বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইশা ফৌজিয়া মিমের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বরিশাল-কুয়াকাটা ও বরিশাল-ভোলা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে। ঘটনার পরপরই তারা অভিযুক্ত বাস চালক ও মালিককে গ্রেপ্তারসহ ১০ দফা দাবি জানায়। প্রশাসনের আশ্বাসে এবং দূরপাল্লার ৩০টি বাস বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আটকে রেখে সন্ধ্যায় অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক সুজয় শুভ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে অবস্থান নেয়। দাবি আদায়ের জন্য শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে, কিন্তু দীর্ঘ সময়েও অভিযুক্ত বাস চালককে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে দ্রুত দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে সন্ধ্যা ৭টায় মহাসড়ক ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে সড়ক পার হওয়ার সময় বাস চাপায় প্রাণ হারান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মাইশা ফৌজিয়া মিম। তার গ্রামের বাড়ি ঢাকার আজিমপুর শ্যামলীতে। এ ঘটনার পরপরই ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নারায়ণগঞ্জ ট্রাভেলসের বাসটি আটকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং রাত ২টা পর্যন্ত মহাসড়কে অবরোধ করে রাখে।
শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে আট ঘণ্টার সময়সীমা দেয় অভিযুক্ত চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তারের জন্য। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় পরদিন সকাল ১০টায় তারা আবার মহাসড়কে অবস্থান নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিন বলেন, “শিক্ষার্থীদের প্রতিটি দাবি আমারও দাবি। দুর্ঘটনার পর থেকেই এসব দাবি পূরণে আমরা কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে বিআরটিএ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সড়কে স্পিড ব্রেকার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। বাস চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করছে, আশা করছি শীঘ্রই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমি চাই না আর কোনো শিক্ষার্থীর প্রাণ সড়কে ঝরে যাক।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাহাত হোসাইন ফয়সাল জানান, “মিমের জানাজা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঢাকায় তাকে পারিবারিক তত্ত্বাবধানে দাফন করা হবে।” প্রক্টর আরও জানান, শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ দাবি পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং অবশিষ্ট দাবিগুলো নিয়েও কাজ চলছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর মিমের সুরতহাল সম্পন্ন করা হয় এবং তার লাশ উপাচার্যের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, “পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দায়ীদের আটকে অভিযান চলছে।”
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের পদক্ষেপ শুরু করেছি। সড়কে দ্রুতগতির গতিরোধক নির্মাণসহ অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্রুত শেষ হবে।”
অবশেষে প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করলেও, শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হলে তারা আবারও আন্দোলনে নামবে।
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইশা ফৌজিয়া মিমের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বরিশাল-কুয়াকাটা ও বরিশাল-ভোলা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে। ঘটনার পরপরই তারা অভিযুক্ত বাস চালক ও মালিককে গ্রেপ্তারসহ ১০ দফা দাবি জানায়। প্রশাসনের আশ্বাসে এবং দূরপাল্লার ৩০টি বাস বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আটকে রেখে সন্ধ্যায় অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক সুজয় শুভ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে অবস্থান নেয়। দাবি আদায়ের জন্য শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে, কিন্তু দীর্ঘ সময়েও অভিযুক্ত বাস চালককে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে দ্রুত দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে সন্ধ্যা ৭টায় মহাসড়ক ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে সড়ক পার হওয়ার সময় বাস চাপায় প্রাণ হারান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মাইশা ফৌজিয়া মিম। তার গ্রামের বাড়ি ঢাকার আজিমপুর শ্যামলীতে। এ ঘটনার পরপরই ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নারায়ণগঞ্জ ট্রাভেলসের বাসটি আটকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং রাত ২টা পর্যন্ত মহাসড়কে অবরোধ করে রাখে।
শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে আট ঘণ্টার সময়সীমা দেয় অভিযুক্ত চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তারের জন্য। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় পরদিন সকাল ১০টায় তারা আবার মহাসড়কে অবস্থান নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিন বলেন, “শিক্ষার্থীদের প্রতিটি দাবি আমারও দাবি। দুর্ঘটনার পর থেকেই এসব দাবি পূরণে আমরা কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে বিআরটিএ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সড়কে স্পিড ব্রেকার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। বাস চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ কাজ করছে, আশা করছি শীঘ্রই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমি চাই না আর কোনো শিক্ষার্থীর প্রাণ সড়কে ঝরে যাক।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাহাত হোসাইন ফয়সাল জানান, “মিমের জানাজা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঢাকায় তাকে পারিবারিক তত্ত্বাবধানে দাফন করা হবে।” প্রক্টর আরও জানান, শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ দাবি পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং অবশিষ্ট দাবিগুলো নিয়েও কাজ চলছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর মিমের সুরতহাল সম্পন্ন করা হয় এবং তার লাশ উপাচার্যের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, “পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দায়ীদের আটকে অভিযান চলছে।”
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের পদক্ষেপ শুরু করেছি। সড়কে দ্রুতগতির গতিরোধক নির্মাণসহ অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্রুত শেষ হবে।”
অবশেষে প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করলেও, শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হলে তারা আবারও আন্দোলনে নামবে।