দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দায়ের করা মামলায় এবার গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
এর আগে একই মামলায় রোববার (২২ জুন) গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে। জনতা কর্তৃক গ্রেপ্তারপূর্ব অপদস্থ হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পরদিন আদালত তাকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠায়।
ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী নির্বাচন কমিশনগুলোর সদস্য এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, “জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দীর্ঘ সময় ধরে দখলে রাখায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হয়েছে।”
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধী রাজনৈতিক জোটগুলোর বর্জনের পর আওয়ামী লীগ শরিক ও নিবন্ধিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে আসন ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনের বৈধতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করে। তবে ভোটারশূন্য এবং মূলত বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ নির্বাচন ‘আমি আর ডামি’ বলে পরিচিতি পায়।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের সদস্য ছিলেন: কমিশনে চার নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান।
বিএনপির মামলায় এই কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।
দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আংশিক বাতিল করে হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পথ উন্মুক্ত করে দেয়।
রায়ে উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে “আবশ্যকীয় অবাধ ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি” এবং “জনগণের আস্থা বিনষ্ট হয়েছে।”
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দায়ের করা মামলায় এবার গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
এর আগে একই মামলায় রোববার (২২ জুন) গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে। জনতা কর্তৃক গ্রেপ্তারপূর্ব অপদস্থ হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পরদিন আদালত তাকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠায়।
ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী নির্বাচন কমিশনগুলোর সদস্য এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, “জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দীর্ঘ সময় ধরে দখলে রাখায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হয়েছে।”
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধী রাজনৈতিক জোটগুলোর বর্জনের পর আওয়ামী লীগ শরিক ও নিবন্ধিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে আসন ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনের বৈধতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করে। তবে ভোটারশূন্য এবং মূলত বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ নির্বাচন ‘আমি আর ডামি’ বলে পরিচিতি পায়।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের সদস্য ছিলেন: কমিশনে চার নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান।
বিএনপির মামলায় এই কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।
দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আংশিক বাতিল করে হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পথ উন্মুক্ত করে দেয়।
রায়ে উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে “আবশ্যকীয় অবাধ ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি” এবং “জনগণের আস্থা বিনষ্ট হয়েছে।”