alt

সারাদেশ

বলছেন সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের উন্নতিতে বড় সুবিধাভোগী উত্তর-পূর্ব ভারত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের নাটকীয় উন্নতিতে উত্তর-পূর্ব ভারত বড় সুবিধাভোগী বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর। তার দাবি, ভারত-বিভাজন উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রাকৃতিক সংযোগকে ভেঙে দিয়েছিল।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত বিভাজন বিভিন্ন উপায়ে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর প্রাকৃতিক সংযোগকে ভেঙে দিয়েছে বলে সোমবার মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর। তবে তার দাবি, গত এক দশকে কেন্দ্রীয় সরকারের নানা প্রচেষ্টা ওই এলাকার সম্পদের উন্নতি করেছে।

এনডিটিভি বলছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিরোরি মাল কলেজে ‘দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং জাপানের সাথে উত্তর-পূর্ব ভারতের একীকরণ: অর্থনৈতিক বন্ধন এবং পরিবেশগত সংরক্ষণের ভারসাম্য’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন এস জয়শঙ্কর।

সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর বলেন, পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে মিয়ানমার এবং তাইওয়ানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি গত এক দশকে নয়াদিল্লিকে বিশ্বের অন্যান্য অংশের সাথে সংযুক্ত করার কাজ দৃঢ় করেছে।

তিনি বলেন, দেশভাগ তথা ভারত বিভাজনের প্রভাব প্রাথমিকভাবে রাজনৈতিক বাধার পাশাপাশি প্রশাসনিক সমস্যার কারণে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নতিকে প্রভাবিত করেছিল।

জয়শঙ্করের ভাষায়, ‘উত্তর-পূর্ব ভারতের যে প্রাকৃতিক সংযোগ ছিল বা যে সংযোগ এই অঞ্চল উপভোগ করত ভারত বিভক্তির ফলে তা অনেক উপায়ে ভেঙে গেছে। এর ফলস্বরূপ, উত্তর-পূর্বে যে প্রবৃদ্ধির মাত্রা দেখা উচিত ছিল তা মন্থর হয়ে গেছে। বিভাজনের পর প্রথম কয়েক দশকে দেশের অন্যান্য অংশগুলোর তুলনায় রাজনৈতিক বাধা এবং প্রশাসনিক সমস্যার কারণে উত্তর-পূর্বাঞ্চল সেভাবে কোনও সুবিধা পায়নি।’

ভারতের কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী আরও বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বে বর্তমান অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা একটি শক্তিশালী ফ্রন্টের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা যদি গত দশকের দিকে তাকাই, তাহলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের নাটকীয় উন্নতির জন্য বড় সুবিধাভোগী হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত।

ভারতীয় এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন ২০১৫ সালে স্থল সীমানা চুক্তি করেছিলাম, তখন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নতুন স্তরের আস্থা ও বিশ্বাস তৈরি হয়েছিল। আমরা দেখেছি, অন্যান্য অনেক সমস্যার সমাধান হচ্ছে, বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ এবং অস্থিতিশীলতা মোকাবিলা সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর।’

তার ভাষায়, ‘আমরা এখন যা দেখছি, সত্যি কথা বলতে, ইতিহাস যদি আমাদের প্রতি সদয় হতো তাহলে আরো আগেই এগুলো হওয়া উচিত ছিল। আমি সবসময় বলে থাকি, ভারতকে পূর্ব দিকে তাকানোর জন্য দিল্লিকে প্রথমে পূর্ব দিকে তাকানো উচিত এবং উত্তর-পূর্ব দিকে দেখা উচিত। তখনই কেবল উত্তর-পূর্বের সম্ভাবনার পূর্ণ ও যথাযথভাবে সমাদর করা হবে।’

মিয়ানমারের বিষয়ে এস জয়শঙ্কর বলেন, সেখানে ‘চ্যালেঞ্জ’ মোকাবিলা করার পাশাপাশি প্রবৃদ্ধির পথ তৈরি করার চেষ্টা করছে ভারত।

সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের বেশ কিছু সমস্যা ছিল। সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পর গত কয়েক বছরে আরও গুরুতর সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা আমাদের নিজেদের সীমান্তে সেসব সমস্যার পরিণতি প্রশমিত করার কাজ করছি। মিয়ানমারের মাধ্যমে কানেক্টিভিটিতে আমাদের বড় অংশীদারিত্ব রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি এই সব পদক্ষেপ ফলপ্রসু হয় এবং উত্তর-পূর্ব মিয়ানমারের মধ্য দিয়ে পূর্ব দিকে যাওয়া যায়, একইসঙ্গে বাংলাদেশের দক্ষিণ দিকে সংযোগ পাওয়া যায়, তাহলে ভারতের সমুদ্র তীরসহ সমগ্র পূর্ব ভারত আরও নিবিড়ভাবে বিকশিত হবে, যা মোদি সরকারের উদ্দেশ্য।’

জাপান এবং ভারতের সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাপানের সাথে একটি বিশেষ ফোরাম গঠন করতে বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এটি হবে ভারতের একমাত্র ফোরাম যা উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়ন এবং অন্যান্য সংযোগকারী দেশের সাথে তাদের সংযোগের জন্য নিবেদিত থাকবে।

তিনি বলেন, এই সম্পর্কের ফলে ভারতীয় অনেক প্রতিষ্ঠানে জাপানি ভাষার সম্প্রসারণসহ বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন ঘটেছে।

ছবি

রাজশাহীতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৮

ছবি

নাব্যতা সংকটে পায়রাবন্দর, বিদ্যুতের কয়লা আমদানিতে জটিলতা

ছবি

আশুলিয়ায় বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

ছবি

কক্সবাজারের তিন উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোট গ্রহণ

ছবি

পেটে গজ রেখেই সেলাই, রোগী আইসিইউতে

রামেকে দুদকের আকস্মিক অভিযান মিলেছে বহু অভিযোগের সত্যতা

রংপুরে জঙ্গি তৎপরতার দায়ে তিন জনের ৪ বছরের দণ্ড

ছবি

দোহারে ব্রি ধান-৮৯ এর ওপর মাঠ দিবস ও কারিগরি সেশন

ছবি

হাওরের প্রায় শতভাগ বোরো ধান কাটা শেষ

ছবি

সুন্দরগঞ্জে ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ভাটা বন্ধের নির্দেশ

ছবি

রায়গঞ্জে ভাঙা ব্রিজে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল, ঘটছে দুর্ঘটনা

ছবি

পোরশায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত

ছবি

চট্টগ্রামে প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাইকালে এসআই গ্রেপ্তার

ছবি

ডিমলায় সংস্কারের দুদিন পরই উঠে যাচ্ছে কোটি টাকার কার্পেটিং

ছবি

সিরাজগঞ্জে শিশু ধর্ষণ মামলায় বৃদ্ধের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

পেটে গজ রেখেই সেলাই, সংকটাপূর্ণ রোগী আইসিইউতে

ছবি

বাগাতিপাড়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকের বাড়িতে হামলা

জমি বিবাদে গৃহবধূকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪

ছবি

ইন্দুরকানীতে সংস্কারের অভাবে সড়ক বেহাল

সংবাদ-এর ৭৪ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আলোচনা

ছবি

কুড়িগ্রামে এক টাকায় ১০টি হাতপাখা বিক্রি

ছবি

করলা চাষে দ্বিগুণ লাভে খুশি কৃষক

ছবি

দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও কাউখালীর ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটির কদর

ছবি

সাড়ে ৮ বিঘা জমির ফসল কাটল দুর্বৃত্তরা

ছবি

বগুড়ায় আলুর হিমাগার থেকে এক লাখ ডিম উদ্ধার

ছবি

মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত

ছবি

সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাচন এমপি এক প্রার্থীকে সমর্থন উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় ভোটাররা

ছবি

সিরাজগঞ্জে হেরোইন রাখার দায়ে দুই যুবকের যাবজ্জীবন

সংবাদ প্রতিনিধি হারাধন পেলেন মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড

ছবি

আনোয়ারায় অধ্যক্ষের রুমে দুই শিক্ষকের মারামারি, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ছবি

মুন্সীগঞ্জ আব্দুল আজহার উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে দশগুণ বেশি মূল্যে মনোনয়নপত্র বিক্রি

ছবি

মুকসুদপুরে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

ডাকাতি করতে গিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪

ছবি

লক্ষ্মীছড়ির স্থগিত দুই কেন্দ্রের ভোট ২৯ মে

ছবি

অটোরিকশা চালকদের তাণ্ডবের ঘটনায় ৪ মামলা, আসামি প্রায় ২৫০০

ছবি

র‍্যাব হেফাজতে নারী মৃত্যুর ঘটনায় ক্যাম্প কমান্ডার প্রত্যাহার

tab

সারাদেশ

বলছেন সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের উন্নতিতে বড় সুবিধাভোগী উত্তর-পূর্ব ভারত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের নাটকীয় উন্নতিতে উত্তর-পূর্ব ভারত বড় সুবিধাভোগী বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর। তার দাবি, ভারত-বিভাজন উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রাকৃতিক সংযোগকে ভেঙে দিয়েছিল।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত বিভাজন বিভিন্ন উপায়ে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর প্রাকৃতিক সংযোগকে ভেঙে দিয়েছে বলে সোমবার মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর। তবে তার দাবি, গত এক দশকে কেন্দ্রীয় সরকারের নানা প্রচেষ্টা ওই এলাকার সম্পদের উন্নতি করেছে।

এনডিটিভি বলছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিরোরি মাল কলেজে ‘দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং জাপানের সাথে উত্তর-পূর্ব ভারতের একীকরণ: অর্থনৈতিক বন্ধন এবং পরিবেশগত সংরক্ষণের ভারসাম্য’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন এস জয়শঙ্কর।

সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর বলেন, পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে মিয়ানমার এবং তাইওয়ানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ভারতের সম্পর্কের উন্নতি গত এক দশকে নয়াদিল্লিকে বিশ্বের অন্যান্য অংশের সাথে সংযুক্ত করার কাজ দৃঢ় করেছে।

তিনি বলেন, দেশভাগ তথা ভারত বিভাজনের প্রভাব প্রাথমিকভাবে রাজনৈতিক বাধার পাশাপাশি প্রশাসনিক সমস্যার কারণে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নতিকে প্রভাবিত করেছিল।

জয়শঙ্করের ভাষায়, ‘উত্তর-পূর্ব ভারতের যে প্রাকৃতিক সংযোগ ছিল বা যে সংযোগ এই অঞ্চল উপভোগ করত ভারত বিভক্তির ফলে তা অনেক উপায়ে ভেঙে গেছে। এর ফলস্বরূপ, উত্তর-পূর্বে যে প্রবৃদ্ধির মাত্রা দেখা উচিত ছিল তা মন্থর হয়ে গেছে। বিভাজনের পর প্রথম কয়েক দশকে দেশের অন্যান্য অংশগুলোর তুলনায় রাজনৈতিক বাধা এবং প্রশাসনিক সমস্যার কারণে উত্তর-পূর্বাঞ্চল সেভাবে কোনও সুবিধা পায়নি।’

ভারতের কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী আরও বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বে বর্তমান অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা একটি শক্তিশালী ফ্রন্টের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা যদি গত দশকের দিকে তাকাই, তাহলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের নাটকীয় উন্নতির জন্য বড় সুবিধাভোগী হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত।

ভারতীয় এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন ২০১৫ সালে স্থল সীমানা চুক্তি করেছিলাম, তখন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নতুন স্তরের আস্থা ও বিশ্বাস তৈরি হয়েছিল। আমরা দেখেছি, অন্যান্য অনেক সমস্যার সমাধান হচ্ছে, বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ এবং অস্থিতিশীলতা মোকাবিলা সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর।’

তার ভাষায়, ‘আমরা এখন যা দেখছি, সত্যি কথা বলতে, ইতিহাস যদি আমাদের প্রতি সদয় হতো তাহলে আরো আগেই এগুলো হওয়া উচিত ছিল। আমি সবসময় বলে থাকি, ভারতকে পূর্ব দিকে তাকানোর জন্য দিল্লিকে প্রথমে পূর্ব দিকে তাকানো উচিত এবং উত্তর-পূর্ব দিকে দেখা উচিত। তখনই কেবল উত্তর-পূর্বের সম্ভাবনার পূর্ণ ও যথাযথভাবে সমাদর করা হবে।’

মিয়ানমারের বিষয়ে এস জয়শঙ্কর বলেন, সেখানে ‘চ্যালেঞ্জ’ মোকাবিলা করার পাশাপাশি প্রবৃদ্ধির পথ তৈরি করার চেষ্টা করছে ভারত।

সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের বেশ কিছু সমস্যা ছিল। সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পর গত কয়েক বছরে আরও গুরুতর সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা আমাদের নিজেদের সীমান্তে সেসব সমস্যার পরিণতি প্রশমিত করার কাজ করছি। মিয়ানমারের মাধ্যমে কানেক্টিভিটিতে আমাদের বড় অংশীদারিত্ব রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি এই সব পদক্ষেপ ফলপ্রসু হয় এবং উত্তর-পূর্ব মিয়ানমারের মধ্য দিয়ে পূর্ব দিকে যাওয়া যায়, একইসঙ্গে বাংলাদেশের দক্ষিণ দিকে সংযোগ পাওয়া যায়, তাহলে ভারতের সমুদ্র তীরসহ সমগ্র পূর্ব ভারত আরও নিবিড়ভাবে বিকশিত হবে, যা মোদি সরকারের উদ্দেশ্য।’

জাপান এবং ভারতের সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাপানের সাথে একটি বিশেষ ফোরাম গঠন করতে বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এটি হবে ভারতের একমাত্র ফোরাম যা উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়ন এবং অন্যান্য সংযোগকারী দেশের সাথে তাদের সংযোগের জন্য নিবেদিত থাকবে।

তিনি বলেন, এই সম্পর্কের ফলে ভারতীয় অনেক প্রতিষ্ঠানে জাপানি ভাষার সম্প্রসারণসহ বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন ঘটেছে।

back to top