখনই সময়। একটি ফোন কলই নেতানিয়াহুকে থামাতে পারে এবং কূটনীতির পথে ফিরে যাওয়ার দরজা খুলে দিতে পারে।”
রয়টার্সের খবরে জানা যায়, ইসরায়েলের বিমান হামলা আরও জোরালো হয়েছে। তবে পাল্টা জবাব হিসেবে ইরানও শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, যা তাদের ‘সফল পাল্টা আঘাত’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, “আমরা বিজয়ের পথে আছি।” তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করাই ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য।
সোমবার এক বিমানঘাঁটিতে সেনাদের উদ্দেশ্যে নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা তেহরানের বাসিন্দাদের বলছি—শহর ছেড়ে যান। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।”
রয়টার্স জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইরান মধ্যস্থতায় কাতার, সৌদি আরব ও ওমানকে অনুরোধ জানিয়েছে। একইসঙ্গে ইরান স্পষ্ট করেছে, যদি ট্রাম্প চান, তবে তাঁর প্রভাবেই ইসরায়েলকে এখন থামানো সম্ভব।
এর বিনিময়ে তেহরান পারমাণবিক আলোচনায় নমনীয়তা দেখাবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে আগে এক খবরে রয়টার্স বলেছিল, অস্ত্রবিরতির আলোচনায় ইরান অনিচ্ছুক ছিল এবং কাতার ও ওমানকে সেই বার্তাও দিয়েছিল।
সবশেষে, শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল ইরানের শীর্ষ সামরিক নেতৃত্ব ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের হত্যার মাধ্যমে ‘আচমকা’ অভিযান শুরু করে। এরপর থেকেই ইরানের আকাশপথে ইসরায়েলের দখল ও লাগাতার হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।