নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল এলাকার লেকে পাওয়া সাত টুকরার মরদেহটি জসিম উদ্দিন মাসুম (৫৯) নামের এক ব্যবসায়ীর বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে লাশটি দেখে পরিবারের সদস্যরা সেটি জসিমউদ্দিন মাসুমের বলে শনাক্ত করেন বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।
জসিম উদ্দিন মাসুম রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার চাঁদ ডায়িং ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। ১০ নভেম্বর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি।পরে ১১ নভেম্বর তার নিখোঁজের গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার।
নিহতের ছেলে সাইফুল ইসলাম সিহাব বলেন, রোববার বিকালে বাবা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বাসা থেকে বের হইছিলেন৷ গুলশানে গাড়িটি ছেড়ে দেন এবং অন্য আরেকটি গাড়িতে নারায়ণগঞ্জ কারখানায় যাবেন বলে ড্রাইভারকে জানান। এরপর রাত সাড়ে এগারোটাও মায়ের সঙ্গে ফোনে বাবার কথা হয়৷ কিন্তু তিনি আর রাতে ফেরেননি৷ পরদিন সকাল সাতটার দিকে তার দু’টো নম্বরে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, পরে কোথাও তার খোঁজ না পেয়ে আমরা থানায় জিডি করি৷ গতকাল (বুধবার) বাবার টুকরো লাশের খবর পেয়ে আমার তো মাথায় আসমান ভাইঙা পড়ে।
তিনি বলেন, বাবার সঙ্গে কারও দ্বন্দ্ব ছিল কিনা জানি না। কেন তাকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হলো তার কোনো রহস্য খুঁজে পাচ্ছি না।
অতিরিক্ত পুলিশ (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে৷ পুলিশ কিছু ক্লু পেয়েছে, হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।
গতকাল সকালে পূর্বাচল ৫ নম্বর সেক্টরের একটি লেকে হাতমুখ ধোয়ার সময় দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে পলিথিন মোড়ানো লাশ দেখতে পান স্থানীয় এক রিকশাচালক। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানালে পুলিশ তিনটি কালো পলিথিনে মোড়ানো সাত টুকরা মরদেহ উদ্ধার করে। পরে লাশের খণ্ডাংশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ-১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল এলাকার লেকে পাওয়া সাত টুকরার মরদেহটি জসিম উদ্দিন মাসুম (৫৯) নামের এক ব্যবসায়ীর বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে লাশটি দেখে পরিবারের সদস্যরা সেটি জসিমউদ্দিন মাসুমের বলে শনাক্ত করেন বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।
জসিম উদ্দিন মাসুম রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার চাঁদ ডায়িং ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। ১০ নভেম্বর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি।পরে ১১ নভেম্বর তার নিখোঁজের গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার।
নিহতের ছেলে সাইফুল ইসলাম সিহাব বলেন, রোববার বিকালে বাবা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বাসা থেকে বের হইছিলেন৷ গুলশানে গাড়িটি ছেড়ে দেন এবং অন্য আরেকটি গাড়িতে নারায়ণগঞ্জ কারখানায় যাবেন বলে ড্রাইভারকে জানান। এরপর রাত সাড়ে এগারোটাও মায়ের সঙ্গে ফোনে বাবার কথা হয়৷ কিন্তু তিনি আর রাতে ফেরেননি৷ পরদিন সকাল সাতটার দিকে তার দু’টো নম্বরে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, পরে কোথাও তার খোঁজ না পেয়ে আমরা থানায় জিডি করি৷ গতকাল (বুধবার) বাবার টুকরো লাশের খবর পেয়ে আমার তো মাথায় আসমান ভাইঙা পড়ে।
তিনি বলেন, বাবার সঙ্গে কারও দ্বন্দ্ব ছিল কিনা জানি না। কেন তাকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হলো তার কোনো রহস্য খুঁজে পাচ্ছি না।
অতিরিক্ত পুলিশ (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে৷ পুলিশ কিছু ক্লু পেয়েছে, হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।
গতকাল সকালে পূর্বাচল ৫ নম্বর সেক্টরের একটি লেকে হাতমুখ ধোয়ার সময় দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে পলিথিন মোড়ানো লাশ দেখতে পান স্থানীয় এক রিকশাচালক। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানালে পুলিশ তিনটি কালো পলিথিনে মোড়ানো সাত টুকরা মরদেহ উদ্ধার করে। পরে লাশের খণ্ডাংশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ-১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।