সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ‘অসীম’ ক্ষমতা অর্পণের ফলে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসনের আবির্ভাব অনিবার্য হয়ে উঠেছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
রোববার ঢাকার মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নাগরিক কোয়ালিশনের আয়োজনে সংবিধান সংস্কার নিয়ে এক আলোচনায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির সব ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর ফলে নির্বাহী বিভাগের কোনো জবাবদিহিতার ব্যবস্থা না রেখে প্রধানমন্ত্রীর হাতে অসীম ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “এ ধরনের ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার ফলেই ফ্যাসিবাদী শাসনের সৃষ্টি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, ১৯৯১ সালের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় প্রবেশ করে। কিন্তু সেই সময় রাষ্ট্রপতির যেসব অভাবনীয় ক্ষমতা ছিল, তার প্রতিটি অংশ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল, যা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, “জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া সংবিধানের মৌলিক সংস্কার সম্ভব নয়। নতুন সংবিধানের প্রশ্নই আসে না। তাই আমরা সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কারের প্রশ্নে যেসব বিষয়ে আমরা একমত, সেগুলো নির্ধারণ করা জরুরি। পাশাপাশি একটি পথরেখাও জরুরি, যা বর্তমানে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।”
আয়োজনের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আলোকচিত্রী ও নাগরিক কোয়ালিশনের সহ-আহ্বায়ক শহিদুল আলম।
অনুষ্ঠানে সংবিধান সংস্কার নিয়ে নাগরিক জোটের সাতটি প্রস্তাব তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ শাহান। এসব প্রস্তাব কীভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে, তা ব্যাখ্যা করেন অর্থনীতিবিদ ও লেখক জিয়া হাসান।
আলোচনায় অংশ নেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, দক্ষিণ মহানগরের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, এনডিএম সভাপতি ববি হাজ্জাজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা এবং গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অনেকে।
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ‘অসীম’ ক্ষমতা অর্পণের ফলে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসনের আবির্ভাব অনিবার্য হয়ে উঠেছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
রোববার ঢাকার মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নাগরিক কোয়ালিশনের আয়োজনে সংবিধান সংস্কার নিয়ে এক আলোচনায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির সব ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর ফলে নির্বাহী বিভাগের কোনো জবাবদিহিতার ব্যবস্থা না রেখে প্রধানমন্ত্রীর হাতে অসীম ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “এ ধরনের ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার ফলেই ফ্যাসিবাদী শাসনের সৃষ্টি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, ১৯৯১ সালের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় প্রবেশ করে। কিন্তু সেই সময় রাষ্ট্রপতির যেসব অভাবনীয় ক্ষমতা ছিল, তার প্রতিটি অংশ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল, যা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, “জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া সংবিধানের মৌলিক সংস্কার সম্ভব নয়। নতুন সংবিধানের প্রশ্নই আসে না। তাই আমরা সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কারের প্রশ্নে যেসব বিষয়ে আমরা একমত, সেগুলো নির্ধারণ করা জরুরি। পাশাপাশি একটি পথরেখাও জরুরি, যা বর্তমানে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।”
আয়োজনের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আলোকচিত্রী ও নাগরিক কোয়ালিশনের সহ-আহ্বায়ক শহিদুল আলম।
অনুষ্ঠানে সংবিধান সংস্কার নিয়ে নাগরিক জোটের সাতটি প্রস্তাব তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ শাহান। এসব প্রস্তাব কীভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে, তা ব্যাখ্যা করেন অর্থনীতিবিদ ও লেখক জিয়া হাসান।
আলোচনায় অংশ নেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, দক্ষিণ মহানগরের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, এনডিএম সভাপতি ববি হাজ্জাজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা এবং গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অনেকে।