পটুয়াখালীর দুমকিতে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার সেই কিশোরী ঢাকায় আত্মহত্যা করেছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর আদাবর থানা এলাকার শেখেরটেকের বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সে।
ঢাকার আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাকারিয়া জানান, রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে মেয়েটির মৃত্যুর খবর থানায় জানানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মেয়েটির বাবা শহীদ হন। ১৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আন্দোলনের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন তিনি এবং ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
পটুয়াখালীর দুমকিতে বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়েছিলেন মেয়েটি। গত মার্চ মাসে ফেরার পথে নানা বাড়ি যাওয়ার সময় দুমকি থানা এলাকায় দুই তরুণ দলবেঁধে তাকে ধর্ষণ করে।
ঘটনার পর ২০ মার্চ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মেয়েটি। আসামিরা হলো জনতা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র শাকিব মুন্সি (১৯) এবং স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র (১৭)। ওই রাতেই প্রধান আসামি শাকিব মুন্সিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং পরদিন আরেক আসামিকেও আইনের আওতায় আনা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানা বাড়ি ফেরার পথে মেয়েটিকে পিছু নেয় অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে মুখ চেপে ধরে রাস্তার পাশের একটি বাগানে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটির ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় তারা।
ধর্ষণের ঘটনার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল মেয়েটি। পরিবারের সদস্যরা জানান, বিচার হবে কিনা, এ নিয়েও তার মনে গভীর সংশয় ছিল।
শনিবার রাতে খবর পেয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ছুটে যান আত্মীয়স্বজনেরা। মেয়েটির বাবার এক চাচাতো ভাই বলেন, "ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর থেকেই সে একেবারে ভেঙে পড়েছিল। ন্যায়বিচারের আশা তার মনে ক্ষীণ হয়ে এসেছিল।"
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
পটুয়াখালীর দুমকিতে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার সেই কিশোরী ঢাকায় আত্মহত্যা করেছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর আদাবর থানা এলাকার শেখেরটেকের বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সে।
ঢাকার আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাকারিয়া জানান, রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে মেয়েটির মৃত্যুর খবর থানায় জানানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মেয়েটির বাবা শহীদ হন। ১৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আন্দোলনের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন তিনি এবং ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
পটুয়াখালীর দুমকিতে বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়েছিলেন মেয়েটি। গত মার্চ মাসে ফেরার পথে নানা বাড়ি যাওয়ার সময় দুমকি থানা এলাকায় দুই তরুণ দলবেঁধে তাকে ধর্ষণ করে।
ঘটনার পর ২০ মার্চ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মেয়েটি। আসামিরা হলো জনতা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র শাকিব মুন্সি (১৯) এবং স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র (১৭)। ওই রাতেই প্রধান আসামি শাকিব মুন্সিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং পরদিন আরেক আসামিকেও আইনের আওতায় আনা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানা বাড়ি ফেরার পথে মেয়েটিকে পিছু নেয় অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে মুখ চেপে ধরে রাস্তার পাশের একটি বাগানে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটির ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় তারা।
ধর্ষণের ঘটনার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল মেয়েটি। পরিবারের সদস্যরা জানান, বিচার হবে কিনা, এ নিয়েও তার মনে গভীর সংশয় ছিল।
শনিবার রাতে খবর পেয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ছুটে যান আত্মীয়স্বজনেরা। মেয়েটির বাবার এক চাচাতো ভাই বলেন, "ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর থেকেই সে একেবারে ভেঙে পড়েছিল। ন্যায়বিচারের আশা তার মনে ক্ষীণ হয়ে এসেছিল।"