জোহানেসবার্গে ভারত টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত যে যথার্থ ছিলো তা বুঝাতে আর কতো রান করতে হয়। ২০ ওভারে ২৮৩ রান, মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ভারত।
চিন্তা করা যায়? কি পরিমান তান্ডব গেছে আফ্রিকার বোলার সিমেলেন, মাক্রো ইহানসেন আর মাহারাজদের ওপর।
এই সংস্করণে যেকোনো উইকেটে ভারতের সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় উইকেটে বিশ্ব রেকর্ড ২১০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি তিলাক ভার্মা ও সন্জু স্যামসন গড়েন স্রেফ ৮৬ বলে! দুজনের ব্যাটে আরও একগাদা রেকর্ড হয় এই ম্যাচে।
স্যামসন আর তিলাক ব্যাট হাতে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ঘটিয়ে রানের লাভায় ভাসিয়ে নিয়ে গেছেন পুরো দক্ষিণ আফ্রিকাকে।তিলাক ভার্মা ৪৭ বলে করেন ১২০ রান, ছক্কা ১০টি, চার ৯ টি। সন্জু স্যামসন ৫৬ বলে করেন ১০৯ রান। ৯ টি ছক্কা আর ৬ টি চার আসে তার ব্যাট থেকে। তিলাক আর স্যামসন মিলে গড়েছেন ২১০ রানের রেকর্ড ভাঙা গড়ার ইতিহাস।
আজ সর্বমোট ২৩ টি ছক্কা হাঁকান ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।যা গত অক্টোবরে বাংলাদেশ ভারত ম্যাচের ২২ টি ছক্কার রেকর্ড ভেঙে নতুন করে লেখা হলো।
দা ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে স্যামসন ও আভিশেক শার্মার ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। যেখানে দায় ছিল রিজা হেনড্রিকসেরও। প্রথম ওভারে স্লিপে আভিশেকের ক্যাচ নিতে পারেননি তিনি।
জীবন পেয়ে ঝড় তুলেন আভিশেক। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ফেরার আগে ৪টি বিশাল ছক্কা ও ২ চারে তিনি করেন ১৮ বলে ৩৬ রান। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩৫ বলে ৭৩ রান।
পরের গল্প স্যামসন ও তিলাকের। প্রোটিয়া বোলারদের উপর তান্ডব চালিয়েছেন এই দুজন। তাদের তাণ্ডবে ভারতের একশ পূর্ণ হয় নবম ওভারে, দুইশ ছুঁয়ে ফেলে তারা ১৫তম ওভারের প্রথম বলেই।
খেলা যখন ১৮ ওভারে তখন স্যামসন সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৫১ বলে। ৭৫ ও ৯৫ রানে জীবন পেয়ে ৪১ বলে শতক স্পর্শ করেন তিলাক।
বিশাল রান তাড়ার শুরুটা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ছিলে একেবারেই দুঃস্বপ্নের। অসাধারণ সুইং বোলিংয়ে তাদের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন আর্শদিপ সিং।
২৮৪ রানের পাহাড়ের সামনে এমনিতেই ভেঙে পড়ে আফ্রিকা। প্রথম ১০ রানেই হারায় ৪ উইকেট। বিশাল পরাজয় যখন চোখ গরম করছিলো, ঠিক তখন পঞ্চম উইকেটে ট্রিস্টান স্টাবস এবং ডেভিড মিলারের ৮৬ রানের জুটি পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে মাত্র।
পরপর দুই বলে এই দুজনের বিদায়ের পরই কার্যত শেষ হয়ে যায় ম্যাচের সব উত্তাপ। পরে মার্কো ইয়ানসেনের ১২ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ২৯ রানের ক্যামিওতে পরাজয়ের ব্যবধান আরেকটু কমিয়েছে শুধু।
শেষে ১৪৮ রানে দক্ষিন আফ্রিকা অলআউট হলে ১৩৫ রানের বিশাল পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়। এ জয়ের ফলে ভারত, ম্যাচ এবং সিরিজ দুইই জিতে নিলো।
ভারতের তিলাক ভার্মা ম্যান অফ দ্য ম্যাচ এবং সিরিজ সেরা হয়েছেন। চার ম্যাচের সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ ঘরে তুলেছে ভারত। এ নিয়ে দুই বার আফ্রিকার মাটিতে টি-টুয়েন্টি সিরিজ জিতলো ভারত।
আর্শদীপ সিং ২০ রানে ৩ উইকেট, আকশার প্যাটেল শিকার করেন ৬ রানে ২ উইকেট। হার্দিক পান্ডিয়া ৩ ওভারে ৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন। তবে রামানদিপ সিং আর ভারুন চাক্রভার্থীর বোলিং ছিলো বেশ খরুচে। রামানদিপ ৩.২ এভারে ৪২ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। আর ভারুন ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। আর লেগ স্পিনার রাভি বিষ্ণই ২৮ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট।
শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
জোহানেসবার্গে ভারত টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত যে যথার্থ ছিলো তা বুঝাতে আর কতো রান করতে হয়। ২০ ওভারে ২৮৩ রান, মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ভারত।
চিন্তা করা যায়? কি পরিমান তান্ডব গেছে আফ্রিকার বোলার সিমেলেন, মাক্রো ইহানসেন আর মাহারাজদের ওপর।
এই সংস্করণে যেকোনো উইকেটে ভারতের সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় উইকেটে বিশ্ব রেকর্ড ২১০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি তিলাক ভার্মা ও সন্জু স্যামসন গড়েন স্রেফ ৮৬ বলে! দুজনের ব্যাটে আরও একগাদা রেকর্ড হয় এই ম্যাচে।
স্যামসন আর তিলাক ব্যাট হাতে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ঘটিয়ে রানের লাভায় ভাসিয়ে নিয়ে গেছেন পুরো দক্ষিণ আফ্রিকাকে।তিলাক ভার্মা ৪৭ বলে করেন ১২০ রান, ছক্কা ১০টি, চার ৯ টি। সন্জু স্যামসন ৫৬ বলে করেন ১০৯ রান। ৯ টি ছক্কা আর ৬ টি চার আসে তার ব্যাট থেকে। তিলাক আর স্যামসন মিলে গড়েছেন ২১০ রানের রেকর্ড ভাঙা গড়ার ইতিহাস।
আজ সর্বমোট ২৩ টি ছক্কা হাঁকান ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।যা গত অক্টোবরে বাংলাদেশ ভারত ম্যাচের ২২ টি ছক্কার রেকর্ড ভেঙে নতুন করে লেখা হলো।
দা ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে স্যামসন ও আভিশেক শার্মার ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। যেখানে দায় ছিল রিজা হেনড্রিকসেরও। প্রথম ওভারে স্লিপে আভিশেকের ক্যাচ নিতে পারেননি তিনি।
জীবন পেয়ে ঝড় তুলেন আভিশেক। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ফেরার আগে ৪টি বিশাল ছক্কা ও ২ চারে তিনি করেন ১৮ বলে ৩৬ রান। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩৫ বলে ৭৩ রান।
পরের গল্প স্যামসন ও তিলাকের। প্রোটিয়া বোলারদের উপর তান্ডব চালিয়েছেন এই দুজন। তাদের তাণ্ডবে ভারতের একশ পূর্ণ হয় নবম ওভারে, দুইশ ছুঁয়ে ফেলে তারা ১৫তম ওভারের প্রথম বলেই।
খেলা যখন ১৮ ওভারে তখন স্যামসন সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৫১ বলে। ৭৫ ও ৯৫ রানে জীবন পেয়ে ৪১ বলে শতক স্পর্শ করেন তিলাক।
বিশাল রান তাড়ার শুরুটা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ছিলে একেবারেই দুঃস্বপ্নের। অসাধারণ সুইং বোলিংয়ে তাদের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন আর্শদিপ সিং।
২৮৪ রানের পাহাড়ের সামনে এমনিতেই ভেঙে পড়ে আফ্রিকা। প্রথম ১০ রানেই হারায় ৪ উইকেট। বিশাল পরাজয় যখন চোখ গরম করছিলো, ঠিক তখন পঞ্চম উইকেটে ট্রিস্টান স্টাবস এবং ডেভিড মিলারের ৮৬ রানের জুটি পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে মাত্র।
পরপর দুই বলে এই দুজনের বিদায়ের পরই কার্যত শেষ হয়ে যায় ম্যাচের সব উত্তাপ। পরে মার্কো ইয়ানসেনের ১২ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ২৯ রানের ক্যামিওতে পরাজয়ের ব্যবধান আরেকটু কমিয়েছে শুধু।
শেষে ১৪৮ রানে দক্ষিন আফ্রিকা অলআউট হলে ১৩৫ রানের বিশাল পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়। এ জয়ের ফলে ভারত, ম্যাচ এবং সিরিজ দুইই জিতে নিলো।
ভারতের তিলাক ভার্মা ম্যান অফ দ্য ম্যাচ এবং সিরিজ সেরা হয়েছেন। চার ম্যাচের সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ ঘরে তুলেছে ভারত। এ নিয়ে দুই বার আফ্রিকার মাটিতে টি-টুয়েন্টি সিরিজ জিতলো ভারত।
আর্শদীপ সিং ২০ রানে ৩ উইকেট, আকশার প্যাটেল শিকার করেন ৬ রানে ২ উইকেট। হার্দিক পান্ডিয়া ৩ ওভারে ৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন। তবে রামানদিপ সিং আর ভারুন চাক্রভার্থীর বোলিং ছিলো বেশ খরুচে। রামানদিপ ৩.২ এভারে ৪২ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। আর ভারুন ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। আর লেগ স্পিনার রাভি বিষ্ণই ২৮ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট।