চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে থোরধান চিটায় পরিণত হয়ে মরে যাচ্ছে। এতে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পরছেন।
১৭ এপ্রিল বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মেদুয়ারী গ্রামে গিয়ে দেখা যায় কৃষকের বোরো ধান খেত মরে সাদা হয়ে গেছে। দূর থেকে দেখে মনে হয় সবুজ ধান খেতের মাঝখানে সাদা চিটা ধানের শিষ বাতাসে দুলছে। আসলে ধানের শিষ গুলোতে কোন চাল নেই শুধুই পাতলা ধানের চোঁচা। হাত দিয়ে স্পর্শ করলে মনে হয় ধানগুলো সম্পূর্ণ চিটায় পাতলা হয়ে গেছে।
মরা চিটা ধান হাতে কৃষক বিধান বাবু জানান তিনি ৩২ শতাংশ জমিতে ব্রি-ধান ২৮ জাতের আবাদ করেছিলেন। এতে তিনি হালচাষ বাবদ ১৬০০ টাকা, রোপন ২০০০ টাকা, এক হাজার টাকার সার, বীজ ৩০০ টাকা, পানি সেচ বাবদ ৩২০০ টাকা ও ৩০০ টাকার কীটনাশক দিয়েছেন। তার খেতের ধান সম্পূর্ণ মরে চিটা হওয়ায় ২০ মণ ধানের খেতে ২০ কেজি ধানও পাবেন না বলে তিনি জানান।
তিনি জানান, তার ও আশপাশের অনেকের ধান মরে চিটা হলেও কৃষি বিভাগের কেউ খেতের কাছে আসেননি। তিনি একটি ধান গাছের গোড়ার অংশ বের করে দেখান যেখানে মাইজ কাটা কালো দাগ রয়েছে। মাইজ কাটার কারণে ধানের শিষ মরে চিটা হয়ে ছড়া গুলো সাদা হয়ে গছে। প্রতিষেধক হিসেবে কৃষি বিভাগের পরামর্শ না পাওয়ায় তারা স্থানীয় কীটনাশক দোকানির পরামর্শে খেতে ওষুধ দিয়েও কোন ফল পাননি। ওই গ্রামের কৃষক বুইশ্যার ৫৬ শতাংশ জমির ধান চিটা হওয়ার কারণে কেটে গোখাদ্য হিসেবে বাজারে বিক্রি করেছেন বলে জানা গেছে।
একই এলাকার কৃষক বাছির উদ্দীন জানান তার ২৪ শতাংশ জমির বোরো ধান সম্পূর্ণ শীষ মরে চিটা হয়ে গেছে। স্থানীয় কীটনাশক দোকান হতে ওষুধ দিয়েও কোন ফল পাননি। একই গ্রামের লাল মিয়ার ১১ কাঠা (৭৭) শতাংশ জমির ধান মরে সম্পুর্ণ চিটা হয়ে গেছে। একই এলাকার খলিলের ৫৬ শতাংশ, আতাবদ্দির (৪২) শতাংশ, মিন্টুর (৩৫) শতাংশ, বাবুল মিয়ার (২১) শতাংশ ও সফিকুল ইসলামের (২৮) শতাংশ সহ আরও অনেকের ধান চিটা হয়ে গেছে।
এসব কৃষকদের ঘরে একমুঠো বোরো ধান উঠবেনা বলে তারা জানিয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ সঠিক পরামর্শে আক্রান্ত ফসলে ওষুধ প্রয়োগ করতে না পারায় তাদের ধান নষ্ট হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে বুধবার সকাল সোয়া ১২টার দিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুসরাত জাহানকে অফিসে না পেয়ে সরকারি নাম্বারে বার বার ফোন দিলে তা বন্ধ দেখানোয় ব্যক্তিগত নাম্বারে ফোন দিলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে থোরধান চিটায় পরিণত হয়ে মরে যাচ্ছে। এতে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পরছেন।
১৭ এপ্রিল বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মেদুয়ারী গ্রামে গিয়ে দেখা যায় কৃষকের বোরো ধান খেত মরে সাদা হয়ে গেছে। দূর থেকে দেখে মনে হয় সবুজ ধান খেতের মাঝখানে সাদা চিটা ধানের শিষ বাতাসে দুলছে। আসলে ধানের শিষ গুলোতে কোন চাল নেই শুধুই পাতলা ধানের চোঁচা। হাত দিয়ে স্পর্শ করলে মনে হয় ধানগুলো সম্পূর্ণ চিটায় পাতলা হয়ে গেছে।
মরা চিটা ধান হাতে কৃষক বিধান বাবু জানান তিনি ৩২ শতাংশ জমিতে ব্রি-ধান ২৮ জাতের আবাদ করেছিলেন। এতে তিনি হালচাষ বাবদ ১৬০০ টাকা, রোপন ২০০০ টাকা, এক হাজার টাকার সার, বীজ ৩০০ টাকা, পানি সেচ বাবদ ৩২০০ টাকা ও ৩০০ টাকার কীটনাশক দিয়েছেন। তার খেতের ধান সম্পূর্ণ মরে চিটা হওয়ায় ২০ মণ ধানের খেতে ২০ কেজি ধানও পাবেন না বলে তিনি জানান।
তিনি জানান, তার ও আশপাশের অনেকের ধান মরে চিটা হলেও কৃষি বিভাগের কেউ খেতের কাছে আসেননি। তিনি একটি ধান গাছের গোড়ার অংশ বের করে দেখান যেখানে মাইজ কাটা কালো দাগ রয়েছে। মাইজ কাটার কারণে ধানের শিষ মরে চিটা হয়ে ছড়া গুলো সাদা হয়ে গছে। প্রতিষেধক হিসেবে কৃষি বিভাগের পরামর্শ না পাওয়ায় তারা স্থানীয় কীটনাশক দোকানির পরামর্শে খেতে ওষুধ দিয়েও কোন ফল পাননি। ওই গ্রামের কৃষক বুইশ্যার ৫৬ শতাংশ জমির ধান চিটা হওয়ার কারণে কেটে গোখাদ্য হিসেবে বাজারে বিক্রি করেছেন বলে জানা গেছে।
একই এলাকার কৃষক বাছির উদ্দীন জানান তার ২৪ শতাংশ জমির বোরো ধান সম্পূর্ণ শীষ মরে চিটা হয়ে গেছে। স্থানীয় কীটনাশক দোকান হতে ওষুধ দিয়েও কোন ফল পাননি। একই গ্রামের লাল মিয়ার ১১ কাঠা (৭৭) শতাংশ জমির ধান মরে সম্পুর্ণ চিটা হয়ে গেছে। একই এলাকার খলিলের ৫৬ শতাংশ, আতাবদ্দির (৪২) শতাংশ, মিন্টুর (৩৫) শতাংশ, বাবুল মিয়ার (২১) শতাংশ ও সফিকুল ইসলামের (২৮) শতাংশ সহ আরও অনেকের ধান চিটা হয়ে গেছে।
এসব কৃষকদের ঘরে একমুঠো বোরো ধান উঠবেনা বলে তারা জানিয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ সঠিক পরামর্শে আক্রান্ত ফসলে ওষুধ প্রয়োগ করতে না পারায় তাদের ধান নষ্ট হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে বুধবার সকাল সোয়া ১২টার দিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুসরাত জাহানকে অফিসে না পেয়ে সরকারি নাম্বারে বার বার ফোন দিলে তা বন্ধ দেখানোয় ব্যক্তিগত নাম্বারে ফোন দিলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।