বাংলাদেশে জামায়াত-হেফাজতের রাজনীতি অব্যাহত থাকলে দেশ জঙ্গীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতারা।
সোমবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রামের শহীদদের স্মরণে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে ‘জঙ্গী মৌলবাদী প্রতিরোধে সরকার ও নাগরিক সমাজের দায়িত্ব’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারের বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
১৯৯৪ সালের ২৬ জুলাই গোলাম আযমের চট্টগ্রাম সফর ও ঘোষিত জনসভার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে জামায়াত-শিবিরের গুলিতে ছাত্রলীগ ও নির্মূল কমিটির পাঁচজন তরুণ কর্মী শহীদ ও শতাধিক আহত হয়েছিলেন। দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছর নির্মূল কমিটি ২৬ জুলাই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
নির্মূল কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শওকত বাঙালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভার প্রধান বক্তা সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির তার ভাষণে চট্টগ্রামের তরুণ শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের হত্যা করেছিল, তাদের অধিকাংশই ছিল তরুণ মুক্তিকামী বাঙালি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের সংবিধানে জামায়াতে ইসলামীসহ সকল ধর্মীয় সংগঠন নিষিদ্ধ করেছিলেন। জামায়াত নেতা গোলাম আযমের নাগরিকত্ব বঙ্গবন্ধু বাতিল করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের নীলনকশা অনুযায়ী সংবিধান থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা মুছে ফেলে ধর্মের নামে হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি চালু করেছেন। তার যোগ্য সহধর্মিনী খালেদা জিয়া গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব দিয়েছে। গত তিরিশ বছর ধরে নির্মূল কমিটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পাশাপাশি জামায়াত-শিবির চক্রের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার একটানা বার বছর ক্ষমতায় থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আরম্ভ করলেও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এর ফলে রাজনীতি ও সমাজে জঙ্গী মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের জমি উর্বর হচ্ছে। জামায়াত- হেফাজতের রাজনীতি অব্যাহত থাকলে অন্তিমে বাংলাদেশ মৌলবাদী জঙ্গীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে।’
সভায় বক্তারা নির্মূল কমিটির কার্যক্রম তৃণমূল পর্যায়ে বিস্তৃত করার পাশাপাশি অধিক সংখ্যক তরুণদের সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বে অন্তর্ভুক্ত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ তরুণরাই একদিন জঙ্গী মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত ধর্মনিরপেক্ষ মানবিক রাষ্ট্র ও সমাজ গড়বে।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র জনাব খোরশেদ আলম সুজন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর হান্নানা বেগম, গোলম আজম প্রতিরোধ আন্দোলনকালীন ছাত্রলীগের মহানগর সভাপতি ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব মফিজুর রহমান, নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, নির্মূল কমিটির চিকিৎসা সহায়ক কমিটির অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, নির্মূল কমিটির চিকিৎসা সহায়ক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মামুন আল মাহতাব, কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক অলিদ চৌধুরী ও নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলার মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রুবা আহসানসহ কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ।
সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১
বাংলাদেশে জামায়াত-হেফাজতের রাজনীতি অব্যাহত থাকলে দেশ জঙ্গীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতারা।
সোমবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রামের শহীদদের স্মরণে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে ‘জঙ্গী মৌলবাদী প্রতিরোধে সরকার ও নাগরিক সমাজের দায়িত্ব’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারের বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
১৯৯৪ সালের ২৬ জুলাই গোলাম আযমের চট্টগ্রাম সফর ও ঘোষিত জনসভার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে জামায়াত-শিবিরের গুলিতে ছাত্রলীগ ও নির্মূল কমিটির পাঁচজন তরুণ কর্মী শহীদ ও শতাধিক আহত হয়েছিলেন। দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছর নির্মূল কমিটি ২৬ জুলাই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
নির্মূল কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শওকত বাঙালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভার প্রধান বক্তা সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির তার ভাষণে চট্টগ্রামের তরুণ শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের হত্যা করেছিল, তাদের অধিকাংশই ছিল তরুণ মুক্তিকামী বাঙালি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের সংবিধানে জামায়াতে ইসলামীসহ সকল ধর্মীয় সংগঠন নিষিদ্ধ করেছিলেন। জামায়াত নেতা গোলাম আযমের নাগরিকত্ব বঙ্গবন্ধু বাতিল করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের নীলনকশা অনুযায়ী সংবিধান থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা মুছে ফেলে ধর্মের নামে হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি চালু করেছেন। তার যোগ্য সহধর্মিনী খালেদা জিয়া গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব দিয়েছে। গত তিরিশ বছর ধরে নির্মূল কমিটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পাশাপাশি জামায়াত-শিবির চক্রের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার একটানা বার বছর ক্ষমতায় থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আরম্ভ করলেও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এর ফলে রাজনীতি ও সমাজে জঙ্গী মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের জমি উর্বর হচ্ছে। জামায়াত- হেফাজতের রাজনীতি অব্যাহত থাকলে অন্তিমে বাংলাদেশ মৌলবাদী জঙ্গীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে।’
সভায় বক্তারা নির্মূল কমিটির কার্যক্রম তৃণমূল পর্যায়ে বিস্তৃত করার পাশাপাশি অধিক সংখ্যক তরুণদের সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বে অন্তর্ভুক্ত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ তরুণরাই একদিন জঙ্গী মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত ধর্মনিরপেক্ষ মানবিক রাষ্ট্র ও সমাজ গড়বে।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র জনাব খোরশেদ আলম সুজন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর হান্নানা বেগম, গোলম আজম প্রতিরোধ আন্দোলনকালীন ছাত্রলীগের মহানগর সভাপতি ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব মফিজুর রহমান, নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, নির্মূল কমিটির চিকিৎসা সহায়ক কমিটির অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, নির্মূল কমিটির চিকিৎসা সহায়ক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মামুন আল মাহতাব, কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক অলিদ চৌধুরী ও নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলার মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রুবা আহসানসহ কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ।