alt

সাময়িকী

সম্পত্তি বিতর্ক: কেন পদত্যাগ করতে হলো টিউলিপ সিদ্দিককে

দ্যা টাইমস, লন্ডন

: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাজ্যের টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যখন টিউলিপের একটি সম্পত্তিকে ঘিরে বিতর্ক ক্রমেই বাড়তে লাগলো তিনি নিজেই সে দেশের মন্ত্রীদের মান রক্ষায় নিয়োজিত স্বাধীন উপদেষ্টা বা ইন্ডিপেন্ডেন্ট অ্যাডভাইজার স্যার লরি ম্যাগনাসের শরণাপন্ন হয়েছিলেন।

তার ওপরই নির্ভর করছিল টিউলিপের মন্ত্রীত্ব। লরি যদি বলতেন, না, সব ঠিকঠাক আছে। তাহলে পদে থাকতে পারতেন।

টিউলিপের বিরুদ্ধে সরাসরি মন্ত্রীদের জন্য প্রযোজ্য আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগের প্রমাণ লরি পাননি বটে, কিন্তু টিউলিপ যে পুরোপুরি স্বচ্ছ তাও তিনি নিশ্চিত হতে পারেননি।

এর ফলেই স্টারমার সরকারের পদটি ছাড়তে হলো তাকে। স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার সরকারের মূল শ্লোগান ‘নৈতিক সরকার’।

ফলে তার আর ওপায় ছিল না, ঘনিষ্ট সহকর্মী ও বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও টিউলিপকে রাখা আর সম্ভব ছিল না।

টাইমসের প্রতিবেদনে টিউলিপের পরিবারের বিষয়টাও উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে গণআন্দোলনের মুখে তার খালা শেখ হাসিনার পতন ও পলায়ন এবং তার বিরুদ্ধে বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পে দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগের কথা রয়েছে।

এরকম একটি দুর্নীতির অভিযোগে গত ডিসেম্বরে তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন। তাতেই টিউলিপের নাম আসে।

লরি ম্যাগনাস বলেছেন, পরিতাপের বিষয়, টিউলিপ বাংলাদেশে তার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে তার ও তার সরকারের সুনামের সম্ভাব্য ঝুঁকির ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন না।

আর সেই দিকটি বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে স্টারমারকে পরামর্শ দিয়ে চিঠি লিখেছিলেন লরি।

চিঠির সেই বাক্যেই ভাগ্য স্থির হয়ে যায় দুর্নীতি ঠেকানোর দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী টিউলিপের।

টিউলিপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ : মূল অভিযোগটা ছিল, টিউলিপ এমন কিছু সম্পত্তির সুবিধাভোগ করেছিলেন, যেগুলোর মালিক বা মূল্য পরিশোধকারীরা তার খালা হাসিনার দলের লোক।

লন্ডনের কিংস ক্রসে তিনি এরকম একটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন কারো কাছ থেকে। অন্যটি রয়েছে হ্যাম্পস্টেডে, যেটি একসময় টিউলিপ থাকতেন, এখন তার বোন থাকে। বর্তমানে টিউলিপ একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন, যেটির মালিকও আওয়ামী লীগের, বলা হয়েছে টাইমসের প্রতিবেদনে।

তদন্তে লরি ম্যাগনাস যে জায়গাটিতে ধরেছেন, সেটি হচ্ছে কিংস ক্রসের বাড়িটা টিউলিপ বলেছিলেন, তার অভিভাবকদের কাছ থেকে পেয়েছেন। কিন্তু আদতে সেটির দাম পরিশোধ করেছে একটি আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি।

ছবি

ব্রেশায় উড়োজাহাজ

ছবি

মননশস্যের অমৃত মন্থন

ছবি

অনুবাদ ও ভূমিকা : আলী সিদ্দিকী

ছবি

লোরকার দেশে

ছবি

বড়শি

ছবি

কাফকাকে পড়া, কাফকাকে পড়ানো

এ মুখর বরষায়

ছবি

রক্তে লেখা প্রেম: রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর বিপ্লব

ছবি

লোরকার দেশে

ছবি

শঙ্খজীবন: যাপিত জীবনের অন্তর্গূঢ় প্রতিকথা

ছবি

ওসামা অ্যালোমার এক ঝুড়ি খুদে গল্প

ছবি

প্রযুক্তির আলোয় বিশ্বব্যাপী বইবাণিজ্য

সাময়িকী কবিতা

ছবি

ব্রেশায় উড়োজাহাজ

ছবি

কাফকার কাছে আমাদের ঋণ স্বীকার

ছবি

কাফকাকে পড়া, কাফকাকে পড়ানো

ছবি

বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতি: একটি পর্যবেক্ষণ

ছবি

সূর্যের দেশ

ছবি

লোরকার দেশে

ছবি

লড়াই

সাময়িকী কবিতা

ছবি

প্রচলিত সাহিত্যধারার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিলেন মধুসূদন

ছবি

মেধাসম্পদের ছন্দে মাতুন

ছবি

উত্তর-মানবতাবাদ ও শিল্প-সাহিত্যে তার প্রভাব

ছবি

আমজাদ হোসেনের ‘ভিন্ন ভাষার কবিতা’

সাময়িকী কবিতা

ছবি

বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতি: একটি পর্যবেক্ষণ

ছবি

দুই ঋতপার কিসসা এবং এক ন্যাকা চৈতন্য

ছবি

অন্যজীবন অন্যআগুন ছোঁয়া

ছবি

লোরকার দেশে

ছবি

কবিজীবন, দর্শন ও কাব্যসন্ধান

ছবি

অসামান্য গদ্যশৈলীর রূপকার

ছবি

পিয়াস মজিদের ‘রূপকথার রাস্তাঘাট’

ছবি

নজরুলের নিবেদিত কবিতা : অর্ঘ্যরে শিল্পরূপ

ছবি

বাঘাডাঙা গাঁও

ছবি

বুদ্ধদেব বসুর ‘তপস্বী ও তরঙ্গিণী’ বিষয়ভাবনা

tab

সাময়িকী

সম্পত্তি বিতর্ক: কেন পদত্যাগ করতে হলো টিউলিপ সিদ্দিককে

দ্যা টাইমস, লন্ডন

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাজ্যের টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যখন টিউলিপের একটি সম্পত্তিকে ঘিরে বিতর্ক ক্রমেই বাড়তে লাগলো তিনি নিজেই সে দেশের মন্ত্রীদের মান রক্ষায় নিয়োজিত স্বাধীন উপদেষ্টা বা ইন্ডিপেন্ডেন্ট অ্যাডভাইজার স্যার লরি ম্যাগনাসের শরণাপন্ন হয়েছিলেন।

তার ওপরই নির্ভর করছিল টিউলিপের মন্ত্রীত্ব। লরি যদি বলতেন, না, সব ঠিকঠাক আছে। তাহলে পদে থাকতে পারতেন।

টিউলিপের বিরুদ্ধে সরাসরি মন্ত্রীদের জন্য প্রযোজ্য আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগের প্রমাণ লরি পাননি বটে, কিন্তু টিউলিপ যে পুরোপুরি স্বচ্ছ তাও তিনি নিশ্চিত হতে পারেননি।

এর ফলেই স্টারমার সরকারের পদটি ছাড়তে হলো তাকে। স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার সরকারের মূল শ্লোগান ‘নৈতিক সরকার’।

ফলে তার আর ওপায় ছিল না, ঘনিষ্ট সহকর্মী ও বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও টিউলিপকে রাখা আর সম্ভব ছিল না।

টাইমসের প্রতিবেদনে টিউলিপের পরিবারের বিষয়টাও উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে গণআন্দোলনের মুখে তার খালা শেখ হাসিনার পতন ও পলায়ন এবং তার বিরুদ্ধে বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পে দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগের কথা রয়েছে।

এরকম একটি দুর্নীতির অভিযোগে গত ডিসেম্বরে তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন। তাতেই টিউলিপের নাম আসে।

লরি ম্যাগনাস বলেছেন, পরিতাপের বিষয়, টিউলিপ বাংলাদেশে তার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে তার ও তার সরকারের সুনামের সম্ভাব্য ঝুঁকির ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন না।

আর সেই দিকটি বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে স্টারমারকে পরামর্শ দিয়ে চিঠি লিখেছিলেন লরি।

চিঠির সেই বাক্যেই ভাগ্য স্থির হয়ে যায় দুর্নীতি ঠেকানোর দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী টিউলিপের।

টিউলিপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ : মূল অভিযোগটা ছিল, টিউলিপ এমন কিছু সম্পত্তির সুবিধাভোগ করেছিলেন, যেগুলোর মালিক বা মূল্য পরিশোধকারীরা তার খালা হাসিনার দলের লোক।

লন্ডনের কিংস ক্রসে তিনি এরকম একটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন কারো কাছ থেকে। অন্যটি রয়েছে হ্যাম্পস্টেডে, যেটি একসময় টিউলিপ থাকতেন, এখন তার বোন থাকে। বর্তমানে টিউলিপ একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন, যেটির মালিকও আওয়ামী লীগের, বলা হয়েছে টাইমসের প্রতিবেদনে।

তদন্তে লরি ম্যাগনাস যে জায়গাটিতে ধরেছেন, সেটি হচ্ছে কিংস ক্রসের বাড়িটা টিউলিপ বলেছিলেন, তার অভিভাবকদের কাছ থেকে পেয়েছেন। কিন্তু আদতে সেটির দাম পরিশোধ করেছে একটি আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি।

back to top