গত ৩৩ বছরে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনসংক্রান্ত নথিপত্র প্রকাশে ব্যর্থতার বিষয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রুলে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের (দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস) আইনগত ভিত্তি ও কারণসহ নথি প্রকাশে ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না—তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ওমর ফারুকের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ওমর ফারুক নিজেই। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জে আর খান রবিন।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের তালিকা প্রকাশে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন রিট আবেদনকারী ওমর ফারুক। তবে কোনো জবাব না পেয়ে তিনি চলতি বছরের মার্চে রিটটি করেন।
রিটে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষেত্রে একটি সুসংগঠিত তথ্যভান্ডার (ডেটাবেজ) গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিচারক, ফৌজদারি আইন ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি পরামর্শ বোর্ড গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের দেওয়া যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত, হ্রাস বা বিলম্বিত করার ক্ষমতা রয়েছে।
তবে রিটকারীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রপতি যেভাবে কিছু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ক্ষমা দিয়েছেন, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি কীভাবে, কার সুপারিশে এবং কোন মানদণ্ডে দণ্ডিতদের ক্ষমা দিয়েছেন, তা জানার অধিকার জনগণের রয়েছে।”
রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জনবিভাগের সচিবকে।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
গত ৩৩ বছরে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনসংক্রান্ত নথিপত্র প্রকাশে ব্যর্থতার বিষয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রুলে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের (দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস) আইনগত ভিত্তি ও কারণসহ নথি প্রকাশে ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না—তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ওমর ফারুকের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ওমর ফারুক নিজেই। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জে আর খান রবিন।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের তালিকা প্রকাশে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন রিট আবেদনকারী ওমর ফারুক। তবে কোনো জবাব না পেয়ে তিনি চলতি বছরের মার্চে রিটটি করেন।
রিটে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষেত্রে একটি সুসংগঠিত তথ্যভান্ডার (ডেটাবেজ) গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিচারক, ফৌজদারি আইন ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি পরামর্শ বোর্ড গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের দেওয়া যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত, হ্রাস বা বিলম্বিত করার ক্ষমতা রয়েছে।
তবে রিটকারীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রপতি যেভাবে কিছু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ক্ষমা দিয়েছেন, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি কীভাবে, কার সুপারিশে এবং কোন মানদণ্ডে দণ্ডিতদের ক্ষমা দিয়েছেন, তা জানার অধিকার জনগণের রয়েছে।”
রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জনবিভাগের সচিবকে।