ইরানের বিভিন্ন শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর বহুমুখী হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ইসরায়েল ইতোমধ্যে দেশের চারপাশে ১০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান আইয়াল জামির।
শুক্রবার রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে জামির বলেন, "যে কেউ আমাদের চ্যালেঞ্জ করতে চাইবে, তাকে বড় মূল্য দিতে হবে। আমরা এমন একটি যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছি, যার মূল্য আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভিন্ন হতে পারে।"
তিনি আরও জানান, "ইসরায়েলের জনগণকে আমি শতভাগ সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। ইরানি শাসকগোষ্ঠী প্রতিশোধ নিতে যে কোনো মুহূর্তে হামলা চালাতে পারে। সেই হুমকি মোকাবিলায় আমাদের সেনাবাহিনী প্রস্তুত।"
জামির দাবি, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বহু আগে থেকেই এ ধরনের হামলার সম্ভাবনা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করছিল। "বাস্তব ও তাৎক্ষণিক হুমকি মোকাবিলায় সব শাখা একত্রে নজিরবিহীন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে", বলেন তিনি।
টাইমস অব ইসরায়েল পত্রিকাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে দেশটির এক অজ্ঞাতনামা সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার ইরানজুড়ে অন্তত পাঁচটি ধাপে শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে ইসরায়েল। আটটিরও বেশি শহরে এই হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে তেহরান, নাতানজ, কারাজ, ইসফাহান ও ইয়াজদ।
ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রাজধানী তেহরানে ৬ থেকে ৯টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। হামলার শিকার হয়েছে বেশ কিছু আবাসিক ভবনও, যার ফলে নারী ও শিশুসহ সাধারণ মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
এই হামলার কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের মুখপাত্র আবুলফজল শেখারচি বলেন, "জায়নবাদী এই হামলার জবাব অবশ্যই দেবে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী। ইসরায়েলকে তার হামলার চড়া মূল্য দিতে হবে এবং তাদের কঠোর জবাবের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।"
শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
ইরানের বিভিন্ন শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর বহুমুখী হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ইসরায়েল ইতোমধ্যে দেশের চারপাশে ১০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান আইয়াল জামির।
শুক্রবার রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে জামির বলেন, "যে কেউ আমাদের চ্যালেঞ্জ করতে চাইবে, তাকে বড় মূল্য দিতে হবে। আমরা এমন একটি যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছি, যার মূল্য আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভিন্ন হতে পারে।"
তিনি আরও জানান, "ইসরায়েলের জনগণকে আমি শতভাগ সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। ইরানি শাসকগোষ্ঠী প্রতিশোধ নিতে যে কোনো মুহূর্তে হামলা চালাতে পারে। সেই হুমকি মোকাবিলায় আমাদের সেনাবাহিনী প্রস্তুত।"
জামির দাবি, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বহু আগে থেকেই এ ধরনের হামলার সম্ভাবনা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করছিল। "বাস্তব ও তাৎক্ষণিক হুমকি মোকাবিলায় সব শাখা একত্রে নজিরবিহীন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে", বলেন তিনি।
টাইমস অব ইসরায়েল পত্রিকাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে দেশটির এক অজ্ঞাতনামা সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার ইরানজুড়ে অন্তত পাঁচটি ধাপে শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে ইসরায়েল। আটটিরও বেশি শহরে এই হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে তেহরান, নাতানজ, কারাজ, ইসফাহান ও ইয়াজদ।
ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রাজধানী তেহরানে ৬ থেকে ৯টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। হামলার শিকার হয়েছে বেশ কিছু আবাসিক ভবনও, যার ফলে নারী ও শিশুসহ সাধারণ মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
এই হামলার কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের মুখপাত্র আবুলফজল শেখারচি বলেন, "জায়নবাদী এই হামলার জবাব অবশ্যই দেবে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী। ইসরায়েলকে তার হামলার চড়া মূল্য দিতে হবে এবং তাদের কঠোর জবাবের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।"