সাহিত্য ও চিন্তার কাগজ ‘অগ্রবীজ’ ইতিমধ্যেই সারা বিশে^র বাংলাভাষী পাঠক মহলে আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য পাঠক মহলে অগ্রবীজের নাম শোনেননি এমন তরুণতর লেখকও বিরল। পত্রিকাটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলোÑ ভাল লেখা ও লেখকদেরও সমাবেশ ঘটানো। এবং বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সম্পাদকম-লী কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিংবা পাঠকের আগ্রহ সৃষ্টি করে এমন কোনো প্রয়োজনীয় বিষয়কে বেছে নেন। যে কারণে অগ্রবীজ পত্রিকাটির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিটি সংখ্যাই পাঠকের মন জয় করতে পেরেছে। আর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলোÑ প্রতিটি সংখ্যাই বিষয়ভিত্তিক সংখ্যা। একই ধারাবাহিকতায় বৈশাখ ১৪৩১ মাসে প্রকাশিত হয়েছে ‘অগ্রবীজ’-এর ‘অনুবাদ সাহিত্য’ সংখ্যা। এর আগের সংখ্যাটি ছিল “বাঙালির নাট্যচিন্তা”কে বিষয় করে।
পত্রিকাটির সম্পাদকম-লীতে রয়েছেন পাঁচজন কবি-লেখক; যারা প্রত্যেকেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে বেশ পরিচিত। তবে তাদের আর একটি দিক হলো বর্তমানে তারা কেউই বাংলাদেশ বা পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করেন না। কর্মসূত্রে তারা আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন। এই পাঁচজন হলেনÑ কবি-অনুবাদক সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ, কবি-অনুবাদক সৌম্য দাশগুপ্ত, কবি-অনুবাদক তাপস গায়েন,কবি-প্রাবন্ধিক চৌধুরী সালাহউদ্দীন মাহমুদ এবং কবি-প্রাবন্ধিক সুবিমল চক্রবর্তী। এই সম্পাদক প্যানেল থেকে প্রতিটি সংখ্যার জন্য আলাদা আলাদাভাবে একজন করে সম্পাদক নির্বাচিত হন। সেই সূত্রে বর্তমান সংখ্যার সম্পাদক হলেন সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ।
অন্যান্য সংখ্যার মতো অগ্রবীজের বর্তমান সংখ্যাটিও বিশেষভাবে পাঠকের নজর কেড়েছে। বিশেষ করে এর আকর্ষণীয় বিষয়ের কারণেই এই কৌতূহল সৃষ্টি। অনুবাদ বিষয়ে যে কোনো ভাষার লেখকেরই একপ্রকারের আকর্ষণ রয়েছে। কারণ এতে বিশ^সাহিত্যকে হাতের নাগালে পেয়ে ছুঁয়ে দেখার সুযোগ তৈরি হয়। অনুবাদ বলতে আমরা বুঝি অন্য ভাষার লেখার স্বভাষায় রূপান্তর। কিংবা নিজ ভাষার লেখাকে অন্যভাষায় রূপান্তর।
এ সংখ্যাটিতে প্রকাশিত হয়েছে অনুবাদ বিষয়ক কিছু লেখা এবং বিভিন্ন ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় রূপান্তরিত রচনাবলি।
অনুবাদ সম্পর্কে এ সংখ্যার সম্পাদক কবি সুব্রত অগাস্টিন বলেছেন: “একটা অন্য-ভাষাকে মাতৃভাষার মতো হাসিল করতে পারা হয়তো না-মুমকিন। হবারই হয়তো নয়। এমনকি কনরাড, নবোকভ বা রুশদিকেও তাঁদের ইংরেজি নিয়ে কথা শুনতে মাঝে মাঝে হয়েছে।” সম্পাদকের যৌক্তিক ধ্রুব উচ্চারণ।
এ সংখ্যার লেখক-অনুবাদদের তালিকা ও রচনাসূচি থেকে কিছু অংশ তুলে দেয়া যেতে পারে।
শরীরী কথন ও মৃত্যুভাবনার কবি এবং আলেহান্দ্রা পিসারনিক: হারানো এডভেঞ্চারগুলি: অংকুর সাহা; লিডিয়া ডেভিসের অনুগল্প: অরবিন্দ পান্তি; এউহেওি পারতিদার গল্প: আনিসুজ জামান; অনুবাদ ও বিশ^সাহিত্য: আলম খোরশেদ; অনুবাদের বিশ^ / থিক নাত হান-এর কবিতা: বেবী সাউ; অনুবাদের সমস্যা, বাংলা ভাষার, পশ্চিমবঙ্গে: শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়; এমিলি ডিকিনসনের কবিতা: সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ; বিশ^যুদ্ধোত্তর জার্মান আধুনিক কবিতা: একটি আংশিক ভূমিকÑ হিন্দোল ভট্টাচার্য। প্রভৃতি।
এছাড়াও আরো গুরুত্বপূর্ণ অনুবাদ স্থান পেয়েছে সংখ্যাটিতে। যারা বাংলা ভাষায় বিদেশি সাহিত্যকে জানতে পড়তে চান; তাদের জন্য সংখ্যাটি গুরুত্বপূর্ণ। আবার অনেক ক্ষেত্রে সবার সংগ্রহে সব বিদেশি রচনা থাকে না। এখানে বিভিন্ন জনের অনুবাদের মাধ্যমে বিশ^সাহিত্যের বিভিন্ন অঞ্চলের কিছু লেখা একত্রে পাওয়া যাবে স্বভাষায়। সংখ্যাটি পাঠকের আগ্রহ জাগাবে আশা করা যায়।
অগ্রবীজ। বর্ষ ১৭। ১ম সংখ্যা। এপ্রিল ২৯২৪। প্রচ্ছদ : আনওয়ার ফারুক। মূল্য : ৫০০ টাকা। ৫০০ রুপি।
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
সাহিত্য ও চিন্তার কাগজ ‘অগ্রবীজ’ ইতিমধ্যেই সারা বিশে^র বাংলাভাষী পাঠক মহলে আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য পাঠক মহলে অগ্রবীজের নাম শোনেননি এমন তরুণতর লেখকও বিরল। পত্রিকাটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলোÑ ভাল লেখা ও লেখকদেরও সমাবেশ ঘটানো। এবং বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সম্পাদকম-লী কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিংবা পাঠকের আগ্রহ সৃষ্টি করে এমন কোনো প্রয়োজনীয় বিষয়কে বেছে নেন। যে কারণে অগ্রবীজ পত্রিকাটির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিটি সংখ্যাই পাঠকের মন জয় করতে পেরেছে। আর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলোÑ প্রতিটি সংখ্যাই বিষয়ভিত্তিক সংখ্যা। একই ধারাবাহিকতায় বৈশাখ ১৪৩১ মাসে প্রকাশিত হয়েছে ‘অগ্রবীজ’-এর ‘অনুবাদ সাহিত্য’ সংখ্যা। এর আগের সংখ্যাটি ছিল “বাঙালির নাট্যচিন্তা”কে বিষয় করে।
পত্রিকাটির সম্পাদকম-লীতে রয়েছেন পাঁচজন কবি-লেখক; যারা প্রত্যেকেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে বেশ পরিচিত। তবে তাদের আর একটি দিক হলো বর্তমানে তারা কেউই বাংলাদেশ বা পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করেন না। কর্মসূত্রে তারা আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন। এই পাঁচজন হলেনÑ কবি-অনুবাদক সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ, কবি-অনুবাদক সৌম্য দাশগুপ্ত, কবি-অনুবাদক তাপস গায়েন,কবি-প্রাবন্ধিক চৌধুরী সালাহউদ্দীন মাহমুদ এবং কবি-প্রাবন্ধিক সুবিমল চক্রবর্তী। এই সম্পাদক প্যানেল থেকে প্রতিটি সংখ্যার জন্য আলাদা আলাদাভাবে একজন করে সম্পাদক নির্বাচিত হন। সেই সূত্রে বর্তমান সংখ্যার সম্পাদক হলেন সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ।
অন্যান্য সংখ্যার মতো অগ্রবীজের বর্তমান সংখ্যাটিও বিশেষভাবে পাঠকের নজর কেড়েছে। বিশেষ করে এর আকর্ষণীয় বিষয়ের কারণেই এই কৌতূহল সৃষ্টি। অনুবাদ বিষয়ে যে কোনো ভাষার লেখকেরই একপ্রকারের আকর্ষণ রয়েছে। কারণ এতে বিশ^সাহিত্যকে হাতের নাগালে পেয়ে ছুঁয়ে দেখার সুযোগ তৈরি হয়। অনুবাদ বলতে আমরা বুঝি অন্য ভাষার লেখার স্বভাষায় রূপান্তর। কিংবা নিজ ভাষার লেখাকে অন্যভাষায় রূপান্তর।
এ সংখ্যাটিতে প্রকাশিত হয়েছে অনুবাদ বিষয়ক কিছু লেখা এবং বিভিন্ন ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় রূপান্তরিত রচনাবলি।
অনুবাদ সম্পর্কে এ সংখ্যার সম্পাদক কবি সুব্রত অগাস্টিন বলেছেন: “একটা অন্য-ভাষাকে মাতৃভাষার মতো হাসিল করতে পারা হয়তো না-মুমকিন। হবারই হয়তো নয়। এমনকি কনরাড, নবোকভ বা রুশদিকেও তাঁদের ইংরেজি নিয়ে কথা শুনতে মাঝে মাঝে হয়েছে।” সম্পাদকের যৌক্তিক ধ্রুব উচ্চারণ।
এ সংখ্যার লেখক-অনুবাদদের তালিকা ও রচনাসূচি থেকে কিছু অংশ তুলে দেয়া যেতে পারে।
শরীরী কথন ও মৃত্যুভাবনার কবি এবং আলেহান্দ্রা পিসারনিক: হারানো এডভেঞ্চারগুলি: অংকুর সাহা; লিডিয়া ডেভিসের অনুগল্প: অরবিন্দ পান্তি; এউহেওি পারতিদার গল্প: আনিসুজ জামান; অনুবাদ ও বিশ^সাহিত্য: আলম খোরশেদ; অনুবাদের বিশ^ / থিক নাত হান-এর কবিতা: বেবী সাউ; অনুবাদের সমস্যা, বাংলা ভাষার, পশ্চিমবঙ্গে: শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়; এমিলি ডিকিনসনের কবিতা: সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ; বিশ^যুদ্ধোত্তর জার্মান আধুনিক কবিতা: একটি আংশিক ভূমিকÑ হিন্দোল ভট্টাচার্য। প্রভৃতি।
এছাড়াও আরো গুরুত্বপূর্ণ অনুবাদ স্থান পেয়েছে সংখ্যাটিতে। যারা বাংলা ভাষায় বিদেশি সাহিত্যকে জানতে পড়তে চান; তাদের জন্য সংখ্যাটি গুরুত্বপূর্ণ। আবার অনেক ক্ষেত্রে সবার সংগ্রহে সব বিদেশি রচনা থাকে না। এখানে বিভিন্ন জনের অনুবাদের মাধ্যমে বিশ^সাহিত্যের বিভিন্ন অঞ্চলের কিছু লেখা একত্রে পাওয়া যাবে স্বভাষায়। সংখ্যাটি পাঠকের আগ্রহ জাগাবে আশা করা যায়।
অগ্রবীজ। বর্ষ ১৭। ১ম সংখ্যা। এপ্রিল ২৯২৪। প্রচ্ছদ : আনওয়ার ফারুক। মূল্য : ৫০০ টাকা। ৫০০ রুপি।