alt

সাময়িকী

কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা

: রোববার, ২১ নভেম্বর ২০২১

কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়

ভালোবাসা শক্তিহীন?
বিবেচনা করার জন্যে কি দয়া, শক্তি প্রয়োজন হয় না?
ভালোবাসার জন্যে?
না-কি, এখনকার এসবই বিপরীত?
শুধু গৃহযুদ্ধ যে হচ্ছে না,
ঘরে-ঘরে যে হচ্ছে না রক্তারক্তি-
তা-ই ভালোবাসা,
স্বর্গীয়?
তাই, তোমাকে দেখেই আমি বর্তে যাই, হই পুলকিত,
এই-ই এতো দয়া?

ছুরিগুলো দানা বেঁধে হাসপাতালে
ছুরিগুলোকে সারাক্ষণ, সারাজীবন
ঘুরে বেড়াতে দেখেছি, উড়ে,
সংসারে, বাজারে, করিডোরে,
সংগঠনে, সভায়, সরাৎ-হিস্-আদ্দম;
ঘাড়, মুণ্ডু দ্রুত সরিয়ে
আঁচল, পকেট, প্লেট থেকে-, ইউনিয়নের, সম্মিলনের আলোচনার, সঙ্গীতের-
বেঁচেছি কোনোরকম।
তারপরেও হাসিমুখ বাক্যালাপের ছুরিগুলোকে
উড়ে, ঘুরে বেড়াতে দেখেছি হুশ্, হুইশ্্, সরাৎ-
প্রাণ-বাঁচাতে মুখ-চোখ ডাক করেছি অবিরাম, ধরেছি অসংখ্য বেশ।
প্রাণান্ত হয়েছে দেহ-মন দিনরাত।
যে ছুরিগুলোকে কাটিয়েছি কোনোরকম,
আমার শ্যামল হৃদয়ের কি দোষ আর
এবার ধরা পড়েছে তা অবরুদ্ধ, রুদ্ধপথ।
আর চলতে পারছে না হৃৎপিণ্ডের হৃদয়।
জানি, দীর্ঘদিনে স্তূপীকৃত চক্রান্ত আর আঘাতের চাপ
রক্তে আজ দানা-গুড়ো,
এদের দলা, মুক্ত করতে প্রাণস্রোত শল্য চিকিৎসকের ছুরি
এখন কোথায় বসবে আজ পথ খুঁজছে, তবে শেষ পর্যন্ত
রক্তাক্ত ছুরিকে আমার নিতে হবে,
এ্যাতো-দিন এড়াতে-পারা ছুরির চাপ, অন্য ছুরিকে।

তারপর আর দেহে রক্তস্রোত চলবে কি-না অনিশ্চিত

ইউনাইটেড হাসপাতাল, ২০১৫

ঐশী হত্যা
এখানে ময়না (তদন্ত)ও কৃষ্ণকথা বলবে:
ঈ-লিশ-কর্তার জীবনের কোনো অন্ধকার
পাবে না আলোর দেখা- তার এলোমেলো,
সংসারের কোন্ চাপ সন্তানকে ছোঁয়,
কোন্ অবেলায়, সদ্য-উদ্গত স্তনের কন্যার কানে
মা-বাবার কান্নাকাটি, চিৎকার, ছুঁড়ে-মারা ডিশ নয়,
টুকরো-টুকরো শত আরো ঢুকেছে অসহ
রুদ্ধদ্বার ঘরে, বালিশে গুঁজেছে মুখ কালো,
ফুলে-ফুসে উঠেছে শরীর দীর্ঘক্ষণ
স্ফীত মুদ্রায়, কড়কড়ে ব্যাংকনোটে খুঁজেছে আশ্রয় সে-
ঐশী দিন ডুবেছে নেশায়, ঘরেই খুঁড়েছে সে যুদ্ধের পরিখাকে।
একদিন মধ্যরাতে চক্রান্ত সফল, জিতেছে যুদ্ধে কন্যা
অবলা কে বলে তাকে, কোন্ পিতামাতা!
দুইজনই রক্তাক্ত ধরাশায়ী তারা-
কত সাধে রেখেছিল নাম ঐশী,
হত্যার পরাক্রম যার ঈশ্বরের।

ছবি

অর্ধেক জীবন

ছবি

ক্যান্ডি, শ্রীলঙ্কায় বেড়ানোর আদর্শ জায়গা

সাময়িকী কবিতা

ছবি

‘দূরের কার্নিশ’

ছবি

কবিতায় উড়ন্ত সারস

ছবি

সাহিত্যের দর্শনানুসন্ধান

ছবি

রবীন্দ্রসংগীত চর্চা, বাংলাদেশে-

শক্তিমান কবির কলমে গল্প

ছবি

শহীদুল হকের জীবন ও আমাদের রাজনৈতিক বাস্তবতা

ছবি

জলবন্দী স্বপ্ন

সাময়িকী কবিতা

ছবি

কমল চক্রবর্তী, আদি ও অকৃত্রিম রিংমাস্টার

ছবি

নূরুল হক : আধুনিক মরমি কবি

ছবি

ও. হেনরি : ছোটগল্পের কালজয়ী অগ্রদূত

ছবি

নজরুল : বিশ্বতোরণে বৈজয়ন্তী মানব-বিজয়-কেতন

ছবি

নিছক সাজুর গল্প

সাময়িকী কবিতা

ছবি

কবিতায় বিশ্বস্ত স্বর

ছবি

স্মৃতির আয়নাজুড়ে শহীদ ভাই

ছবি

ব্যক্তিগত শহীদ

ছবি

দূরের তারাটিকে

ছবি

একটি দুর্বিনীত নাশকতার অন্তিম চিৎকার

ছবি

যেদিন সুবিমল মিশ্র চলে গেলেন

ছবি

ফিরবে না তা জানি

ছবি

ওবায়েদ আকাশের বাছাই ৩২ কবিতা

ছবি

‘অঞ্জলি লহ মোর সঙ্গীতে’

ছবি

স্মৃতির অতল তলে

ছবি

দেহাবশেষ

ছবি

যাদুবাস্তবতা ও ইলিয়াসের যোগাযোগ

ছবি

বাংলার স্বাধীনতা আমার কবিতা

ছবি

মিহির মুসাকীর কবিতা

ছবি

শুশ্রƒষার আশ্রয়ঘর

ছবি

সময়োত্তরের কবি

ছবি

নাট্যকার অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৭৪

ছবি

মহত্ত্বম অনুভবে রবিউল হুসাইন

‘লাল গহনা’ উপন্যাসে বিষয়ের গভীরতা

tab

সাময়িকী

কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা

কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়

রোববার, ২১ নভেম্বর ২০২১

ভালোবাসা শক্তিহীন?
বিবেচনা করার জন্যে কি দয়া, শক্তি প্রয়োজন হয় না?
ভালোবাসার জন্যে?
না-কি, এখনকার এসবই বিপরীত?
শুধু গৃহযুদ্ধ যে হচ্ছে না,
ঘরে-ঘরে যে হচ্ছে না রক্তারক্তি-
তা-ই ভালোবাসা,
স্বর্গীয়?
তাই, তোমাকে দেখেই আমি বর্তে যাই, হই পুলকিত,
এই-ই এতো দয়া?

ছুরিগুলো দানা বেঁধে হাসপাতালে
ছুরিগুলোকে সারাক্ষণ, সারাজীবন
ঘুরে বেড়াতে দেখেছি, উড়ে,
সংসারে, বাজারে, করিডোরে,
সংগঠনে, সভায়, সরাৎ-হিস্-আদ্দম;
ঘাড়, মুণ্ডু দ্রুত সরিয়ে
আঁচল, পকেট, প্লেট থেকে-, ইউনিয়নের, সম্মিলনের আলোচনার, সঙ্গীতের-
বেঁচেছি কোনোরকম।
তারপরেও হাসিমুখ বাক্যালাপের ছুরিগুলোকে
উড়ে, ঘুরে বেড়াতে দেখেছি হুশ্, হুইশ্্, সরাৎ-
প্রাণ-বাঁচাতে মুখ-চোখ ডাক করেছি অবিরাম, ধরেছি অসংখ্য বেশ।
প্রাণান্ত হয়েছে দেহ-মন দিনরাত।
যে ছুরিগুলোকে কাটিয়েছি কোনোরকম,
আমার শ্যামল হৃদয়ের কি দোষ আর
এবার ধরা পড়েছে তা অবরুদ্ধ, রুদ্ধপথ।
আর চলতে পারছে না হৃৎপিণ্ডের হৃদয়।
জানি, দীর্ঘদিনে স্তূপীকৃত চক্রান্ত আর আঘাতের চাপ
রক্তে আজ দানা-গুড়ো,
এদের দলা, মুক্ত করতে প্রাণস্রোত শল্য চিকিৎসকের ছুরি
এখন কোথায় বসবে আজ পথ খুঁজছে, তবে শেষ পর্যন্ত
রক্তাক্ত ছুরিকে আমার নিতে হবে,
এ্যাতো-দিন এড়াতে-পারা ছুরির চাপ, অন্য ছুরিকে।

তারপর আর দেহে রক্তস্রোত চলবে কি-না অনিশ্চিত

ইউনাইটেড হাসপাতাল, ২০১৫

ঐশী হত্যা
এখানে ময়না (তদন্ত)ও কৃষ্ণকথা বলবে:
ঈ-লিশ-কর্তার জীবনের কোনো অন্ধকার
পাবে না আলোর দেখা- তার এলোমেলো,
সংসারের কোন্ চাপ সন্তানকে ছোঁয়,
কোন্ অবেলায়, সদ্য-উদ্গত স্তনের কন্যার কানে
মা-বাবার কান্নাকাটি, চিৎকার, ছুঁড়ে-মারা ডিশ নয়,
টুকরো-টুকরো শত আরো ঢুকেছে অসহ
রুদ্ধদ্বার ঘরে, বালিশে গুঁজেছে মুখ কালো,
ফুলে-ফুসে উঠেছে শরীর দীর্ঘক্ষণ
স্ফীত মুদ্রায়, কড়কড়ে ব্যাংকনোটে খুঁজেছে আশ্রয় সে-
ঐশী দিন ডুবেছে নেশায়, ঘরেই খুঁড়েছে সে যুদ্ধের পরিখাকে।
একদিন মধ্যরাতে চক্রান্ত সফল, জিতেছে যুদ্ধে কন্যা
অবলা কে বলে তাকে, কোন্ পিতামাতা!
দুইজনই রক্তাক্ত ধরাশায়ী তারা-
কত সাধে রেখেছিল নাম ঐশী,
হত্যার পরাক্রম যার ঈশ্বরের।

back to top