উসমান দেম্বেলের গোলে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর পিএসজির উল্লাস। ছবি: রয়টার্স
শেষ পর্যন্ত নয়জনের দল নিয়েও শক্তিশালী বায়ার্ন মিউনিখকে ২-০ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে উঠেছে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার-ফাইনালে নাটকীয় এ জয়ে দারুণ অবদান রাখেন তরুণ ফরোয়ার্ড দিজিরে দুয়ে ও বদলি হিসেবে নামা উসমান দেম্বেলে।
ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের নিচু শটে পিএসজিকে এগিয়ে দেন ১৮ বছর বয়সী দুয়ে। এরপর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে আরেকটি গোল করেন দেম্বেলে। এর মধ্যে দুটি লাল কার্ড দেখে নয়জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি, তবু শেষ পর্যন্ত জয় ধরে রাখে লুইস এনরিকের দল।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মনোভাবে নামে পিএসজি। তৃতীয় মিনিটেই গোলের সুযোগ নষ্ট করেন দুয়ে। এর তিন মিনিট পর পাল্টা আক্রমণে বায়ার্নের মাইকেল ওলিসের দুর্বল শট সহজেই ঠেকিয়ে দেন পিএসজি গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা।
ম্যাচের ২৭তম মিনিটে আবারও চমক দেখান দোন্নারুম্মা। ফরাসি মিডফিল্ডার ওলিসের জোরালো শট কর্নারে ঠেলে দেন ইতালিয়ান গোলরক্ষক।
৪৯তম মিনিটে ভালো সুযোগ পেলেও বার্কোলার শট ঠেকিয়ে দেন মানুয়েল নয়ার। তবে ৭৮ মিনিটে আর ঠেকাতে পারেননি। দুয়ের নিচু শটে বল চলে যায় কাছের পোস্ট ঘেঁষে জালে। নয়ারের প্রতিক্রিয়া ছিল দেরিতে, বল গ্লাভস ছুঁয়ে জালে জড়িয়ে যায়।
তবে গোলের পরপরই ম্যাচে নাটকীয় মোড় নেয়। ৮২তম মিনিটে লেয়ন গোরেটস্কাকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন পিএসজির ডিফেন্ডার উইলিয়ান পাচো। এরপর ৯০ মিনিটে মাঠে নামার দশ মিনিটের মধ্যেই আরেক লাল কার্ড পান লুকা এরনঁদেজ।
নয়জনের দল হলেও থেমে থাকেনি পিএসজির আক্রমণ। যোগ করা সময়ের মধ্যে হাকিমির পাস থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন দেম্বেলে, ম্যাচে ব্যবধান ২-০ করে দেন। এর আগে তাঁর শট একবার পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
শেষ মুহূর্তে বায়ার্নের টমাস মুলার ডি-বক্সে পড়ে গেলে রেফারি পেনাল্টি দেন। তবে ভিএআরের সাহায্যে সিদ্ধান্ত বদলিয়ে নেন তিনি। ফলে বায়ার্নের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায়।
এই জয়ের ফলে সেমি-ফাইনালে উঠলো পিএসজি। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ হবে রিয়াল মাদ্রিদ অথবা বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তিন ট্রফির লক্ষ্যে থাকা পিএসজি এখন ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপার খুব কাছাকাছি।
উসমান দেম্বেলের গোলে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর পিএসজির উল্লাস। ছবি: রয়টার্স
রোববার, ০৬ জুলাই ২০২৫
শেষ পর্যন্ত নয়জনের দল নিয়েও শক্তিশালী বায়ার্ন মিউনিখকে ২-০ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে উঠেছে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার-ফাইনালে নাটকীয় এ জয়ে দারুণ অবদান রাখেন তরুণ ফরোয়ার্ড দিজিরে দুয়ে ও বদলি হিসেবে নামা উসমান দেম্বেলে।
ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের নিচু শটে পিএসজিকে এগিয়ে দেন ১৮ বছর বয়সী দুয়ে। এরপর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে আরেকটি গোল করেন দেম্বেলে। এর মধ্যে দুটি লাল কার্ড দেখে নয়জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি, তবু শেষ পর্যন্ত জয় ধরে রাখে লুইস এনরিকের দল।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মনোভাবে নামে পিএসজি। তৃতীয় মিনিটেই গোলের সুযোগ নষ্ট করেন দুয়ে। এর তিন মিনিট পর পাল্টা আক্রমণে বায়ার্নের মাইকেল ওলিসের দুর্বল শট সহজেই ঠেকিয়ে দেন পিএসজি গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা।
ম্যাচের ২৭তম মিনিটে আবারও চমক দেখান দোন্নারুম্মা। ফরাসি মিডফিল্ডার ওলিসের জোরালো শট কর্নারে ঠেলে দেন ইতালিয়ান গোলরক্ষক।
৪৯তম মিনিটে ভালো সুযোগ পেলেও বার্কোলার শট ঠেকিয়ে দেন মানুয়েল নয়ার। তবে ৭৮ মিনিটে আর ঠেকাতে পারেননি। দুয়ের নিচু শটে বল চলে যায় কাছের পোস্ট ঘেঁষে জালে। নয়ারের প্রতিক্রিয়া ছিল দেরিতে, বল গ্লাভস ছুঁয়ে জালে জড়িয়ে যায়।
তবে গোলের পরপরই ম্যাচে নাটকীয় মোড় নেয়। ৮২তম মিনিটে লেয়ন গোরেটস্কাকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন পিএসজির ডিফেন্ডার উইলিয়ান পাচো। এরপর ৯০ মিনিটে মাঠে নামার দশ মিনিটের মধ্যেই আরেক লাল কার্ড পান লুকা এরনঁদেজ।
নয়জনের দল হলেও থেমে থাকেনি পিএসজির আক্রমণ। যোগ করা সময়ের মধ্যে হাকিমির পাস থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন দেম্বেলে, ম্যাচে ব্যবধান ২-০ করে দেন। এর আগে তাঁর শট একবার পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
শেষ মুহূর্তে বায়ার্নের টমাস মুলার ডি-বক্সে পড়ে গেলে রেফারি পেনাল্টি দেন। তবে ভিএআরের সাহায্যে সিদ্ধান্ত বদলিয়ে নেন তিনি। ফলে বায়ার্নের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায়।
এই জয়ের ফলে সেমি-ফাইনালে উঠলো পিএসজি। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ হবে রিয়াল মাদ্রিদ অথবা বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তিন ট্রফির লক্ষ্যে থাকা পিএসজি এখন ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপার খুব কাছাকাছি।