ঘটনাটি ২০১৯ সালের ৯ আগস্টের। ঐদিন সিলেট সদর উপজেলার শিবের বাজার এলাকায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে নইম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি হামলার পর হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ১৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পাঁচ মাস পর ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করে এবং বর্তমানে মামলাটির বিচারাধীন। আর এই বিচারাধীন মামলার অভিযুক্ত খসরু মিয়া হত্যাকাণ্ডের শিকার নইম উদ্দিন হত্যা মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা দায়ের করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৬ এপ্রিল এসএমপির জালালাবাদ থানায় এ মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
মামলার (নং ২২/৫৮) এজাহারের খসরু মিয়া অভিযোগ করেন, ২৪ এপ্রিল রাতে বাজারে দুটি গরু বিক্রিসহ মোট চার লাখ ৩৪ হাজার টাকা নিয়ে ফেরার সময় তাকে আটকিয়ে জখম করে উল্লেখিত পরিমাণ টাকা ছিনতাই করে নেয়া হয়। এ ঘটনায় ৫ জনকে অভিযুক্ত করে এজাহার দাখিল করিলে পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে। এরপরেই এলাকায় দেখা দেয় বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
শিবের বাজারের ব্যবসায়ী কাচা মিয়া, নুরুল ইসলাম, ফজলসহ কয়েকজন জানান, খসরু মিয়া বাদী হয়ে যাদের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা দায়ের করেছেন সেটি মিথ্যা ও বানোয়াট।
তারা বলেন, এ ধরনের কোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে কিনা তারা আদৌ জানেন না। যদি ঘটে থাকে তাহলে অন্যরা জড়িত। কিন্তু যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেছেন তারা এ ধরনের ঘটনার সাথে কোনভাবেই সম্পৃক্ত নন। মূলত, শিবের বাজার এলাকায় ২০১৯ সালে একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামী হলেন খসরু মিয়া। আর বর্তমানে তিনি যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা করেছেন তারা হলেন ওই মামলার স্বাক্ষী। তাই ব্যক্তি আক্রোশে তাদেরকে এ ধরনের মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে তারা মন্তব্য করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিবের বাজারের নোয়াগাঁওয়ের বাসিন্দা খসরু মিয়া ও নইম উদ্দিনের মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে নইম উদ্দিন ২০১৯ সালের ৯ জুলাই অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সিলেট এ একটি সি আর (জালালাবাদ থানার বিবিধ মামলা নং ২৪/২০১৯) মামলা দায়ের করেন। এই মামলা দায়েরের ঠিক একমাস পর ৯ আগস্ট দুপুরে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন নঈম উদ্দিন। রক্তাক্ত গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১২ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ঐ দিনই নিহতের স্ত্রী পারভিন বেগম বাদী হয়ে এসএমপির জালাবাদ থানায় একটি (নং-১১) হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় খসরু মিয়াকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে থানার ইন্সপেক্টর মোঃ শাহ আলম সংশ্লিষ্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এই অভিযোগপত্রেও খসরু মিয়ার নাম রয়েছে।
মামলার বাদী পারভিন বেগম জানান, খসরু মিয়া সম্প্রতি যাদের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা দায়ের করেছেন তারা তার স্বামী হত্যা মামলার স্বাক্ষী। আর খসরু মিয়া এ মামলার আসামি হওয়ার কারণে চক্রান্ত করে তাদের আসামি করেছেন।
তিনি বলেন, মূলত হত্যা মামলাটি দুর্বল করার লক্ষ্যে এ অপপ্রয়াস। তিনিসহ এলাকার লোকজন খসরু মিয়ার দায়ের করা ‘সাজানো’ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, ছিনতাই মামলাটি রেকর্ড হওয়ার পর বাদী যে পূর্বের হত্যা মামলার আসামি তা আমরা জানতে পেরেছি। ফলে এটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
ঘটনাটি ২০১৯ সালের ৯ আগস্টের। ঐদিন সিলেট সদর উপজেলার শিবের বাজার এলাকায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে নইম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি হামলার পর হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ১৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পাঁচ মাস পর ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করে এবং বর্তমানে মামলাটির বিচারাধীন। আর এই বিচারাধীন মামলার অভিযুক্ত খসরু মিয়া হত্যাকাণ্ডের শিকার নইম উদ্দিন হত্যা মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা দায়ের করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৬ এপ্রিল এসএমপির জালালাবাদ থানায় এ মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
মামলার (নং ২২/৫৮) এজাহারের খসরু মিয়া অভিযোগ করেন, ২৪ এপ্রিল রাতে বাজারে দুটি গরু বিক্রিসহ মোট চার লাখ ৩৪ হাজার টাকা নিয়ে ফেরার সময় তাকে আটকিয়ে জখম করে উল্লেখিত পরিমাণ টাকা ছিনতাই করে নেয়া হয়। এ ঘটনায় ৫ জনকে অভিযুক্ত করে এজাহার দাখিল করিলে পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে। এরপরেই এলাকায় দেখা দেয় বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
শিবের বাজারের ব্যবসায়ী কাচা মিয়া, নুরুল ইসলাম, ফজলসহ কয়েকজন জানান, খসরু মিয়া বাদী হয়ে যাদের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা দায়ের করেছেন সেটি মিথ্যা ও বানোয়াট।
তারা বলেন, এ ধরনের কোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে কিনা তারা আদৌ জানেন না। যদি ঘটে থাকে তাহলে অন্যরা জড়িত। কিন্তু যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেছেন তারা এ ধরনের ঘটনার সাথে কোনভাবেই সম্পৃক্ত নন। মূলত, শিবের বাজার এলাকায় ২০১৯ সালে একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামী হলেন খসরু মিয়া। আর বর্তমানে তিনি যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা করেছেন তারা হলেন ওই মামলার স্বাক্ষী। তাই ব্যক্তি আক্রোশে তাদেরকে এ ধরনের মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে তারা মন্তব্য করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিবের বাজারের নোয়াগাঁওয়ের বাসিন্দা খসরু মিয়া ও নইম উদ্দিনের মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে নইম উদ্দিন ২০১৯ সালের ৯ জুলাই অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সিলেট এ একটি সি আর (জালালাবাদ থানার বিবিধ মামলা নং ২৪/২০১৯) মামলা দায়ের করেন। এই মামলা দায়েরের ঠিক একমাস পর ৯ আগস্ট দুপুরে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন নঈম উদ্দিন। রক্তাক্ত গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১২ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ঐ দিনই নিহতের স্ত্রী পারভিন বেগম বাদী হয়ে এসএমপির জালাবাদ থানায় একটি (নং-১১) হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় খসরু মিয়াকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে থানার ইন্সপেক্টর মোঃ শাহ আলম সংশ্লিষ্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এই অভিযোগপত্রেও খসরু মিয়ার নাম রয়েছে।
মামলার বাদী পারভিন বেগম জানান, খসরু মিয়া সম্প্রতি যাদের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা দায়ের করেছেন তারা তার স্বামী হত্যা মামলার স্বাক্ষী। আর খসরু মিয়া এ মামলার আসামি হওয়ার কারণে চক্রান্ত করে তাদের আসামি করেছেন।
তিনি বলেন, মূলত হত্যা মামলাটি দুর্বল করার লক্ষ্যে এ অপপ্রয়াস। তিনিসহ এলাকার লোকজন খসরু মিয়ার দায়ের করা ‘সাজানো’ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, ছিনতাই মামলাটি রেকর্ড হওয়ার পর বাদী যে পূর্বের হত্যা মামলার আসামি তা আমরা জানতে পেরেছি। ফলে এটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।