ছাত্রদের সভায় অনধিকার প্রবেশের চেষ্টায় সংঘর্ষ, মামলা দায়ের
চট্টগ্রামের রাউজানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার অভিযোগে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি আবদুল্লাহ আল হামিম (২৩)। সোমবার রাতে তাকে আটক করা হয় এবং মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাউজানের উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে সোমবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মতবিনিময় সভা চলাকালীন এ হামলার ঘটনা ঘটে। সভায় সংগঠনের কয়েকজন নারী কর্মীসহ খান তালাত মাহমুদ রাফি ও অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিকেল ৫টার দিকে ১০-১৫ জন যুবক জোর করে সভাকক্ষে প্রবেশের চেষ্টা করলে সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা বাধা দিলে হামলাকারীরা সহিংস আচরণ করে। এতে খান তালাত মাহমুদ রাফিসহ কয়েকজন নারী কর্মী আহত হন।
রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মুহাম্মদ বেলাল ১৫-২০ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে সভায় ঢুকে হট্টগোল সৃষ্টি করে এবং হামলা চালায়।
রাউজান থানার ওসি এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী জানান, মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মী আবদুল্লাহ আল হামিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংগঠনের প্রতিনিধি জাহিদুল করিম। তিনি দাবি করেন, কিছু শিক্ষার্থী অনধিকার চর্চা করে সভায় ঢোকার চেষ্টা করলে সাময়িক হট্টগোল হয়। মারামারির ঘটনা হয়নি এবং সভা ১৫-২০ মিনিট বন্ধ থাকার পর পুনরায় শুরু হয়।
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাউজান প্রতিনিধি এম আবেদীন সাজিদ বলেছেন, “আবদুল্লাহ আল হামিম পরিকল্পিতভাবে হামলা চালান। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কর্মী এবং সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সদস্য।”
ওসি সফিকুল আলম আরও জানান, অভিযুক্তরা শিক্ষার্থী সেজে সভায় প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। তাদের ঢুকতে না দেওয়ার পর তারা সহিংস আচরণ করে। হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামলার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করছে।
এ হামলার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ছাত্রদের সভায় অনধিকার প্রবেশের চেষ্টায় সংঘর্ষ, মামলা দায়ের
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
চট্টগ্রামের রাউজানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার অভিযোগে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি আবদুল্লাহ আল হামিম (২৩)। সোমবার রাতে তাকে আটক করা হয় এবং মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাউজানের উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে সোমবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মতবিনিময় সভা চলাকালীন এ হামলার ঘটনা ঘটে। সভায় সংগঠনের কয়েকজন নারী কর্মীসহ খান তালাত মাহমুদ রাফি ও অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিকেল ৫টার দিকে ১০-১৫ জন যুবক জোর করে সভাকক্ষে প্রবেশের চেষ্টা করলে সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা বাধা দিলে হামলাকারীরা সহিংস আচরণ করে। এতে খান তালাত মাহমুদ রাফিসহ কয়েকজন নারী কর্মী আহত হন।
রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মুহাম্মদ বেলাল ১৫-২০ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে সভায় ঢুকে হট্টগোল সৃষ্টি করে এবং হামলা চালায়।
রাউজান থানার ওসি এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী জানান, মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মী আবদুল্লাহ আল হামিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংগঠনের প্রতিনিধি জাহিদুল করিম। তিনি দাবি করেন, কিছু শিক্ষার্থী অনধিকার চর্চা করে সভায় ঢোকার চেষ্টা করলে সাময়িক হট্টগোল হয়। মারামারির ঘটনা হয়নি এবং সভা ১৫-২০ মিনিট বন্ধ থাকার পর পুনরায় শুরু হয়।
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাউজান প্রতিনিধি এম আবেদীন সাজিদ বলেছেন, “আবদুল্লাহ আল হামিম পরিকল্পিতভাবে হামলা চালান। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কর্মী এবং সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সদস্য।”
ওসি সফিকুল আলম আরও জানান, অভিযুক্তরা শিক্ষার্থী সেজে সভায় প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। তাদের ঢুকতে না দেওয়ার পর তারা সহিংস আচরণ করে। হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামলার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করছে।
এ হামলার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।