আগামী ৭ নভেম্বর থেকে মেইনটেনেন্সে (রক্ষাণাবেক্ষণ) যাচ্ছে পটুয়াখালীর পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুইটি ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক কমবেশী ১২৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি ইউনিট বন্ধ হলে গ্রিডে ৬২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি তৈরি হবে।
বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে গঠিত বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) পটুয়াখালীর পায়রায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করে। মালিকানায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) ও চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সমান (৫০:৫০) অংশীদারিত্ব রয়েছে।
বিদ্যুৎ খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করার পর দুই বছর পর এটি মেইনটেনেন্স করতে হয়। ইঞ্জিন ওভারহোলিং করতে হয়। তারা বলছেন, বাণিজ্যিক উৎপাদন ৩ বছর হলে মেইনটেনেন্স অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। নয়তো ইউনিটের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ওভারহোলিং হচ্ছে- একটি নির্দিষ্ট সময় চলার পর যখন ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে তখন এর যন্ত্রাংশ খুলে পরিষ্কার, মেরামত ও পরিবর্তন করে পুনঃসংযোগ করতে হয়। এটাকেই ইঞ্জিন ওভারহোলিং বলে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্র জানায়, পায়ারার প্রথম ইউনিটটি ২০২০ সালের ১৫ মে এবং দ্বিতীয় ইউনিটটি একই বছর ৮ ডিসেম্বর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। ডলার সঙ্কটে কয়লা আমদানি ব্যাহত হওয়ায় ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুইটি ইউনিট তিন সপ্তাহের মতো বন্ধ থাকে। প্রথম ইউনিটটি চলতি বছর ২৪ জুন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ করা হয়, ৭ দিন পর তা উৎপাদনে ফেরে। দ্বিতীয় ইউনিটটি এখনও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি।
পিডিবির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সোমবার (৪ নভেম্বর) সংবাদকে বলেন, গত ১ নভেম্বর পায়রার দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ করার কথা ছিল। চীন থেকে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী দলও বাংলাদেশে এসেছেন। তবে কক্সবাজারের মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, চট্টগ্রামে এস আলমের বাঁশখালী (এসএস পাওয়ার) বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বাগেরহাটে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সক্ষমতার অর্ধেক বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে সম্প্রতি দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দেয়। এরমধ্যে ১ নভেম্বর থেকে ভারতের আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎ বন্ধের ইঙ্গিত ছিল। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পায়ারার দ্বিতীয় ইউনিটের রক্ষাণাবেক্ষণের তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়া হয়। আগামী ৭ নভেম্বর থেকে এটি বন্ধ থাকবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, ‘মাতারবাড়ির উৎপাদন বন্ধ, আদানি, রামপাল, বাঁশখালীর বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে। বকেয়ার সুরাহা না হলে আগামী ৭ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদানি পাওয়ার।’
তিনি বলেন, ‘দেশে স্থাপিত কয়লাভিত্তিক বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে পায়রা একটানা পূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যাচ্ছে, যা দেশের দৈনিক চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ। ৭ নভেম্বর পায়রার দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ হলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতি লোডশেডিং বাড়াতে পারে।’
মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪
আগামী ৭ নভেম্বর থেকে মেইনটেনেন্সে (রক্ষাণাবেক্ষণ) যাচ্ছে পটুয়াখালীর পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুইটি ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক কমবেশী ১২৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি ইউনিট বন্ধ হলে গ্রিডে ৬২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি তৈরি হবে।
বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে গঠিত বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) পটুয়াখালীর পায়রায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করে। মালিকানায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) ও চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সমান (৫০:৫০) অংশীদারিত্ব রয়েছে।
বিদ্যুৎ খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করার পর দুই বছর পর এটি মেইনটেনেন্স করতে হয়। ইঞ্জিন ওভারহোলিং করতে হয়। তারা বলছেন, বাণিজ্যিক উৎপাদন ৩ বছর হলে মেইনটেনেন্স অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। নয়তো ইউনিটের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ওভারহোলিং হচ্ছে- একটি নির্দিষ্ট সময় চলার পর যখন ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে তখন এর যন্ত্রাংশ খুলে পরিষ্কার, মেরামত ও পরিবর্তন করে পুনঃসংযোগ করতে হয়। এটাকেই ইঞ্জিন ওভারহোলিং বলে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্র জানায়, পায়ারার প্রথম ইউনিটটি ২০২০ সালের ১৫ মে এবং দ্বিতীয় ইউনিটটি একই বছর ৮ ডিসেম্বর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। ডলার সঙ্কটে কয়লা আমদানি ব্যাহত হওয়ায় ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুইটি ইউনিট তিন সপ্তাহের মতো বন্ধ থাকে। প্রথম ইউনিটটি চলতি বছর ২৪ জুন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ করা হয়, ৭ দিন পর তা উৎপাদনে ফেরে। দ্বিতীয় ইউনিটটি এখনও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি।
পিডিবির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সোমবার (৪ নভেম্বর) সংবাদকে বলেন, গত ১ নভেম্বর পায়রার দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ করার কথা ছিল। চীন থেকে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী দলও বাংলাদেশে এসেছেন। তবে কক্সবাজারের মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, চট্টগ্রামে এস আলমের বাঁশখালী (এসএস পাওয়ার) বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বাগেরহাটে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সক্ষমতার অর্ধেক বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে সম্প্রতি দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দেয়। এরমধ্যে ১ নভেম্বর থেকে ভারতের আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎ বন্ধের ইঙ্গিত ছিল। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পায়ারার দ্বিতীয় ইউনিটের রক্ষাণাবেক্ষণের তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়া হয়। আগামী ৭ নভেম্বর থেকে এটি বন্ধ থাকবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, ‘মাতারবাড়ির উৎপাদন বন্ধ, আদানি, রামপাল, বাঁশখালীর বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে। বকেয়ার সুরাহা না হলে আগামী ৭ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদানি পাওয়ার।’
তিনি বলেন, ‘দেশে স্থাপিত কয়লাভিত্তিক বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে পায়রা একটানা পূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যাচ্ছে, যা দেশের দৈনিক চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ। ৭ নভেম্বর পায়রার দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ হলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতি লোডশেডিং বাড়াতে পারে।’