সরকারি চাকরিতে নিয়োগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম বিসিএসের দীর্ঘসূত্রিতা ও জট নিরসনে একাধিক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম জানিয়েছেন, এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে বিসিএস কার্যক্রমে তৈরি হওয়া জট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে পিএসসির সভাকক্ষে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি। এ সময় পিএসসির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
চেয়ারম্যান জানান, বর্তমানে চলমান ৪৪তম থেকে ৪৭তম বিসিএসের কার্যক্রমে জট কমিয়ে আনার জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, “৪৭তম বিসিএসের কার্যক্রম এক বছরের মধ্যে শেষ করার রোডম্যাপ তৈরি হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব।”
সংস্কারের অংশ হিসেবে ক্যাডার বাছাইয়ে নতুন নিয়ম চালুর কথাও জানান পিএসসি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত প্রার্থীরা চূড়ান্ত ফল প্রকাশের সময় ক্যাডার চয়েস দিতে পারেন। তবে ভাইভার আগে ক্যাডার পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হলে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে। ৪৭তম বিসিএস থেকেই এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।”
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মুদ্রণে আরও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আগের মতো বাইরে থেকে প্রশ্ন এনে জমা দেওয়া নয়, বরং পিএসসি অফিসেই প্রশ্ন প্রণয়ন সম্পন্ন করা হচ্ছে। বিজিপ্রেসে আর বিসিএস প্রশ্ন ছাপা হবে না। এর পরিবর্তে আরও নিরাপদ প্রেসে প্রশ্ন ছাপানো হবে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে প্রণীত সব প্রশ্ন ধ্বংস করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
পরীক্ষা কেন্দ্রে কমিউনিটিভিত্তিক পরিদর্শন ব্যবস্থা চালুর পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ‘পরবর্তী প্রজন্মের’ উত্তরপত্র তৈরির কথাও জানানো হয়, যা প্রক্সি পরীক্ষার্থী ঠেকাতে সহায়ক হবে।
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পিএসসির সদস্য মো. সুজায়েত উল্যা বলেন, “সিআইডি তদন্ত করছে। যারা অবৈধ সুবিধা নিয়েছে, তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সামগ্রিকভাবে ফলাফল বাতিল করলে নির্দোষ প্রার্থীদের ক্ষতি হয়ে যেত, যা পূরণযোগ্য নয়।”
৪৮তম বিসিএস যদি বিশেষ বিসিএস হয়, তাহলে সাধারণ বিসিএস হিসেবে ৪৯তম থেকেই নতুন সিলেবাস চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান পিএসসির সদস্য মো. নাজমুল আমীন মুজমদার। তিনি বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সিভিল সার্ভিস সিলেবাস বিশ্লেষণ করে গবেষণা চলছে।”
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম বিসিএসের দীর্ঘসূত্রিতা ও জট নিরসনে একাধিক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম জানিয়েছেন, এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে বিসিএস কার্যক্রমে তৈরি হওয়া জট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে পিএসসির সভাকক্ষে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি। এ সময় পিএসসির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
চেয়ারম্যান জানান, বর্তমানে চলমান ৪৪তম থেকে ৪৭তম বিসিএসের কার্যক্রমে জট কমিয়ে আনার জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, “৪৭তম বিসিএসের কার্যক্রম এক বছরের মধ্যে শেষ করার রোডম্যাপ তৈরি হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব।”
সংস্কারের অংশ হিসেবে ক্যাডার বাছাইয়ে নতুন নিয়ম চালুর কথাও জানান পিএসসি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত প্রার্থীরা চূড়ান্ত ফল প্রকাশের সময় ক্যাডার চয়েস দিতে পারেন। তবে ভাইভার আগে ক্যাডার পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হলে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে। ৪৭তম বিসিএস থেকেই এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।”
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মুদ্রণে আরও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আগের মতো বাইরে থেকে প্রশ্ন এনে জমা দেওয়া নয়, বরং পিএসসি অফিসেই প্রশ্ন প্রণয়ন সম্পন্ন করা হচ্ছে। বিজিপ্রেসে আর বিসিএস প্রশ্ন ছাপা হবে না। এর পরিবর্তে আরও নিরাপদ প্রেসে প্রশ্ন ছাপানো হবে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে প্রণীত সব প্রশ্ন ধ্বংস করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
পরীক্ষা কেন্দ্রে কমিউনিটিভিত্তিক পরিদর্শন ব্যবস্থা চালুর পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ‘পরবর্তী প্রজন্মের’ উত্তরপত্র তৈরির কথাও জানানো হয়, যা প্রক্সি পরীক্ষার্থী ঠেকাতে সহায়ক হবে।
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পিএসসির সদস্য মো. সুজায়েত উল্যা বলেন, “সিআইডি তদন্ত করছে। যারা অবৈধ সুবিধা নিয়েছে, তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সামগ্রিকভাবে ফলাফল বাতিল করলে নির্দোষ প্রার্থীদের ক্ষতি হয়ে যেত, যা পূরণযোগ্য নয়।”
৪৮তম বিসিএস যদি বিশেষ বিসিএস হয়, তাহলে সাধারণ বিসিএস হিসেবে ৪৯তম থেকেই নতুন সিলেবাস চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান পিএসসির সদস্য মো. নাজমুল আমীন মুজমদার। তিনি বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সিভিল সার্ভিস সিলেবাস বিশ্লেষণ করে গবেষণা চলছে।”