alt

সাময়িকী

সাময়িকী কবিতা

: বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩

রক্তাক্ত পেরেকের গান
মোহাম্মদ হোসাইন

আমাকে এখন আর মন খারাপ করতে হয় না
আমি যখন কুয়াশার ভেতর দিয়ে হেঁটে যাই
কিংবা কোনো অন্ধকার আততায়ীর গুলির ভেতর দিয়ে, তখন আমার হয়ে রাত এগিয়ে আসে
জলের কান্না এগিয়ে আসে
মস্ত বড়ো একটা আকাশ আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে আমার প্রেমিকা যেদিন উধাও হয়ে গেল, সেদিন আমি তার ন্যায্যতা বোঝার আগেই বুক ভেদ করে উড়ে গেল হাজার পাখির সংবেদ; অথচ, শব্দ করে নয়, সমর্থিত সংহারের রূপে নীল মেঘের পরিখা খনন করল, আমি তার কিছুই করতে পারিনি...!

ভালোবাসা এক অন্ধ আকাক্সক্ষার নাম যার ক্ষত থেকে চিরদিন দুঃখের দিনলিপি ঝরে;

একদিন ক্রুশবিদ্ধ যে মানব হাসিমুখে রক্তান্ত পেরেকের গান গেয়েছিল, আজও তার বুকের চিলায় রৌদ্রের পালক চিকচিক করে, ভোর হয়ে বাজে সত্যের শানাই। তাই, আজও হাজারো বিলাপ শেষে পৃথিবী মুখরিত হয়, রুপোলি ঢেউয়ের দোলায় তুমুল তির ছুঁয়ে যায়...

ফুল ফোটে
সোহরাব পাশা

সুন্দরের গান
বিনয়ী রোদের ঘ্রাণ
ধু ধু নিষ্ঠুর অসংগতির
অন্ধছায়া
মালিন্যের অশ্লীল আঙুল
ত্রস্ত মেঘের মৌচাক;

আকাশে উজ্জ্বল ঘড়ি
নির্বোধ লণ্ঠন
পথের শেষ মোড়ে দাঁড়িয়ে
থাকা বালকের চোখে
বহুবার হেঁটে গেছে রাত্রির গোধূলি

সাগরে নদীর মৃত্যু-গহিন তৃষ্ণার হুলস্থুল
উজানে পথের ডাক
জীবন সংগীত;
তরঙ্গে নিঃসীম আলো-ছায়া
প্রতিশ্রুতির প্রেমের মায়া
ফুল ফোটে
রৌদ্রের ভিজে মানুষের না গাওয়া শেষ
গান- তীব্র হাওয়ার ডানায়।

ডাক
দুলাল সরকার

তুমি আমাকে ডাক দিয়েছ বিপ্লবে
চৈত্র দিনের রোদেলা এক দুপুরে
ঊর্মি ব্যাকুল, সংগ্রামী দিন উত্থানে
গেরিলা এক যোদ্ধা হতে তারুণ্যে;

তুমি আমাকে ডাক দিয়েছ প্রতিজ্ঞায়
সাহসী হবার মন্ত্র পড়ে উচ্চতায়
হাতের ভেতর মুঠোবন্দী মৃত্যুকে
ডাক দিয়েছ রক্ত দিতে-

স্বপ্ন বুনে স্বাধীন হবার, মুক্ত জীবন
বদলে যাবার বদলে দেবার নীল আকাশে-
ধাক্কা দেবার, রক্ত কমল
ছিনিয়ে এনে ঝড়ের দাপট সামলে নিয়ে

যুদ্ধ হতে যৌবনে।

চোখ ঝরে যাচ্ছে পাতালে
এমরান কবির

চর্যাপদের মতো আলো ছিলো সেখানে
ছিল ভুবন বিস্তারী হালকা আঁধার, অচেনা দৃশ্য

মনে পড়ে অথবা মনে পড়ে না
এমনসব এলাপাতাড়ি স্মৃতি
সেখানে নেমে এলো কুয়াশা অথবা শিশির
মূর্ছিত মাছের মতো লেপ্টে গেলো তারা

দূর আকাশে আজ
কেন যে
কেঁদে ওঠে শৈশবের হারানো আঁধুলি...
আমি ঠিক জানি না

শুধু শিশিরের ফোঁটায় চোখ রাখলে
দেখি- দুটি চোখ
ঝরে যাচ্ছে পাতালে

উপপাদ্য
দুপুর মিত্র

১১।
মানুষ কেন পাহাড়ের কাছে এসে চিৎকার করে
কারণ এত এত পাহাড়ের কাছে নিজেকে এতটা ক্ষুদ্র মনে হয় যে চিৎকার করে তার অস্তিত্ব আছে কিনা চেখে দেখে
কারণ তার চেয়েও পাহাড় এত বড় এটা সে মানতে পারে না
সে যখন উপরের দিকে তাকায় নিজের অসহায়ত্বকে মেনে নিতে পারে না
সে পাহাড় বেয়ে উপরে উঠতে থাকে, যেন তার অনেক হিসাব আছে পাহাড়ের কাছে
কারণ সবাই না জানলেও কেউ কেউ জানে পাহাড়ও জীবন্ত, পাহাড়ও ফেলে দেয়, গোপনে হত্যা করে কাউকে কাউকে

গোলক ধাঁধার দিন
চঞ্চল শাহরিয়ার

দুরন্ত শৈশব উঁকি দেবার আগেই উঁকি দেয় রাই বিনোদিনী। যথারীতি রেললাইনের ধারে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলা হলো না, হলো না।

রাই বিনোদিনী চোখে চোখ রেখে একবার চোখ মেরে দেয়। তারপর উত্তরের হাওয়ায় ভেসে লাল সাদা সোয়েটার নিয়ে স্বপ্ন বুনে চলে। স্বপ্ন এগিয়ে যায় পোস্ট অফিসের মোড়।

পোস্ট অফিসের মোড়ে আছে অপার মুগ্ধতা? তুমুল উচ্ছ্বাস নিয়ে গড়াতে থাকে শীত শীত অনুভব?

এইসব কৌতূহল নিয়ে আমি হাত ধরি। রাই বিনোদিনী নূপুরের সুর তুলে উল্টো পথে হাঁটে। উল্টো পথে গিয়ে দেখি স্মৃতিঘেরা লাভলী সিনেমা হল...।

ছবি

ব্রেশায় উড়োজাহাজ

ছবি

মননশস্যের অমৃত মন্থন

ছবি

অনুবাদ ও ভূমিকা : আলী সিদ্দিকী

ছবি

লোরকার দেশে

ছবি

বড়শি

ছবি

কাফকাকে পড়া, কাফকাকে পড়ানো

এ মুখর বরষায়

ছবি

রক্তে লেখা প্রেম: রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর বিপ্লব

ছবি

লোরকার দেশে

ছবি

শঙ্খজীবন: যাপিত জীবনের অন্তর্গূঢ় প্রতিকথা

ছবি

ওসামা অ্যালোমার এক ঝুড়ি খুদে গল্প

ছবি

প্রযুক্তির আলোয় বিশ্বব্যাপী বইবাণিজ্য

সাময়িকী কবিতা

ছবি

ব্রেশায় উড়োজাহাজ

ছবি

কাফকার কাছে আমাদের ঋণ স্বীকার

ছবি

কাফকাকে পড়া, কাফকাকে পড়ানো

ছবি

বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতি: একটি পর্যবেক্ষণ

ছবি

সূর্যের দেশ

ছবি

লোরকার দেশে

ছবি

লড়াই

সাময়িকী কবিতা

ছবি

প্রচলিত সাহিত্যধারার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিলেন মধুসূদন

ছবি

মেধাসম্পদের ছন্দে মাতুন

ছবি

উত্তর-মানবতাবাদ ও শিল্প-সাহিত্যে তার প্রভাব

ছবি

আমজাদ হোসেনের ‘ভিন্ন ভাষার কবিতা’

সাময়িকী কবিতা

ছবি

বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতি: একটি পর্যবেক্ষণ

ছবি

দুই ঋতপার কিসসা এবং এক ন্যাকা চৈতন্য

ছবি

অন্যজীবন অন্যআগুন ছোঁয়া

ছবি

লোরকার দেশে

ছবি

কবিজীবন, দর্শন ও কাব্যসন্ধান

ছবি

অসামান্য গদ্যশৈলীর রূপকার

ছবি

পিয়াস মজিদের ‘রূপকথার রাস্তাঘাট’

ছবি

নজরুলের নিবেদিত কবিতা : অর্ঘ্যরে শিল্পরূপ

ছবি

বাঘাডাঙা গাঁও

ছবি

বুদ্ধদেব বসুর ‘তপস্বী ও তরঙ্গিণী’ বিষয়ভাবনা

tab

সাময়িকী

সাময়িকী কবিতা

বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩

রক্তাক্ত পেরেকের গান
মোহাম্মদ হোসাইন

আমাকে এখন আর মন খারাপ করতে হয় না
আমি যখন কুয়াশার ভেতর দিয়ে হেঁটে যাই
কিংবা কোনো অন্ধকার আততায়ীর গুলির ভেতর দিয়ে, তখন আমার হয়ে রাত এগিয়ে আসে
জলের কান্না এগিয়ে আসে
মস্ত বড়ো একটা আকাশ আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে আমার প্রেমিকা যেদিন উধাও হয়ে গেল, সেদিন আমি তার ন্যায্যতা বোঝার আগেই বুক ভেদ করে উড়ে গেল হাজার পাখির সংবেদ; অথচ, শব্দ করে নয়, সমর্থিত সংহারের রূপে নীল মেঘের পরিখা খনন করল, আমি তার কিছুই করতে পারিনি...!

ভালোবাসা এক অন্ধ আকাক্সক্ষার নাম যার ক্ষত থেকে চিরদিন দুঃখের দিনলিপি ঝরে;

একদিন ক্রুশবিদ্ধ যে মানব হাসিমুখে রক্তান্ত পেরেকের গান গেয়েছিল, আজও তার বুকের চিলায় রৌদ্রের পালক চিকচিক করে, ভোর হয়ে বাজে সত্যের শানাই। তাই, আজও হাজারো বিলাপ শেষে পৃথিবী মুখরিত হয়, রুপোলি ঢেউয়ের দোলায় তুমুল তির ছুঁয়ে যায়...

ফুল ফোটে
সোহরাব পাশা

সুন্দরের গান
বিনয়ী রোদের ঘ্রাণ
ধু ধু নিষ্ঠুর অসংগতির
অন্ধছায়া
মালিন্যের অশ্লীল আঙুল
ত্রস্ত মেঘের মৌচাক;

আকাশে উজ্জ্বল ঘড়ি
নির্বোধ লণ্ঠন
পথের শেষ মোড়ে দাঁড়িয়ে
থাকা বালকের চোখে
বহুবার হেঁটে গেছে রাত্রির গোধূলি

সাগরে নদীর মৃত্যু-গহিন তৃষ্ণার হুলস্থুল
উজানে পথের ডাক
জীবন সংগীত;
তরঙ্গে নিঃসীম আলো-ছায়া
প্রতিশ্রুতির প্রেমের মায়া
ফুল ফোটে
রৌদ্রের ভিজে মানুষের না গাওয়া শেষ
গান- তীব্র হাওয়ার ডানায়।

ডাক
দুলাল সরকার

তুমি আমাকে ডাক দিয়েছ বিপ্লবে
চৈত্র দিনের রোদেলা এক দুপুরে
ঊর্মি ব্যাকুল, সংগ্রামী দিন উত্থানে
গেরিলা এক যোদ্ধা হতে তারুণ্যে;

তুমি আমাকে ডাক দিয়েছ প্রতিজ্ঞায়
সাহসী হবার মন্ত্র পড়ে উচ্চতায়
হাতের ভেতর মুঠোবন্দী মৃত্যুকে
ডাক দিয়েছ রক্ত দিতে-

স্বপ্ন বুনে স্বাধীন হবার, মুক্ত জীবন
বদলে যাবার বদলে দেবার নীল আকাশে-
ধাক্কা দেবার, রক্ত কমল
ছিনিয়ে এনে ঝড়ের দাপট সামলে নিয়ে

যুদ্ধ হতে যৌবনে।

চোখ ঝরে যাচ্ছে পাতালে
এমরান কবির

চর্যাপদের মতো আলো ছিলো সেখানে
ছিল ভুবন বিস্তারী হালকা আঁধার, অচেনা দৃশ্য

মনে পড়ে অথবা মনে পড়ে না
এমনসব এলাপাতাড়ি স্মৃতি
সেখানে নেমে এলো কুয়াশা অথবা শিশির
মূর্ছিত মাছের মতো লেপ্টে গেলো তারা

দূর আকাশে আজ
কেন যে
কেঁদে ওঠে শৈশবের হারানো আঁধুলি...
আমি ঠিক জানি না

শুধু শিশিরের ফোঁটায় চোখ রাখলে
দেখি- দুটি চোখ
ঝরে যাচ্ছে পাতালে

উপপাদ্য
দুপুর মিত্র

১১।
মানুষ কেন পাহাড়ের কাছে এসে চিৎকার করে
কারণ এত এত পাহাড়ের কাছে নিজেকে এতটা ক্ষুদ্র মনে হয় যে চিৎকার করে তার অস্তিত্ব আছে কিনা চেখে দেখে
কারণ তার চেয়েও পাহাড় এত বড় এটা সে মানতে পারে না
সে যখন উপরের দিকে তাকায় নিজের অসহায়ত্বকে মেনে নিতে পারে না
সে পাহাড় বেয়ে উপরে উঠতে থাকে, যেন তার অনেক হিসাব আছে পাহাড়ের কাছে
কারণ সবাই না জানলেও কেউ কেউ জানে পাহাড়ও জীবন্ত, পাহাড়ও ফেলে দেয়, গোপনে হত্যা করে কাউকে কাউকে

গোলক ধাঁধার দিন
চঞ্চল শাহরিয়ার

দুরন্ত শৈশব উঁকি দেবার আগেই উঁকি দেয় রাই বিনোদিনী। যথারীতি রেললাইনের ধারে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলা হলো না, হলো না।

রাই বিনোদিনী চোখে চোখ রেখে একবার চোখ মেরে দেয়। তারপর উত্তরের হাওয়ায় ভেসে লাল সাদা সোয়েটার নিয়ে স্বপ্ন বুনে চলে। স্বপ্ন এগিয়ে যায় পোস্ট অফিসের মোড়।

পোস্ট অফিসের মোড়ে আছে অপার মুগ্ধতা? তুমুল উচ্ছ্বাস নিয়ে গড়াতে থাকে শীত শীত অনুভব?

এইসব কৌতূহল নিয়ে আমি হাত ধরি। রাই বিনোদিনী নূপুরের সুর তুলে উল্টো পথে হাঁটে। উল্টো পথে গিয়ে দেখি স্মৃতিঘেরা লাভলী সিনেমা হল...।

back to top