গত সপ্তাহান্তে বার্সেলোনার বিপক্ষে এলক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ ২-১ গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় সবাইকে অবাক করে দিয়ে কোচ জিনেদিন জিদান মাঠ থেকে তুলে নেন করিম বেনজামা, টনি ক্রুস এবং ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে। খেলার তখনও ১৮ মিনিট বাকি এবং সমতা ফেরানোর জন্য বার্সেলোনা মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। বেনজামা চলতি মৌসুমে রিয়ালের সেরা খেলোয়াড় এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা, মিডফিল্ডে টনি ক্রুস অদ্বিতীয় এবং কাউন্টার অ্যাটাকে ভিনিসিয়ুসের জুড়ি মেলা ভার। এদের তুলে নেয়ার পরও রিয়াল বাকি সময় বার্সেলোনার আক্রমন রুখে দিয়ে জয়ী হয়। সে জয় তাদেরকে সাময়িকভাবে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে তুলে দেয়। এখন তারা অ্যাটলেটিকোর চেয়ে মাত্র এক পয়েন্টে পিছিয়ে আছে।
একইভাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে নিজেদের মাঠে লিভারপুলের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয়ী হওয়ার পর ফিরতি লেগে অ্যানফিল্ডে তারা ড্র করে উঠে যায় সেমিফাইনালে। জয়ী হওয়ার জন্য মরিয়া ছিল লিভারপুল। প্রচন্ড চাপ সামলে তারা গোলশূন্য ড্র করে। মৌসুমের শেষ দিকে এসে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা ক্লান্তিতে ভুগছেন। তাই এখন তাদের বিশ্রাম দেয়ার জন্য মাঠে নামাতে হবে ইসকো, মার্সেলো এবং মারিয়ানো ডিয়াজের মতো খেলোয়াড়দের। জিদান বরাবরই খেলোয়াড়দের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাতে অভ্যস্ত। এতে ঝুকি থাকে ঠিকই। কিন্তু বাড়তি সুবিধাও পান তিনি। জিদান ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার যখন কোচের দায়িত্ব নিয়ে ফেরেন তখন থেকেই দলটিকে পুনঃগঠন করে যাচ্ছেন। এতে অনেক সময় দল কাঙ্খিত ফল পায়নি। জিদান অন্তত তিনবার চাকুরী হারানোর মতো পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন। প্রতিবারই তিনি সময়মতো দলের জন্য কাঙ্খিত ফল এনে দিতে সক্ষম হন এবং চাকুরীতে বহাল থাকেন। জিদানকে এবার দল গঠন করতে হয়েছে মূলত ইডেন হ্যাজার্ডকে ছাড়াই। অনেক আশা নিয়ে হ্যাজার্ডকে দলে নিয়েছিল রিয়াল। কিন্তু একের পর এক ইনজুরি তাকে রাখছে মাঠের বাইরে। বলা যায় তার কাছ থেকে রিয়াল ন্যুনতম সার্ভিসও পায়নি। চলতি মৌসুমের জন্য রিয়াল দলে নেয়নি কোন খেলোয়াড়কেই। আগে যারা ছিলেন তাদের দিয়েই চালিয়ে নিচ্ছেন জিদান। র্যামোসের সাথে চুক্তি আছে অল্প কয়েক দিন। একই অবস্থা মড্রিচের সাথেও। জিদানের নিজের চুক্তি আছে এক বছর। ফলে সে সব নিয়েও তাকে ভাবতে হচ্ছে। সাথে যোগ হয়েছে লুকাস ভাজকেজের ইনজুরি। দলের ব্যর্থতার জন্য জিদান এগুলোর একটিকেই কারণ হিসেবে দেখাতে পারতেন। কিন্তু তিনি একবারও এ সব সমস্যার কথা তোলেননি। জিদানের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ মৌসুমটা ভালভাবে শেষ করা। তার সামনে ডাবল জেতার সুযোগ। ঘরোয়া লিগের পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আরও একবার শিরোপা জেতার সুযোগ এসেছে তার সামনে। সেটা করতে পারলে রিয়াল মাদ্রিদের সেরা কোচ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন এ ফরাসী জিনিয়াস।
শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১
গত সপ্তাহান্তে বার্সেলোনার বিপক্ষে এলক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদ ২-১ গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় সবাইকে অবাক করে দিয়ে কোচ জিনেদিন জিদান মাঠ থেকে তুলে নেন করিম বেনজামা, টনি ক্রুস এবং ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে। খেলার তখনও ১৮ মিনিট বাকি এবং সমতা ফেরানোর জন্য বার্সেলোনা মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। বেনজামা চলতি মৌসুমে রিয়ালের সেরা খেলোয়াড় এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা, মিডফিল্ডে টনি ক্রুস অদ্বিতীয় এবং কাউন্টার অ্যাটাকে ভিনিসিয়ুসের জুড়ি মেলা ভার। এদের তুলে নেয়ার পরও রিয়াল বাকি সময় বার্সেলোনার আক্রমন রুখে দিয়ে জয়ী হয়। সে জয় তাদেরকে সাময়িকভাবে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে তুলে দেয়। এখন তারা অ্যাটলেটিকোর চেয়ে মাত্র এক পয়েন্টে পিছিয়ে আছে।
একইভাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে নিজেদের মাঠে লিভারপুলের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয়ী হওয়ার পর ফিরতি লেগে অ্যানফিল্ডে তারা ড্র করে উঠে যায় সেমিফাইনালে। জয়ী হওয়ার জন্য মরিয়া ছিল লিভারপুল। প্রচন্ড চাপ সামলে তারা গোলশূন্য ড্র করে। মৌসুমের শেষ দিকে এসে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা ক্লান্তিতে ভুগছেন। তাই এখন তাদের বিশ্রাম দেয়ার জন্য মাঠে নামাতে হবে ইসকো, মার্সেলো এবং মারিয়ানো ডিয়াজের মতো খেলোয়াড়দের। জিদান বরাবরই খেলোয়াড়দের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাতে অভ্যস্ত। এতে ঝুকি থাকে ঠিকই। কিন্তু বাড়তি সুবিধাও পান তিনি। জিদান ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার যখন কোচের দায়িত্ব নিয়ে ফেরেন তখন থেকেই দলটিকে পুনঃগঠন করে যাচ্ছেন। এতে অনেক সময় দল কাঙ্খিত ফল পায়নি। জিদান অন্তত তিনবার চাকুরী হারানোর মতো পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন। প্রতিবারই তিনি সময়মতো দলের জন্য কাঙ্খিত ফল এনে দিতে সক্ষম হন এবং চাকুরীতে বহাল থাকেন। জিদানকে এবার দল গঠন করতে হয়েছে মূলত ইডেন হ্যাজার্ডকে ছাড়াই। অনেক আশা নিয়ে হ্যাজার্ডকে দলে নিয়েছিল রিয়াল। কিন্তু একের পর এক ইনজুরি তাকে রাখছে মাঠের বাইরে। বলা যায় তার কাছ থেকে রিয়াল ন্যুনতম সার্ভিসও পায়নি। চলতি মৌসুমের জন্য রিয়াল দলে নেয়নি কোন খেলোয়াড়কেই। আগে যারা ছিলেন তাদের দিয়েই চালিয়ে নিচ্ছেন জিদান। র্যামোসের সাথে চুক্তি আছে অল্প কয়েক দিন। একই অবস্থা মড্রিচের সাথেও। জিদানের নিজের চুক্তি আছে এক বছর। ফলে সে সব নিয়েও তাকে ভাবতে হচ্ছে। সাথে যোগ হয়েছে লুকাস ভাজকেজের ইনজুরি। দলের ব্যর্থতার জন্য জিদান এগুলোর একটিকেই কারণ হিসেবে দেখাতে পারতেন। কিন্তু তিনি একবারও এ সব সমস্যার কথা তোলেননি। জিদানের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ মৌসুমটা ভালভাবে শেষ করা। তার সামনে ডাবল জেতার সুযোগ। ঘরোয়া লিগের পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আরও একবার শিরোপা জেতার সুযোগ এসেছে তার সামনে। সেটা করতে পারলে রিয়াল মাদ্রিদের সেরা কোচ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন এ ফরাসী জিনিয়াস।