বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ নিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৩১২ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা এ বছরের একদিনে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০ অক্টোবর একদিনে ১২৯৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন।
ডেঙ্গুর এই নতুন ঢেউয়ে গত একদিনেই ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ২৮৬-এ পৌঁছে দিয়েছে। ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে রেকর্ড ১৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছিল। তার আগে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছিল ২৮১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যন্ত এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ৫৯ হাজার ৪২০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫৫ হাজার ১১৮ জন রোগী ইতিমধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন, এবং বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪০১৬ জন রোগী। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৯৫০ জন রোগী, এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ২০৬৬ জন চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫০৩ জন, ঢাকার বিভাগে ২৪৬ জন, ময়মনসিংহে ২৮ জন, চট্টগ্রামে ১৮৯ জন, খুলনায় ১৬৯ জন, রাজশাহীতে ৪০ জন, রংপুরে ১৭ জন, বরিশালে ১১৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ২ জন ভর্তি হয়েছেন।
মৃতদের মধ্যে দুজন ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, দুজন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে, একজন বরিশাল বিভাগ এবং একজন ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হাসপাতালে মারা গেছেন। তবে বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে কেউ মারা গেলে সেই সংখ্যা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয় না, তাই প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অক্টোবরের ২৯ তারিখ পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৪৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, আর ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এ মাসে এ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ভর্তি ও মৃত্যুর রেকর্ড। এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকার বাইরে রয়েছেন ৩৪ হাজার ৫১৮ জন এবং ঢাকার দুই মহানগর এলাকায় রয়েছেন ২৪ হাজার ৯০২ জন রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের তথ্য সংরক্ষণ করে আসছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং ১৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, যা ডেঙ্গু সংক্রান্ত ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ নিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৩১২ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা এ বছরের একদিনে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০ অক্টোবর একদিনে ১২৯৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন।
ডেঙ্গুর এই নতুন ঢেউয়ে গত একদিনেই ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ২৮৬-এ পৌঁছে দিয়েছে। ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে রেকর্ড ১৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছিল। তার আগে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছিল ২৮১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যন্ত এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ৫৯ হাজার ৪২০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫৫ হাজার ১১৮ জন রোগী ইতিমধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন, এবং বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪০১৬ জন রোগী। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৯৫০ জন রোগী, এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ২০৬৬ জন চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫০৩ জন, ঢাকার বিভাগে ২৪৬ জন, ময়মনসিংহে ২৮ জন, চট্টগ্রামে ১৮৯ জন, খুলনায় ১৬৯ জন, রাজশাহীতে ৪০ জন, রংপুরে ১৭ জন, বরিশালে ১১৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ২ জন ভর্তি হয়েছেন।
মৃতদের মধ্যে দুজন ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, দুজন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে, একজন বরিশাল বিভাগ এবং একজন ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হাসপাতালে মারা গেছেন। তবে বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে কেউ মারা গেলে সেই সংখ্যা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয় না, তাই প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অক্টোবরের ২৯ তারিখ পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৪৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, আর ১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এ মাসে এ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ভর্তি ও মৃত্যুর রেকর্ড। এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকার বাইরে রয়েছেন ৩৪ হাজার ৫১৮ জন এবং ঢাকার দুই মহানগর এলাকায় রয়েছেন ২৪ হাজার ৯০২ জন রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের তথ্য সংরক্ষণ করে আসছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং ১৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, যা ডেঙ্গু সংক্রান্ত ইতিহাসে সর্বোচ্চ।