স্পেনিশ লা লিগা
রিয়াল মাদ্রিদ শনিবার নিজেদের মাঠে এলক্লাসিকোতে বার্সেলোনাকে ২-১ গোলে পরাজিত করে লা লিগার শিরোপার লড়াইয়ে বড় একটি বাধা অতিক্রম করেছে। করিম বেনজামা এবং টনি ক্রুসের প্রথমার্ধের গোলের সাহায্যে রিয়াল ম্যাচটি জিতে নেয়। এ জয়ের ফলে রিয়াল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকোকে স্পর্শ করেছে। অবশ্য অ্যাটলেটিকো একটি ম্যাচ কম খেলেছে। বার্সেলোনা আছে রিয়ালের ঠিক পেছনেই এক পয়েন্ট কম নিয়ে। মৌসুমের প্রথম এলক্লাসিকোতেও জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। চার দিন আগেই রিয়াল মাদ্রিদ নিজেদের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছিল লিভারপুলকে।
রিয়াল-বার্সেলোনা ম্যাচ সব সময়ই থাকে ফুটবল প্রেমীদের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে। এ ম্যাচও তার ব্যতিক্রম ছিল না। উভয় দলের জন্যই ছিল ম্যাচটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য রিয়ালের জয়ের বিকল্প কিছু ছিলনা। বার্সেলোনা জিততে পারলে তাদের পথটি হয়ে যেত মসৃন। বার্সেলোনার তারকা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি আরও একবার ব্যর্থ হলেন রিয়ালের বিপক্ষে। তিনি শেষ দিকে দারুন একটি ফ্রি কিক নিওে সেটি বাচিয়ে দেন রিয়ালের গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা হয় বৃষ্টির মধ্যে। এতে মনে হয় কিছুটা বাড়তি সুবিধা পেয়েছে বার্সেলোনা। কারণ বৃষ্টির আগে খেলায় দাপট ছিল স্বাগতিকদের এবং তারা দুই গোল করে এগিয়েও যায়। দ্বিতীয়ার্ধে তারা একটি গোল পরিশোধ করার পর সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালায়। সুযোগও তারা সৃষ্টি করে। কিন্তু বল জালে পাঠাতে না পারায় হার মেনেই মাঠ ছাড়তে হয় সফরকারীদের। মূলত প্রথমার্ধে দারুন খেলে আধ ঘন্টার মধ্যে রিয়াল ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দারুনভাবে নিজেদের দুর্গ রক্ষা করে জিনেদিন জিদানের দল। খেলার একেবারে শেষ সময়ে এক মিনিটের ব্যবধানে ক্যাসেমিরো দুইবার কার্ড দেখে মাঠ থেকে বহিস্কার হলেও পূর্ণ পয়েন্টই অর্জন করে স্বাগতিকরা। অস্কার মিনগেজা ৬০ মিনিটে একটি গোল করে ম্যাচে উত্তেজনা ফিরিয়ে আনলেও শেষ রক্ষা হয়নি বার্সেলোনার। বাকি সময়ে উভয় দলই সুযোগ সৃষ্টি করেও আর কোন গোল করতে পারেনি।
রিয়াল মাদ্রিদ প্রথম গোলটি করে ১৪ মিনিটের সময়ে। ডান দিক থেকে লুকাস ভাজকেজের ক্রসে ব্যাক হিল করে গোলটি করেন করিম বেনজামা। গোলের পরও রিয়ালের দাপট অব্যাহত থাকে এবং ২৮ মিনিটে তারা ব্যবধান দ্বিগুন করে। পেনাল্টি বক্সের ঠিক বাইরে ভিনিসিয়ুসকে ফাউল করলে ফ্রি কিক পায় রিয়াল মাদ্রিদ। টনি ক্রুসে ফ্রি কিক সার্জিনো ডেস্টের পিঠে লেগে চলে যায় জালে। জর্দি অ্যালবা গোল লাইন থেকে হেডে চেষ্টা করেও সেটি রুখতে পারেননি। ২০০০ সালের পর এই প্রথম রিয়াল মাদ্রিদের কোন খেলোয়াড় ক্লাসিকোতে ফ্রি কিক থেকে গোল করলেন। আগের গোলটি করেছিলেন রবার্তো কার্লোস। রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমনগুলো এতটাই কার্যকর ছিল যে তারা বার্সেলোনার পেনাল্টি বক্সের কাছে গেলেই মনে হয়েছে যেন আরেকটি গোল হতে যাচ্ছে। তাদের আক্রমণের চাপে কিছুটা কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে যাচ্ছিল বার্সেলোনার রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা। দ্বিতীয়ার্ধে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয় বার্সেলোনার দিক থেকে। তারা বলতে গেলে সমানতালে খেলতে থাকে রিয়ালের সাথে। সুযোগও তৈরী হয় তাদের সামনে। কিন্তু মেসি, ডেম্বেলে কিংবা গ্রিজম্যান সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। ৬০ মিনিটে মিনগেজা একটি গোল পরিশোধ করতে সমর্থ হন। শেষ দিকে বার্সেলোনা অল আউট আক্রমন করে খেলে। এর ফলে কাউন্টার অ্যাটাকে সুযোগ সৃষ্টি করে রিয়াল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে বল নিয়ন্ত্রনে নিতে না পারায় ব্যবধান বাড়াতে পারেননি ভিনিসিয়ুস এবং বেনজামা। তার পরেও তারা ম্যাচ জেতে ২-১ গোলে। বুধবার তারা আবার মাঠে নামবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে। সে ম্যাচে ড্র করলেই উঠে যাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে।
স্পেনিশ লা লিগা
রোববার, ১১ এপ্রিল ২০২১
রিয়াল মাদ্রিদ শনিবার নিজেদের মাঠে এলক্লাসিকোতে বার্সেলোনাকে ২-১ গোলে পরাজিত করে লা লিগার শিরোপার লড়াইয়ে বড় একটি বাধা অতিক্রম করেছে। করিম বেনজামা এবং টনি ক্রুসের প্রথমার্ধের গোলের সাহায্যে রিয়াল ম্যাচটি জিতে নেয়। এ জয়ের ফলে রিয়াল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকোকে স্পর্শ করেছে। অবশ্য অ্যাটলেটিকো একটি ম্যাচ কম খেলেছে। বার্সেলোনা আছে রিয়ালের ঠিক পেছনেই এক পয়েন্ট কম নিয়ে। মৌসুমের প্রথম এলক্লাসিকোতেও জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। চার দিন আগেই রিয়াল মাদ্রিদ নিজেদের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছিল লিভারপুলকে।
রিয়াল-বার্সেলোনা ম্যাচ সব সময়ই থাকে ফুটবল প্রেমীদের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে। এ ম্যাচও তার ব্যতিক্রম ছিল না। উভয় দলের জন্যই ছিল ম্যাচটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য রিয়ালের জয়ের বিকল্প কিছু ছিলনা। বার্সেলোনা জিততে পারলে তাদের পথটি হয়ে যেত মসৃন। বার্সেলোনার তারকা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি আরও একবার ব্যর্থ হলেন রিয়ালের বিপক্ষে। তিনি শেষ দিকে দারুন একটি ফ্রি কিক নিওে সেটি বাচিয়ে দেন রিয়ালের গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা হয় বৃষ্টির মধ্যে। এতে মনে হয় কিছুটা বাড়তি সুবিধা পেয়েছে বার্সেলোনা। কারণ বৃষ্টির আগে খেলায় দাপট ছিল স্বাগতিকদের এবং তারা দুই গোল করে এগিয়েও যায়। দ্বিতীয়ার্ধে তারা একটি গোল পরিশোধ করার পর সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালায়। সুযোগও তারা সৃষ্টি করে। কিন্তু বল জালে পাঠাতে না পারায় হার মেনেই মাঠ ছাড়তে হয় সফরকারীদের। মূলত প্রথমার্ধে দারুন খেলে আধ ঘন্টার মধ্যে রিয়াল ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দারুনভাবে নিজেদের দুর্গ রক্ষা করে জিনেদিন জিদানের দল। খেলার একেবারে শেষ সময়ে এক মিনিটের ব্যবধানে ক্যাসেমিরো দুইবার কার্ড দেখে মাঠ থেকে বহিস্কার হলেও পূর্ণ পয়েন্টই অর্জন করে স্বাগতিকরা। অস্কার মিনগেজা ৬০ মিনিটে একটি গোল করে ম্যাচে উত্তেজনা ফিরিয়ে আনলেও শেষ রক্ষা হয়নি বার্সেলোনার। বাকি সময়ে উভয় দলই সুযোগ সৃষ্টি করেও আর কোন গোল করতে পারেনি।
রিয়াল মাদ্রিদ প্রথম গোলটি করে ১৪ মিনিটের সময়ে। ডান দিক থেকে লুকাস ভাজকেজের ক্রসে ব্যাক হিল করে গোলটি করেন করিম বেনজামা। গোলের পরও রিয়ালের দাপট অব্যাহত থাকে এবং ২৮ মিনিটে তারা ব্যবধান দ্বিগুন করে। পেনাল্টি বক্সের ঠিক বাইরে ভিনিসিয়ুসকে ফাউল করলে ফ্রি কিক পায় রিয়াল মাদ্রিদ। টনি ক্রুসে ফ্রি কিক সার্জিনো ডেস্টের পিঠে লেগে চলে যায় জালে। জর্দি অ্যালবা গোল লাইন থেকে হেডে চেষ্টা করেও সেটি রুখতে পারেননি। ২০০০ সালের পর এই প্রথম রিয়াল মাদ্রিদের কোন খেলোয়াড় ক্লাসিকোতে ফ্রি কিক থেকে গোল করলেন। আগের গোলটি করেছিলেন রবার্তো কার্লোস। রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমনগুলো এতটাই কার্যকর ছিল যে তারা বার্সেলোনার পেনাল্টি বক্সের কাছে গেলেই মনে হয়েছে যেন আরেকটি গোল হতে যাচ্ছে। তাদের আক্রমণের চাপে কিছুটা কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে যাচ্ছিল বার্সেলোনার রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা। দ্বিতীয়ার্ধে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয় বার্সেলোনার দিক থেকে। তারা বলতে গেলে সমানতালে খেলতে থাকে রিয়ালের সাথে। সুযোগও তৈরী হয় তাদের সামনে। কিন্তু মেসি, ডেম্বেলে কিংবা গ্রিজম্যান সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। ৬০ মিনিটে মিনগেজা একটি গোল পরিশোধ করতে সমর্থ হন। শেষ দিকে বার্সেলোনা অল আউট আক্রমন করে খেলে। এর ফলে কাউন্টার অ্যাটাকে সুযোগ সৃষ্টি করে রিয়াল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে বল নিয়ন্ত্রনে নিতে না পারায় ব্যবধান বাড়াতে পারেননি ভিনিসিয়ুস এবং বেনজামা। তার পরেও তারা ম্যাচ জেতে ২-১ গোলে। বুধবার তারা আবার মাঠে নামবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে। সে ম্যাচে ড্র করলেই উঠে যাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে।