সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার বাসায় ঢুকে ‘মব’ তৈরি ও তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ৫ নম্বর সেক্টরের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে সরকার জানায়, “নূরুল হুদাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা বেআইনি, আইনের শাসনের পরিপন্থী এবং একটি ফৌজদারি অপরাধ। যারা মব গঠন করে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।”

পুলিশ জানায়, ‘জনতা’ প্রথমে সাবেক সিইসিকে ঘেরাও করে এবং তার ওপর চড়াও হয়। উত্তরা থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, “জনতা তাকে ঘিরে রাখার পর পুলিশ গিয়ে হেফাজতে নেয়।”

এ সময় কেউ কেউ ফেইসবুক লাইভ করে। সেখানে দেখা যায়, এক ব্যক্তি তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়, গেঞ্জির কলার ধরে টেনে হেনস্তা করে। এমনকি কেউ একজন জুতার মালা থেকে জুতা খুলে তাকে মারধর করে—এসব দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার মহিদুল ইসলাম জানান, শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের হওয়া এক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রোববার দুপুরে শেরেবাংলা নগর থানায় নূরুল হুদাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিএনপি। মামলার আসামির তালিকায় তিন সাবেক সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামও রয়েছে।

নূরুল হুদা ২০১৭ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে শপথ নেন। তার নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।