সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নে কাজ করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে এক লাখ ৩৭ হাজার পরিবারকে পশু পালনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে গাজীপুর সদর উপজেলায় ৫০ টি পরিবারকে ষাড় বাছুর দেওয়া হয়েছে।
আজ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির ৫০ জনকে যাড় বাছুর তুলে দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের (আইএমইডি) মহাপরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান। অন্যদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক ড. অসীম কুমার দাস, গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নার্গিস খানম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. শাহীন মিয়াসহ বিভিন্ন স্তারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময়ে প্রধান অতিধির বক্তব্যে আইএমইডির মহাপরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা আপনাদের হাতে একটি করে ষাড় বাছুর এবং খাবার ও গৃহনির্মাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মালিক আপনারা। সরকার আপনাদের অত্মনির্ভরশীল হতে সিড়ি তৈরি করে দিয়েছে। এটি দিয়ে উপরে উঠবেন নাকি নিচে নামবেন তা আপনাদের উপরেই নির্ভর করছে। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।
সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়ন বিষয়ক প্রকল্পের পরিচালক আসীম কুমার দাস বলেন, নিজের উন্নয়ন নিজেকেই করতে হবে। আজ আপনারা যা পেলেন তা দিয়েই আপনাদের ভাগ্য ফেরাতে হবে। আপনাদের আশপাশে খবর নিলেই দেখতে পাবেন, এই প্রকল্প থেকে সহায়তা নিয়ে অনেকেই আজ স্বাবলম্বি। অনেকেই তাদের সান্তানদের লেখাপড়া করাচ্ছেন। অনেকে আবার গরু ছাগল ভেড়া বিক্রি করেও লাভবান হচ্ছেন। সরকারি সহায়তা নিয়ে আমরা আপনাদের পাশে আছি। এগুলো লালন পালন করায় কোনো সমস্যা হলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সেবা দেওয়া হবে।
প্রাণিসম্পদ ও প্রাণিসম্পদ উপকরণ পেয়ে হাসিমুখে ফিরতে দেখা গেছে অনেককে। পঞ্চাশোর্ধ পঞ্চানন্দন বর্মন একটি ষাড় বাছুর পেয়ে অনেক খুশি। তিনি বলেন, এই গরুটিকে আমি আমার সন্তানের মতো করে লালন পালন করবো। এই বয়সে কঠোর পরিশ্রম করতে পানি না। তিনি এই গরুটি বড় করে বিক্রি করবেন। সেই টাকা দিয়ে চেষ্টা করবেন একটি বড় খামার করার। যাতে করে তিনি তার সন্তানদের বোঝা না হয়ে তাদের সহায়তা করতে পারেন।
কুমার খাদার বিধবা মালতি রানী বলেন, আমার এক প্রতিবেশি ভেড়া পালছে। তা দেখে আমার অনেক কষ্ট হতো। আজ আমি একটি ষাড় বাছুর পেয়ে অনেক খুশি। আমি এই গরু কয়েক বছর পরে বিক্রি করবো। তার থেকে কিছু টাকা দিয়ে গরু কিনবো এবং মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করবো। পঞ্চানন্দন বর্মন, মালতি রানী নয় আজ যারা যাড় বাছুর পেয়েছেন সবারই রয়ের এক একটি ইচ্ছে। এ গরুর মাধ্যমে ইচ্ছে পূরণের পাশাপাশি হবে জীবনমানের উন্নয়ন।
অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির ৫০ পরিবারকে ৫০ টি যাড় বাছুর, ১৫০ কেজি দানাদার খাবার এবং একশ স্কয়ারফুট গৃহনির্মাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।
রোববার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নে কাজ করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে এক লাখ ৩৭ হাজার পরিবারকে পশু পালনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে গাজীপুর সদর উপজেলায় ৫০ টি পরিবারকে ষাড় বাছুর দেওয়া হয়েছে।
আজ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির ৫০ জনকে যাড় বাছুর তুলে দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের (আইএমইডি) মহাপরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান। অন্যদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক ড. অসীম কুমার দাস, গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নার্গিস খানম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. শাহীন মিয়াসহ বিভিন্ন স্তারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময়ে প্রধান অতিধির বক্তব্যে আইএমইডির মহাপরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা আপনাদের হাতে একটি করে ষাড় বাছুর এবং খাবার ও গৃহনির্মাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মালিক আপনারা। সরকার আপনাদের অত্মনির্ভরশীল হতে সিড়ি তৈরি করে দিয়েছে। এটি দিয়ে উপরে উঠবেন নাকি নিচে নামবেন তা আপনাদের উপরেই নির্ভর করছে। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।
সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়ন বিষয়ক প্রকল্পের পরিচালক আসীম কুমার দাস বলেন, নিজের উন্নয়ন নিজেকেই করতে হবে। আজ আপনারা যা পেলেন তা দিয়েই আপনাদের ভাগ্য ফেরাতে হবে। আপনাদের আশপাশে খবর নিলেই দেখতে পাবেন, এই প্রকল্প থেকে সহায়তা নিয়ে অনেকেই আজ স্বাবলম্বি। অনেকেই তাদের সান্তানদের লেখাপড়া করাচ্ছেন। অনেকে আবার গরু ছাগল ভেড়া বিক্রি করেও লাভবান হচ্ছেন। সরকারি সহায়তা নিয়ে আমরা আপনাদের পাশে আছি। এগুলো লালন পালন করায় কোনো সমস্যা হলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সেবা দেওয়া হবে।
প্রাণিসম্পদ ও প্রাণিসম্পদ উপকরণ পেয়ে হাসিমুখে ফিরতে দেখা গেছে অনেককে। পঞ্চাশোর্ধ পঞ্চানন্দন বর্মন একটি ষাড় বাছুর পেয়ে অনেক খুশি। তিনি বলেন, এই গরুটিকে আমি আমার সন্তানের মতো করে লালন পালন করবো। এই বয়সে কঠোর পরিশ্রম করতে পানি না। তিনি এই গরুটি বড় করে বিক্রি করবেন। সেই টাকা দিয়ে চেষ্টা করবেন একটি বড় খামার করার। যাতে করে তিনি তার সন্তানদের বোঝা না হয়ে তাদের সহায়তা করতে পারেন।
কুমার খাদার বিধবা মালতি রানী বলেন, আমার এক প্রতিবেশি ভেড়া পালছে। তা দেখে আমার অনেক কষ্ট হতো। আজ আমি একটি ষাড় বাছুর পেয়ে অনেক খুশি। আমি এই গরু কয়েক বছর পরে বিক্রি করবো। তার থেকে কিছু টাকা দিয়ে গরু কিনবো এবং মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করবো। পঞ্চানন্দন বর্মন, মালতি রানী নয় আজ যারা যাড় বাছুর পেয়েছেন সবারই রয়ের এক একটি ইচ্ছে। এ গরুর মাধ্যমে ইচ্ছে পূরণের পাশাপাশি হবে জীবনমানের উন্নয়ন।
অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির ৫০ পরিবারকে ৫০ টি যাড় বাছুর, ১৫০ কেজি দানাদার খাবার এবং একশ স্কয়ারফুট গৃহনির্মাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।