ফিরে এসেছে স্বস্তি
গাজীপুর মহানগরীর টিএনজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের পাঁচটি কারখানার ১২০ জন স্টাফসহ ৬ হাজার জন শ্রমিক তাদের বকেয়া এক মাসের বেতন নির্ধারিত সময়ের আগেই হাতে পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে দুই কিস্তিতে শ্রমিকদের বিকাশ একাউন্টে ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এতে শ্রমিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বেতন হাতে পেয়ে অ্যাপারেলস কারখানার শ্রমিকরা বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে আমদের বেতন দেয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ নিজ বিকাশ অ্যাকাউন্টে আমাদের বকেয়া একমাসের বেতন হাতে পেয়েছি। মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই এখন কাজে যোগ দিব।
অন্যদিকে, শনিবার সকাল থেকে কারখানা গুলো পুনরায় চালু হবে বলে জানিয়েছেন টিএনজেড গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান হেদায়াতুল হক। তিনি আশা করছেন, শ্রমিকরা কাজে যোগ দিবে।
কলকারখা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, টিএনজেড গ্রুপের গাজীপুর মহানগরের মোগরখাল এলাকায় ৫টি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার মধ্যে টিএনজেড অ্যাপারেলস লিমিটেডে শ্রমিকের সংখ্যা ২ হাজার ৮০০ জন, বেসিক ক্লথিং লিমিটেডে ৪২০ জন, অ্যাপারেল আর্ট লিমিটেডে ৪০০ জন শ্রমিক রয়েছে। এছাড়া এক্সপো কার্টুনে ৪০ জন এবং এমএনএস ইয়ার্ণ ডায়িং এ ৮০ জন স্টাফ রয়েছেন। এসবের মধ্যে প্রথম তিনটিতে শ্রমিকদের অক্টোবর ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বকেয়া ছিল। আর অন্য দুটিতে স্টাফদের বেতন ও সার্ভিস বেনিফিট বকেয়া ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৯ নভেম্বর (শনিবার) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টিএনজেড গ্রুপের পাঁচটি কারখানার প্রায় দুই হাজার শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবীতে গাজীপুর মহানগরীর মোঘরখাল এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ভয়াভহ যানজট ছড়িয়ে পড়ে। এ দুটি মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষের সীমাহীন দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে। ব্যাহত হয় স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। ক্ষতিগ্রস্থ হয় পন্য পরিবহন। এ আন্দোলন চলে টানা ৩ দিন। পরে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান ঘোষণা দেন শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের দায়িত্ব সরকারের। সরকার শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করবে। পরে মন্ত্রণালয়ে শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার ও মালিকপক্ষ সমঝোতা বৈঠকে চুক্তি হয়। গত সোমবার রাতে শ্রম ভবনে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে টিএনজেড গ্রুপের ৩১ জন শ্রমিক প্রতিনিধি, বিজিএমইএর নেতারা এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সর্বসম্মতিক্রমে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে বলা হয়, ১৭ নভেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের সেপ্টেম্বর মাসের এবং ৩০ নভেম্বরের মধ্যে অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে।
মালিক পক্ষ কারখানাগুলো কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে খুলে দেবে। এ ছাড়া ৩০ নভেম্বরের আগে কেউ যদি আবার সড়ক অবরোধ করেন, তাহলে তারা বকেয়া বেতনের টাকা পাবে না। পরে শ্রমিকরা তাদেও অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে সোমবার রাত ১০টার পর থেকে ঐ সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
টিএনজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান মো: হেদায়তুল হক সংবাদ’কে বলেন, আমরা বর্তমান সরকারের সহায়তায় প্রথম দফায় নির্ধারিত সময়ের আগেই বৃহস্পতিবার ৮ কোটি ৬৮লাখ টাকা পরিশোধ করেছি। টিএনজেড গ্রুপে আগে সাড়ে সাত হাজার শ্রমিক কর্মরত ছিল বর্তমানে আমাদের টিএনজেড অ্যাপারেলস গ্রুপে সাড়ে ছয় হাজার শ্রমিক আছে। দেখুন আমাদের কারখানাটি ইকো ফ্রেন্ডলি প্রজেক্ট, অর্থাৎ ক্লিন প্রজেক্ট। আমরা ব্রহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এই সকল শ্রমিকের টাকা তাদেও হাতে পৌছে দিতে পেবেছি।
তিনি আরো জানান, ২০০৭ সালে কোম্পানিটি যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এ প্রজেক্টটির আনুমানিক মূল্য ১৪শ কোটি টাকা। ইকো ফ্রেন্ডলি এই কারখানাটির ২০২৩ সাল পর্যন্ত এক্সপোর্টের পরিমাণ ছিল ৩৩৯ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। করোনা পরিস্থিতি, ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধ ও দেশীয় নানা কারণ সহ ব্যাংকের একটি চক্রান্তের শিকার হয়ে কারখানাটি বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে। গত জুলাই মাস থেকে সংকট চরম আকারে দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে ব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত সাপোর্ট না পাওয়ার কারণে বেতন ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছিল না। আমরা কোন খেলাপী প্রতিষ্ঠান নই। রফতানীর টাকা সমন্বয় হতে দেরী হওয়ায় আমাদের ওভারডিউ হয়েছে। একারণে ব্যাংক থেকে ৮ কোটি টাকার একটি লোন অনুমোদন করানো হয় যাতে শ্রমিকদের বেতন দেয়া যায়। কিন্তু ব্যাংক আমাদের সে টাকাটা দেয়নি। একারণে আমরা ঝামেলায় পড়ে গেছিলাম।
তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে শ্রম সচিব বিদেশ থেকে দেশে ফিরেই তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তরিকভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন। শ্রমিক অসন্তোাষ নিরসনে সহযোগিতা করায় উপদেষ্টাসহ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিকুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব সবুর হোসেন, বিজিএমইএর অতিরিক্ত সচিব রফিকুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীনের কাছ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি আরো বলেন, আমি প্রায় শত কোটি টাকার আমার বাড়ী ও অন্য স্থাপর সম্পত্তির দলিল নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, কেউ আমাকে দায়িত্ব নিয়ে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেনি। কিন্তু সচিব শফিকুজ্জামান দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। দেশের প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে একজন করে একজন করে শফিকুজ্জামান থাকা দরকার বলেও মনে করেন তিনি। সবাই বড় বড় চেয়ার নিয়ে বসে থাকে, কেউ কোন দায়িত্ব নিতে চায়না। এমন সময়ে তারা আমার বিপদে পাশে দাড়িয়েছেন। এদের মতো সচিবকে খুঁজে নিতে হবে। এদের মতো কমর্কর্তা যদি সব মন্ত্রণালয়ে থাকত তালে দেশ আরো উন্নত হতো। আমি তাদের প্রতি অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
টিএনজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান মো: হেদায়তুল হক বলেন,শ্রমিকরা তাদের দাবীকৃত টাকা পেয়েছে। পরের কিস্তির টাকাও তারা সময় মত পাবে। আমাদের এ সময়ে সরকারের যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। আগামী দিনেও তাদের সহযোগীতা প্রত্যাশা করি। আশা করি শ্রমিকরা ও সব কিছু বিবেচনা করে কারখানার উন্নয়নে আন্তরিকতার সহিত কাজ করবে।
ফিরে এসেছে স্বস্তি
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
গাজীপুর মহানগরীর টিএনজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের পাঁচটি কারখানার ১২০ জন স্টাফসহ ৬ হাজার জন শ্রমিক তাদের বকেয়া এক মাসের বেতন নির্ধারিত সময়ের আগেই হাতে পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে দুই কিস্তিতে শ্রমিকদের বিকাশ একাউন্টে ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এতে শ্রমিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বেতন হাতে পেয়ে অ্যাপারেলস কারখানার শ্রমিকরা বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে আমদের বেতন দেয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ নিজ বিকাশ অ্যাকাউন্টে আমাদের বকেয়া একমাসের বেতন হাতে পেয়েছি। মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই এখন কাজে যোগ দিব।
অন্যদিকে, শনিবার সকাল থেকে কারখানা গুলো পুনরায় চালু হবে বলে জানিয়েছেন টিএনজেড গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান হেদায়াতুল হক। তিনি আশা করছেন, শ্রমিকরা কাজে যোগ দিবে।
কলকারখা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, টিএনজেড গ্রুপের গাজীপুর মহানগরের মোগরখাল এলাকায় ৫টি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার মধ্যে টিএনজেড অ্যাপারেলস লিমিটেডে শ্রমিকের সংখ্যা ২ হাজার ৮০০ জন, বেসিক ক্লথিং লিমিটেডে ৪২০ জন, অ্যাপারেল আর্ট লিমিটেডে ৪০০ জন শ্রমিক রয়েছে। এছাড়া এক্সপো কার্টুনে ৪০ জন এবং এমএনএস ইয়ার্ণ ডায়িং এ ৮০ জন স্টাফ রয়েছেন। এসবের মধ্যে প্রথম তিনটিতে শ্রমিকদের অক্টোবর ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বকেয়া ছিল। আর অন্য দুটিতে স্টাফদের বেতন ও সার্ভিস বেনিফিট বকেয়া ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৯ নভেম্বর (শনিবার) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টিএনজেড গ্রুপের পাঁচটি কারখানার প্রায় দুই হাজার শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবীতে গাজীপুর মহানগরীর মোঘরখাল এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ভয়াভহ যানজট ছড়িয়ে পড়ে। এ দুটি মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষের সীমাহীন দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে। ব্যাহত হয় স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। ক্ষতিগ্রস্থ হয় পন্য পরিবহন। এ আন্দোলন চলে টানা ৩ দিন। পরে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান ঘোষণা দেন শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের দায়িত্ব সরকারের। সরকার শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করবে। পরে মন্ত্রণালয়ে শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার ও মালিকপক্ষ সমঝোতা বৈঠকে চুক্তি হয়। গত সোমবার রাতে শ্রম ভবনে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে টিএনজেড গ্রুপের ৩১ জন শ্রমিক প্রতিনিধি, বিজিএমইএর নেতারা এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সর্বসম্মতিক্রমে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে বলা হয়, ১৭ নভেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের সেপ্টেম্বর মাসের এবং ৩০ নভেম্বরের মধ্যে অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে।
মালিক পক্ষ কারখানাগুলো কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে খুলে দেবে। এ ছাড়া ৩০ নভেম্বরের আগে কেউ যদি আবার সড়ক অবরোধ করেন, তাহলে তারা বকেয়া বেতনের টাকা পাবে না। পরে শ্রমিকরা তাদেও অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে সোমবার রাত ১০টার পর থেকে ঐ সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
টিএনজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান মো: হেদায়তুল হক সংবাদ’কে বলেন, আমরা বর্তমান সরকারের সহায়তায় প্রথম দফায় নির্ধারিত সময়ের আগেই বৃহস্পতিবার ৮ কোটি ৬৮লাখ টাকা পরিশোধ করেছি। টিএনজেড গ্রুপে আগে সাড়ে সাত হাজার শ্রমিক কর্মরত ছিল বর্তমানে আমাদের টিএনজেড অ্যাপারেলস গ্রুপে সাড়ে ছয় হাজার শ্রমিক আছে। দেখুন আমাদের কারখানাটি ইকো ফ্রেন্ডলি প্রজেক্ট, অর্থাৎ ক্লিন প্রজেক্ট। আমরা ব্রহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এই সকল শ্রমিকের টাকা তাদেও হাতে পৌছে দিতে পেবেছি।
তিনি আরো জানান, ২০০৭ সালে কোম্পানিটি যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এ প্রজেক্টটির আনুমানিক মূল্য ১৪শ কোটি টাকা। ইকো ফ্রেন্ডলি এই কারখানাটির ২০২৩ সাল পর্যন্ত এক্সপোর্টের পরিমাণ ছিল ৩৩৯ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। করোনা পরিস্থিতি, ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধ ও দেশীয় নানা কারণ সহ ব্যাংকের একটি চক্রান্তের শিকার হয়ে কারখানাটি বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে। গত জুলাই মাস থেকে সংকট চরম আকারে দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে ব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত সাপোর্ট না পাওয়ার কারণে বেতন ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছিল না। আমরা কোন খেলাপী প্রতিষ্ঠান নই। রফতানীর টাকা সমন্বয় হতে দেরী হওয়ায় আমাদের ওভারডিউ হয়েছে। একারণে ব্যাংক থেকে ৮ কোটি টাকার একটি লোন অনুমোদন করানো হয় যাতে শ্রমিকদের বেতন দেয়া যায়। কিন্তু ব্যাংক আমাদের সে টাকাটা দেয়নি। একারণে আমরা ঝামেলায় পড়ে গেছিলাম।
তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে শ্রম সচিব বিদেশ থেকে দেশে ফিরেই তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তরিকভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন। শ্রমিক অসন্তোাষ নিরসনে সহযোগিতা করায় উপদেষ্টাসহ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিকুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব সবুর হোসেন, বিজিএমইএর অতিরিক্ত সচিব রফিকুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীনের কাছ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি আরো বলেন, আমি প্রায় শত কোটি টাকার আমার বাড়ী ও অন্য স্থাপর সম্পত্তির দলিল নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, কেউ আমাকে দায়িত্ব নিয়ে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেনি। কিন্তু সচিব শফিকুজ্জামান দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। দেশের প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে একজন করে একজন করে শফিকুজ্জামান থাকা দরকার বলেও মনে করেন তিনি। সবাই বড় বড় চেয়ার নিয়ে বসে থাকে, কেউ কোন দায়িত্ব নিতে চায়না। এমন সময়ে তারা আমার বিপদে পাশে দাড়িয়েছেন। এদের মতো সচিবকে খুঁজে নিতে হবে। এদের মতো কমর্কর্তা যদি সব মন্ত্রণালয়ে থাকত তালে দেশ আরো উন্নত হতো। আমি তাদের প্রতি অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
টিএনজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান মো: হেদায়তুল হক বলেন,শ্রমিকরা তাদের দাবীকৃত টাকা পেয়েছে। পরের কিস্তির টাকাও তারা সময় মত পাবে। আমাদের এ সময়ে সরকারের যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। আগামী দিনেও তাদের সহযোগীতা প্রত্যাশা করি। আশা করি শ্রমিকরা ও সব কিছু বিবেচনা করে কারখানার উন্নয়নে আন্তরিকতার সহিত কাজ করবে।