অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে বিয়ের আয়োজন, রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা
সিলেটের মোগলাবাজার থানা এলাকার রিজেন্ট পার্ক রিসোর্টে রোববার দুপুরে ঘটে এক অস্বাভাবিক ঘটনা। এলাকার স্থানীয়রা আট তরুণ-তরুণীকে রিসোর্টে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আটক করে, পরে তাদের বিয়ে পড়ানোর ব্যবস্থা করেন। এর সাথে সম্পর্কিত অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, এবং রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি জানার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য রিসোর্টটি বন্ধ ঘোষণা করেন।
মোগলাবাজার থানার ওসি মো. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “সকালে স্থানীয় লোকজন রিসোর্টে ঢুকে অভিযোগ করেন যে, সেখানে অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে। এর কিছু সময় পর কিছু মানুষ রিসোর্টে আগুন ধরিয়ে দেয়, পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে।” তিনি আরও জানান, আট তরুণ-তরুণীর মধ্যে কোনো বিয়ের ব্যাপারে তিনি জানেন না, তবে স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশে না দিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল।
অন্যদিকে, রিসোর্টে আট তরুণ-তরুণীকে বিয়ে পড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম ইউনিয়নের কাজী আব্দুল বারী। তিনি বলেন, “অত্যন্ত অদ্ভুতভাবে, এলাকা বাসীর উপস্থিতিতে চার ছেলে এবং চার মেয়ে একে অপরকে বিয়ে করেন। তিনটি বিয়ের দেনমোহর ১০ লাখ টাকা করে ছিল, এবং একটি বিয়ের দেনমোহর ছিল ১২ লাখ টাকা।” কাজী আরও জানান, আট তরুণ-তরুণী সিলেটের বিভিন্ন এলাকা, যেমন বিশ্বনাথ, মোগলাবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ এবং দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন।
এ ঘটনার সময় রিসোর্টের প্রবেশদ্বার বন্ধ রাখা হলেও স্থানীয় নেতাকর্মীসহ প্রায় দুই হাজার মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। জাতীয়তাবাদী কৃষকদল সিলেট জেলা কমিটির সদস্য সচিব তাজরুল ইসলাম তাজুল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, এলাকার কিছু লোক দেয়াল টপকে রিসোর্টে প্রবেশ করে এবং সেখানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে, তবে কোনো কক্ষের আগুনে ক্ষতি হয়নি।
তাজুল বলেন, “যদিও কিছু ছেলেমেয়ে রিসোর্টে উপস্থিত ছিল, তবে এলাকাবাসী আসার আগেই তারা চলে যায়।” তিনি আরও বলেন, “আমরা সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রিসোর্টের মালিকের সাথে আলোচনা করছি।”
মোগলাবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আট তরুণ-তরুণীকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, মোগলাবাজার থানা পুলিশ জানায় যে, এ ঘটনায় তাদের কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না এবং আটকৃতদের পুলিশে হস্তান্তর করা হয়নি।
এই ঘটনায় রিজেন্ট পার্ক রিসোর্টের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি, কারণ তাদের ফোন নম্বর বন্ধ ছিল। দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঊর্মি রায় বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।”
এ ঘটনাটি এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং সিলেটের রিসোর্টগুলোতে আসামাজিক কার্যকলাপের ব্যাপারে আরও সতর্কতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে বিয়ের আয়োজন, রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা
রোববার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
সিলেটের মোগলাবাজার থানা এলাকার রিজেন্ট পার্ক রিসোর্টে রোববার দুপুরে ঘটে এক অস্বাভাবিক ঘটনা। এলাকার স্থানীয়রা আট তরুণ-তরুণীকে রিসোর্টে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আটক করে, পরে তাদের বিয়ে পড়ানোর ব্যবস্থা করেন। এর সাথে সম্পর্কিত অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, এবং রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি জানার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য রিসোর্টটি বন্ধ ঘোষণা করেন।
মোগলাবাজার থানার ওসি মো. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “সকালে স্থানীয় লোকজন রিসোর্টে ঢুকে অভিযোগ করেন যে, সেখানে অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে। এর কিছু সময় পর কিছু মানুষ রিসোর্টে আগুন ধরিয়ে দেয়, পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে।” তিনি আরও জানান, আট তরুণ-তরুণীর মধ্যে কোনো বিয়ের ব্যাপারে তিনি জানেন না, তবে স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশে না দিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল।
অন্যদিকে, রিসোর্টে আট তরুণ-তরুণীকে বিয়ে পড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম ইউনিয়নের কাজী আব্দুল বারী। তিনি বলেন, “অত্যন্ত অদ্ভুতভাবে, এলাকা বাসীর উপস্থিতিতে চার ছেলে এবং চার মেয়ে একে অপরকে বিয়ে করেন। তিনটি বিয়ের দেনমোহর ১০ লাখ টাকা করে ছিল, এবং একটি বিয়ের দেনমোহর ছিল ১২ লাখ টাকা।” কাজী আরও জানান, আট তরুণ-তরুণী সিলেটের বিভিন্ন এলাকা, যেমন বিশ্বনাথ, মোগলাবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ এবং দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন।
এ ঘটনার সময় রিসোর্টের প্রবেশদ্বার বন্ধ রাখা হলেও স্থানীয় নেতাকর্মীসহ প্রায় দুই হাজার মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। জাতীয়তাবাদী কৃষকদল সিলেট জেলা কমিটির সদস্য সচিব তাজরুল ইসলাম তাজুল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, এলাকার কিছু লোক দেয়াল টপকে রিসোর্টে প্রবেশ করে এবং সেখানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে, তবে কোনো কক্ষের আগুনে ক্ষতি হয়নি।
তাজুল বলেন, “যদিও কিছু ছেলেমেয়ে রিসোর্টে উপস্থিত ছিল, তবে এলাকাবাসী আসার আগেই তারা চলে যায়।” তিনি আরও বলেন, “আমরা সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রিসোর্টের মালিকের সাথে আলোচনা করছি।”
মোগলাবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আট তরুণ-তরুণীকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, মোগলাবাজার থানা পুলিশ জানায় যে, এ ঘটনায় তাদের কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না এবং আটকৃতদের পুলিশে হস্তান্তর করা হয়নি।
এই ঘটনায় রিজেন্ট পার্ক রিসোর্টের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি, কারণ তাদের ফোন নম্বর বন্ধ ছিল। দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঊর্মি রায় বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।”
এ ঘটনাটি এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং সিলেটের রিসোর্টগুলোতে আসামাজিক কার্যকলাপের ব্যাপারে আরও সতর্কতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।