ফ্যাসিবাদী শাসন টিকিয়ে রাখতে সহায়তাকারী বিচারকদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ফ্যাসিবাদের মিথ্যা মামলায় ৬০ লাখ আসামি, মুক্তি কতদূর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
রিজভী বলেন, “তাদের বিচার নিশ্চিত করলে ভবিষ্যতে কেউ কোনো আদালতকে দিয়ে তার অশুভ ইচ্ছা ও অগণতান্ত্রিক নির্যাতন–নিপীড়ন মানুষের ওপর চালানোর সাহস পাবে না। এটাই হওয়া উচিত।”
আলোচনা সভাটি আয়োজন করে ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, “যাঁরা এই ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করেছেন, তাঁদের অন্যতম হচ্ছেন আদালত। বিচারপতি খায়রুল হক, বিচারপতি এনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আসাদুজ্জামানসহ অসংখ্য নাম রয়েছে।” তিনি দাবি করেন, “সবচেয়ে নির্দোষ ও জনগণের পক্ষে সংগ্রামরত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছেন বিচারক আসাদুজ্জামান। এই বিচারকদের কেন শাস্তির আওতায় আনা হবে না?”
বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ আমলে দায়ের হওয়া মামলার বিষয়ে রিজভী বলেন, “৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আট মাস কেটে গেলেও এসব মামলা এখনও আদালতের সেলফে পড়ে আছে। দ্রুত এসব মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “নুরেমবার্গ ট্রায়ালে দেখা গেছে, হিটলারের আদালতের বিচারকরাও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। একইভাবে, আজকের এই সময়ে শেখ হাসিনার আমলের ফ্যাসিবাদ রক্ষাকারীদেরও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন বলেন, “পৃথিবীতে অনেক দেশের মোট জনসংখ্যা ৬০ লাখের কম। অথচ আমাদের দেশে বিএনপির ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।”
এ বক্তব্য টেনে রিজভী বলেন, “ডেনমার্কে যেখানে ৫০ লাখ মানুষ বাস করে, সেখানে বাংলাদেশে বিএনপির ৬০ লাখের বেশি নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।” তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার হলেও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মামলাগুলো এখনো ঝুলে আছে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক সৈয়দ আবদাল আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ। আরও বক্তব্য দেন বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজীজুল বারী হেলাল, নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারজানা শারমিন প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সদস্যসচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
ফ্যাসিবাদী শাসন টিকিয়ে রাখতে সহায়তাকারী বিচারকদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ফ্যাসিবাদের মিথ্যা মামলায় ৬০ লাখ আসামি, মুক্তি কতদূর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
রিজভী বলেন, “তাদের বিচার নিশ্চিত করলে ভবিষ্যতে কেউ কোনো আদালতকে দিয়ে তার অশুভ ইচ্ছা ও অগণতান্ত্রিক নির্যাতন–নিপীড়ন মানুষের ওপর চালানোর সাহস পাবে না। এটাই হওয়া উচিত।”
আলোচনা সভাটি আয়োজন করে ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, “যাঁরা এই ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করেছেন, তাঁদের অন্যতম হচ্ছেন আদালত। বিচারপতি খায়রুল হক, বিচারপতি এনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আসাদুজ্জামানসহ অসংখ্য নাম রয়েছে।” তিনি দাবি করেন, “সবচেয়ে নির্দোষ ও জনগণের পক্ষে সংগ্রামরত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছেন বিচারক আসাদুজ্জামান। এই বিচারকদের কেন শাস্তির আওতায় আনা হবে না?”
বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ আমলে দায়ের হওয়া মামলার বিষয়ে রিজভী বলেন, “৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আট মাস কেটে গেলেও এসব মামলা এখনও আদালতের সেলফে পড়ে আছে। দ্রুত এসব মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “নুরেমবার্গ ট্রায়ালে দেখা গেছে, হিটলারের আদালতের বিচারকরাও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। একইভাবে, আজকের এই সময়ে শেখ হাসিনার আমলের ফ্যাসিবাদ রক্ষাকারীদেরও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন বলেন, “পৃথিবীতে অনেক দেশের মোট জনসংখ্যা ৬০ লাখের কম। অথচ আমাদের দেশে বিএনপির ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।”
এ বক্তব্য টেনে রিজভী বলেন, “ডেনমার্কে যেখানে ৫০ লাখ মানুষ বাস করে, সেখানে বাংলাদেশে বিএনপির ৬০ লাখের বেশি নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।” তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার হলেও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মামলাগুলো এখনো ঝুলে আছে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক সৈয়দ আবদাল আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ। আরও বক্তব্য দেন বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজীজুল বারী হেলাল, নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারজানা শারমিন প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সদস্যসচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।