নাসিমা হক মুক্তা
প্রেম গাণিতিক সূত্র ধরে এগিয়ে যায় কিনা জানি না। তবে যে প্রেমে আগাগোড়া দুজনের সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া না থাকে সেখানে প্রেমের আসল নির্যাসটুকুু হারিয়ে যায়। যুগ-যুগান্তরের ভেতর প্রেমের আনন্দ-বেদনার সংমিশ্রণ ছিল বলেই আজ আপনি কবি, অনেকেই কবি। মনের অন্দরমহলে কোথাও না কোথাও নীরব এক সত্তা বিরাজ করে।
প্রেমের বিশ্লেষণ অনেকেই অনেকভাবে করেছেন। লা রোশফুকোর মাক্সিম বলেছেন, ‘প্রেমের আনন্দই ভালোবাসা। ভালোবাসার পাত্রকে সুখী করার চেয়ে নিজের সুখই সেখানে বড় হয়ে ওঠে।’ তিনি ঠিকই তো বলেছেন। আমি বুঝি যে প্রেম আমাকে আনন্দিত করে, যে প্রেম আমাকে জীবনের উপলব্ধি বোঝাতে সক্ষম তার সাথেই তো ‘জীবন খেয়ে বেঁচে উঠবো’। এর চেয়ে জীবনের ভেতর সৃষ্টির উন্মাদনা আর কোথাও খুঁজে পাই না। এই জন্মান্তরের মাঝে ‘প্রতিটি সৃষ্টি জীবন একবার পায়’। তাই এই পাওয়াকে উপভোগে ছাড়িয়ে যেতে না পারলে, এর মহত্ত্ব কোথায়? এর উৎস কি? যতটুকুু সময়-সীমা আছে তাতে স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করা মানেই জীবন আস্বাদন করা।
এবার আসি কবি ফারুক আফিনদীর ভেতর, প্রবেশ করি তার কাব্যময় স্বাদে, যে স্বাদ যে কেউ একবার পাঠ করলে তার মনো-সুরেতে আফিমের মতো নেশা জাগাবে। তার কবিতার বিচিত্র মগজ ও নব রূপভাবনার আলাদা বৈচিত্র্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। আমি এ বয়সকালে খুব স্বপ্ন বিলাসী, স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগে। এই স্বপ্নে সৌন্দর্য খুঁজি, বারবার প্রেমেও পড়ি। ঠিক যখন কারো আদলে বা সৃজনশীলতার অনুপম সৌন্দর্য দেখি, আমি টেনে নিই, হজম করি এন্টিবায়োটিকের মতো। আফিনদীও আমার কাছে সে সৌন্দর্যের সুবাস। তার কবিতা সঞ্জীবনী সুধা, অনুরাগ মিশ্রিত আবেগ ও মধুর প্রেমের আবহ সঙ্গীত। কবি তার ‘একুশ শতকের কবিতা’র ‘মানবিক কবিতা’ উপশিরোনামের অংশে সুচারুরূপে যে যৌন আবেদন ফুটিয়ে তুলেছেন, হয়তো অনেকেই ভাববেন, যৌনতার এক বিশেষ খায়েস। আসলে কবিতাটি তা নয়, এটি মানব সৃষ্টি হেতু দুজনের অসাধারণ মিলকরণ, মানবিক উজ্জ্বল এক সেতু। যেমন-
ওহ্! চারুকুন্তলা, এসো
সারারাত...
দুজন এককাম করি...
(একুশ শতকের কবিতা, মানবিক কবিতা/ পৃ. ৩৪)
ফারুক আফিনদীর আছে বিশাল এক রসাত্মক মুক্তমনা আবেগ। আরও আছে মেদুরতা ও রোমান্টিক অনুভূতি। যাকিছু প্রেম, তা তার কাছে আত্মরস, কোমল নির্যাস। যেমন ঝর্ণা দিয়ে গড়িয়ে পানির দ্রুত বেগ ভূপৃষ্ঠে তল ছোঁয়ার মতো। এমন প্রেমকে অসাধারণভাবে ব্যঙ্গরসেও ফুটিয়ে তুলেছেন। কখনও- কখনও প্রচলিত নিয়মের ঊর্ধ্বে গিয়েও মোহন- মধুরতায় সৃজন করেছেন।
যেমন-
আজ দুজনার পথ দুটি দিকে
ভিন্ন
অভিমান করে হল সবকিছু
ছিন্ন
-কুড়ানো পঙক্তি’
কাজ করছি। ছিন্ন ছিন্ন-ভিন্ন ভিন্ন-ছিন্নভিন্ন-ছিন্নভিন্ন-। নিজেকেও এভাবে খুব ছিন্নভিন্ন করি- একবার তারে পেলেই চিৎকার করে উঠি- ছিন্নভিন্ন করি, ছিন্ন ভিন্ন করি
(কবির কাজ : প্রসঙ্গ ভিন্ন ছিন্ন, পৃ. ৩৩)
কবিতাটি যে ঘোরের মধ্যে পাঠককে নিয়ে যায়, পুরো না পড়লে তা বোঝা যাবে না। কবি যেভাবে মাদকতা ও জাদুময় আবেশে মোহাবিষ্ট করেছেন তা পাঠে তার মুগ্ধ উদ্ধার সম্ভব। একধরনের নাদানপনা অক্ষরের ভাঁজে ভাঁজে ভেসে উঠেছে। এই জন্য বোধ, কবি হয়ে ওঠার গোপন সুরা তার লেখন শৈলীতে বিদ্যমান।
আফিনদীর কাব্যের যে পারঙ্গমতা তা অনেক বেশি পঠন-মননে জ্ঞান না থাকলে সহজে তার কবিতাকে গেলা যাবে না। একজন পাঠককে ডোবাজলে সাঁতার কাটানোর যে কৌশল তা বেশ উচ্চমাত্রার, অসাধারণ সৃষ্টি। তাই তার কবিতার দৌরাত্ম্যের কদর অর্জন করতে হলে ‘একটি গাণিতিক প্রেমপত্র’ পড়তে হবে। শুধুই কি তাই। মলাটবদ্ধ এই কাব্যগ্রন্থে বত্রিশ কবিতা, বত্রিশ ঢঙের। কবি চালাক ও রুচিশুদ্ধ মানুষ। গড়পড়তা অন্যসব কবির মতো কবিতার পর কবিতায় পৃষ্ঠা না ভরে নিখুঁত বিন্যাসে সাজিয়েছেন। তাই বলি, ‘ভালো করে মুখ যে তোমার যায় না দেখা সুন্দর হে- কবির সুন্দরের পূজারি, স্বতন্ত্রে সুন্দর’।
যেমন-
সেতঁ সেতঁ সেতঁ
সেঁ- সেঁ - সেঁ - সেঁ-
... হুস... ...হুস... ...হুস...
...ওস... ...ওস...
ওঁ
২.
এবং একটি সুপার সাউন্ড সমুদ্রে গর্জনে মিশে গেল। হাতে উঠে এল মৎস্যকন্যা।
(সুপার সাউন্ড, পৃষ্ঠা ১০)
কবি ফারুক আফিনদীর জীবন-ভাবনায় দার্শনিক আত্মোলদ্ধি বিদ্যমান। রয়েছে সৃষ্টি ছাড়িয়ে সৃজন তার শিল্প চেতনায় ধ্রুব ও মহত্তের চিরন্তন শিখা উজ্জ্বল। আর আদর্শবাদ ও সৃষ্টির দায়বদ্ধতাও মহৎ। তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা অপার। কবির কবিতার গভীরে প্রাণ-বহ্নিময় যৌবনের অভিবন্দনা খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন-
ফারিআ রহমান, তোমাকে ভালোবাসি
ফারিআ রহমান, তোমাকে ভালোবাসি
ফারিআ রহমান, তোমাকে ভালোবাসি
তুমি এসো
ফারিয়া রহমান ফারিয়া রহমান ফারিয়া রহমান- রহমান-।
এইভাবে তাহাদের টেনে আনা যায়।
(প্রেমবিদ্যা, পৃ. ৪০)
ফারুক আফিনদীর এই কাব্যগ্রন্থ স্বাক্ষরিত দলিল। বিচিত্র স্বাদের ও কবিতা নির্বচনের যে বোধ তা নিশ্চয় পাঠককে মুগ্ধ করবে। অন্য কারো কবিতা মরে গেলেও আফিনদীর কবিতা মরবে না। যে কবিতা বারবার শিহরিত করে, দ্বন্দ্বে ফেলে দেয়, তেমনভাবে ভেতরকার মনোজগতে উত্তাপ বাড়াবে, যা প্রবল এক আলোকরশ্মিতে জলকেলির ছন্দের মতো। কবির প্রণীত ‘একটা গাণিতিক প্রেমপত্র’ দলিল হয়ে থাকবে আগামী প্রজন্মের কাছে। আমি সামান্য পাঠক হিসেবে খুবই আশাবাদী। তার কবিতার মধ্য থেকে অনন্য রেশটুকুু সংযোজন করলাম...
আড্ডা ফেরত যুবক
কালা গোলাপটা
শুঁকছে
ঘরে ঢুকছে
নিজস্ব যৌন চেতনায়
শেষ রাতে
শীতে
আর একদিন অবিচলভাবে চেয়ে ছিল এই গোলাপে
তোমার নগ্ন নির্জন হাতে
ধবধবে ধোঁয়ার মতো
সাদা
চুড়ি
বাজে
মাঝে লাল
গোলাপ!
গোলাপ!
(আড্ডা ফেরত যুবক : গোলাপ, পৃষ্ঠা ৪১)
একটি গাণিতিক প্রেমপত্র। ফারুক আফিনদী। প্রকাশকাল: অক্টোবর, ২০২১। প্রকাশক: বুনন প্রকাশন, সিলেট। প্রচ্ছদ: আল নোমান। দাম : ১৮০ টাকা।
নাসিমা হক মুক্তা
বৃহস্পতিবার, ০৪ মে ২০২৩
প্রেম গাণিতিক সূত্র ধরে এগিয়ে যায় কিনা জানি না। তবে যে প্রেমে আগাগোড়া দুজনের সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া না থাকে সেখানে প্রেমের আসল নির্যাসটুকুু হারিয়ে যায়। যুগ-যুগান্তরের ভেতর প্রেমের আনন্দ-বেদনার সংমিশ্রণ ছিল বলেই আজ আপনি কবি, অনেকেই কবি। মনের অন্দরমহলে কোথাও না কোথাও নীরব এক সত্তা বিরাজ করে।
প্রেমের বিশ্লেষণ অনেকেই অনেকভাবে করেছেন। লা রোশফুকোর মাক্সিম বলেছেন, ‘প্রেমের আনন্দই ভালোবাসা। ভালোবাসার পাত্রকে সুখী করার চেয়ে নিজের সুখই সেখানে বড় হয়ে ওঠে।’ তিনি ঠিকই তো বলেছেন। আমি বুঝি যে প্রেম আমাকে আনন্দিত করে, যে প্রেম আমাকে জীবনের উপলব্ধি বোঝাতে সক্ষম তার সাথেই তো ‘জীবন খেয়ে বেঁচে উঠবো’। এর চেয়ে জীবনের ভেতর সৃষ্টির উন্মাদনা আর কোথাও খুঁজে পাই না। এই জন্মান্তরের মাঝে ‘প্রতিটি সৃষ্টি জীবন একবার পায়’। তাই এই পাওয়াকে উপভোগে ছাড়িয়ে যেতে না পারলে, এর মহত্ত্ব কোথায়? এর উৎস কি? যতটুকুু সময়-সীমা আছে তাতে স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করা মানেই জীবন আস্বাদন করা।
এবার আসি কবি ফারুক আফিনদীর ভেতর, প্রবেশ করি তার কাব্যময় স্বাদে, যে স্বাদ যে কেউ একবার পাঠ করলে তার মনো-সুরেতে আফিমের মতো নেশা জাগাবে। তার কবিতার বিচিত্র মগজ ও নব রূপভাবনার আলাদা বৈচিত্র্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। আমি এ বয়সকালে খুব স্বপ্ন বিলাসী, স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগে। এই স্বপ্নে সৌন্দর্য খুঁজি, বারবার প্রেমেও পড়ি। ঠিক যখন কারো আদলে বা সৃজনশীলতার অনুপম সৌন্দর্য দেখি, আমি টেনে নিই, হজম করি এন্টিবায়োটিকের মতো। আফিনদীও আমার কাছে সে সৌন্দর্যের সুবাস। তার কবিতা সঞ্জীবনী সুধা, অনুরাগ মিশ্রিত আবেগ ও মধুর প্রেমের আবহ সঙ্গীত। কবি তার ‘একুশ শতকের কবিতা’র ‘মানবিক কবিতা’ উপশিরোনামের অংশে সুচারুরূপে যে যৌন আবেদন ফুটিয়ে তুলেছেন, হয়তো অনেকেই ভাববেন, যৌনতার এক বিশেষ খায়েস। আসলে কবিতাটি তা নয়, এটি মানব সৃষ্টি হেতু দুজনের অসাধারণ মিলকরণ, মানবিক উজ্জ্বল এক সেতু। যেমন-
ওহ্! চারুকুন্তলা, এসো
সারারাত...
দুজন এককাম করি...
(একুশ শতকের কবিতা, মানবিক কবিতা/ পৃ. ৩৪)
ফারুক আফিনদীর আছে বিশাল এক রসাত্মক মুক্তমনা আবেগ। আরও আছে মেদুরতা ও রোমান্টিক অনুভূতি। যাকিছু প্রেম, তা তার কাছে আত্মরস, কোমল নির্যাস। যেমন ঝর্ণা দিয়ে গড়িয়ে পানির দ্রুত বেগ ভূপৃষ্ঠে তল ছোঁয়ার মতো। এমন প্রেমকে অসাধারণভাবে ব্যঙ্গরসেও ফুটিয়ে তুলেছেন। কখনও- কখনও প্রচলিত নিয়মের ঊর্ধ্বে গিয়েও মোহন- মধুরতায় সৃজন করেছেন।
যেমন-
আজ দুজনার পথ দুটি দিকে
ভিন্ন
অভিমান করে হল সবকিছু
ছিন্ন
-কুড়ানো পঙক্তি’
কাজ করছি। ছিন্ন ছিন্ন-ভিন্ন ভিন্ন-ছিন্নভিন্ন-ছিন্নভিন্ন-। নিজেকেও এভাবে খুব ছিন্নভিন্ন করি- একবার তারে পেলেই চিৎকার করে উঠি- ছিন্নভিন্ন করি, ছিন্ন ভিন্ন করি
(কবির কাজ : প্রসঙ্গ ভিন্ন ছিন্ন, পৃ. ৩৩)
কবিতাটি যে ঘোরের মধ্যে পাঠককে নিয়ে যায়, পুরো না পড়লে তা বোঝা যাবে না। কবি যেভাবে মাদকতা ও জাদুময় আবেশে মোহাবিষ্ট করেছেন তা পাঠে তার মুগ্ধ উদ্ধার সম্ভব। একধরনের নাদানপনা অক্ষরের ভাঁজে ভাঁজে ভেসে উঠেছে। এই জন্য বোধ, কবি হয়ে ওঠার গোপন সুরা তার লেখন শৈলীতে বিদ্যমান।
আফিনদীর কাব্যের যে পারঙ্গমতা তা অনেক বেশি পঠন-মননে জ্ঞান না থাকলে সহজে তার কবিতাকে গেলা যাবে না। একজন পাঠককে ডোবাজলে সাঁতার কাটানোর যে কৌশল তা বেশ উচ্চমাত্রার, অসাধারণ সৃষ্টি। তাই তার কবিতার দৌরাত্ম্যের কদর অর্জন করতে হলে ‘একটি গাণিতিক প্রেমপত্র’ পড়তে হবে। শুধুই কি তাই। মলাটবদ্ধ এই কাব্যগ্রন্থে বত্রিশ কবিতা, বত্রিশ ঢঙের। কবি চালাক ও রুচিশুদ্ধ মানুষ। গড়পড়তা অন্যসব কবির মতো কবিতার পর কবিতায় পৃষ্ঠা না ভরে নিখুঁত বিন্যাসে সাজিয়েছেন। তাই বলি, ‘ভালো করে মুখ যে তোমার যায় না দেখা সুন্দর হে- কবির সুন্দরের পূজারি, স্বতন্ত্রে সুন্দর’।
যেমন-
সেতঁ সেতঁ সেতঁ
সেঁ- সেঁ - সেঁ - সেঁ-
... হুস... ...হুস... ...হুস...
...ওস... ...ওস...
ওঁ
২.
এবং একটি সুপার সাউন্ড সমুদ্রে গর্জনে মিশে গেল। হাতে উঠে এল মৎস্যকন্যা।
(সুপার সাউন্ড, পৃষ্ঠা ১০)
কবি ফারুক আফিনদীর জীবন-ভাবনায় দার্শনিক আত্মোলদ্ধি বিদ্যমান। রয়েছে সৃষ্টি ছাড়িয়ে সৃজন তার শিল্প চেতনায় ধ্রুব ও মহত্তের চিরন্তন শিখা উজ্জ্বল। আর আদর্শবাদ ও সৃষ্টির দায়বদ্ধতাও মহৎ। তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা অপার। কবির কবিতার গভীরে প্রাণ-বহ্নিময় যৌবনের অভিবন্দনা খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন-
ফারিআ রহমান, তোমাকে ভালোবাসি
ফারিআ রহমান, তোমাকে ভালোবাসি
ফারিআ রহমান, তোমাকে ভালোবাসি
তুমি এসো
ফারিয়া রহমান ফারিয়া রহমান ফারিয়া রহমান- রহমান-।
এইভাবে তাহাদের টেনে আনা যায়।
(প্রেমবিদ্যা, পৃ. ৪০)
ফারুক আফিনদীর এই কাব্যগ্রন্থ স্বাক্ষরিত দলিল। বিচিত্র স্বাদের ও কবিতা নির্বচনের যে বোধ তা নিশ্চয় পাঠককে মুগ্ধ করবে। অন্য কারো কবিতা মরে গেলেও আফিনদীর কবিতা মরবে না। যে কবিতা বারবার শিহরিত করে, দ্বন্দ্বে ফেলে দেয়, তেমনভাবে ভেতরকার মনোজগতে উত্তাপ বাড়াবে, যা প্রবল এক আলোকরশ্মিতে জলকেলির ছন্দের মতো। কবির প্রণীত ‘একটা গাণিতিক প্রেমপত্র’ দলিল হয়ে থাকবে আগামী প্রজন্মের কাছে। আমি সামান্য পাঠক হিসেবে খুবই আশাবাদী। তার কবিতার মধ্য থেকে অনন্য রেশটুকুু সংযোজন করলাম...
আড্ডা ফেরত যুবক
কালা গোলাপটা
শুঁকছে
ঘরে ঢুকছে
নিজস্ব যৌন চেতনায়
শেষ রাতে
শীতে
আর একদিন অবিচলভাবে চেয়ে ছিল এই গোলাপে
তোমার নগ্ন নির্জন হাতে
ধবধবে ধোঁয়ার মতো
সাদা
চুড়ি
বাজে
মাঝে লাল
গোলাপ!
গোলাপ!
(আড্ডা ফেরত যুবক : গোলাপ, পৃষ্ঠা ৪১)
একটি গাণিতিক প্রেমপত্র। ফারুক আফিনদী। প্রকাশকাল: অক্টোবর, ২০২১। প্রকাশক: বুনন প্রকাশন, সিলেট। প্রচ্ছদ: আল নোমান। দাম : ১৮০ টাকা।