পটুয়াখালীর ৮টি উপজেলার ২৪২টি আয়রণ ব্রিজ সংস্কারহীন অবস্থায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগ নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণদের। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে উপজেলা-জেলাসহ গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ একেবারেই বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ কারণে এসব এলাকার স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পথে। ব্রিজগুলো দ্রুত মেরামত বা পুনর্নির্মাণের জন্য স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন সময়ে দাবি জানালেও কোন ফলপ্রসূ উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
গ্রামীণ সড়কে যোগাযোগ সহজতর করতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পটুয়াখালীর জেলার ৮টি উপজেলার বিভিন্ন খালের উপর আয়রন ব্রিজ নির্মাণ করে।
৯০ দশক থেকে ২০০০ সালের মধ্যে এসব ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘদিন সংস্কারহীন থাকায় এসব ব্রিজ জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। আবার কোনোটি জলযানের ধাক্কায় ভেঙেও যায়। এসব ব্রিজের মধ্যে পটুয়াখালী এলজিইডি জেলায় ২৪২টি ব্রিজ জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজরে মধ্যে রয়েছে বাউফল উপজেলায় ৬৩টি, মির্জাগঞ্জে ৫৬টি, পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ৪২টি, গলাচিপায় ৩৫টি এবং দশমিনা, রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়ায় ১০টি করে। এর মধ্যে ৪টি ব্রিজ মেরামতযোগ্য হলেও বাকিগুলো প্রতিস্থাপন করতে হবে অর্থাৎ নতুন ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে।
এসব জরাজীর্ণ ব্রিজের একটি হচ্ছে দুমকি উপজেলার লেবুখালী সরকারি হাবিবুল্লাহ উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন ভাড়ানী খালের উপর নির্মিত ব্রিজ। ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে বালুভর্তি ট্রলারের ধাক্কায় ব্রিজটির একাংশ ভেঙ্গে খালে পড়ে গেলে দু’পাড়ের সরসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ খালের উভয় তীরে বসে সাপ্তাহিক বাজার।
বাজারের লোকজন, লেবুখালী সরকারি হাবিবুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারীসহ কয়েক হাজার পথচারী লোহার ব্রিজটি দিয়ে যাতায়াত করত। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় এখন তারা খেয়া নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়। এ নিয়ে আমরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি।
এদিকে, ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের লক্ষ্মীবাজার-সংলগ্ন খাপড়াভাঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত ২০২০ সালের ২ এপ্রিল জরাজীর্ণ আয়রন ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এ খালে প্রবল জোয়ারের চাপে ব্রিজটি মাঝ বরাবর ভেঙে পড়ায় অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
অপরদিকে গলাচিপা উপজেলার এলাকায় নির্মিত কমপক্ষে ৫টি আয়রণ ব্রিজ দীর্ঘ সংস্কারাভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পারাপারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এসব ব্রিজ মেরামত বা প্রতিস্থাপনের জন্য উপজেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় এবং এলজিইডি অফিসে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি কিন্তু কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারহীন থাকায় এসব ব্রিজ অচিরেই মেরামত অথবা নতুন নির্মাণ করে জনদুর্ভোগ লাগৈাবে অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
গলাচিপা উপজেলার এলাকায় নির্মিত আয়রণ কমপক্ষে ৫টি ব্রিজ দীর্ঘ সংস্কারাভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পারাপারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এসব ব্রিজ মেরামত বা প্রতিস্থাপনের জন্য উপজেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় এবং এলজিইডি ফিসে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি কিন্তু কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। এতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন আলী মীর জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মিত ২৪২টি জরাজীর্ণ ব্রিজের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা পেলে প্রাক্কলন তৈরি করে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে এবং বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে এসব ব্রিজ মেরামত বা নতুন ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
পটুয়াখালীর ৮টি উপজেলার ২৪২টি আয়রণ ব্রিজ সংস্কারহীন অবস্থায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগ নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণদের। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে উপজেলা-জেলাসহ গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ একেবারেই বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ কারণে এসব এলাকার স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পথে। ব্রিজগুলো দ্রুত মেরামত বা পুনর্নির্মাণের জন্য স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন সময়ে দাবি জানালেও কোন ফলপ্রসূ উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
গ্রামীণ সড়কে যোগাযোগ সহজতর করতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পটুয়াখালীর জেলার ৮টি উপজেলার বিভিন্ন খালের উপর আয়রন ব্রিজ নির্মাণ করে।
৯০ দশক থেকে ২০০০ সালের মধ্যে এসব ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘদিন সংস্কারহীন থাকায় এসব ব্রিজ জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। আবার কোনোটি জলযানের ধাক্কায় ভেঙেও যায়। এসব ব্রিজের মধ্যে পটুয়াখালী এলজিইডি জেলায় ২৪২টি ব্রিজ জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজরে মধ্যে রয়েছে বাউফল উপজেলায় ৬৩টি, মির্জাগঞ্জে ৫৬টি, পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ৪২টি, গলাচিপায় ৩৫টি এবং দশমিনা, রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়ায় ১০টি করে। এর মধ্যে ৪টি ব্রিজ মেরামতযোগ্য হলেও বাকিগুলো প্রতিস্থাপন করতে হবে অর্থাৎ নতুন ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে।
এসব জরাজীর্ণ ব্রিজের একটি হচ্ছে দুমকি উপজেলার লেবুখালী সরকারি হাবিবুল্লাহ উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন ভাড়ানী খালের উপর নির্মিত ব্রিজ। ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে বালুভর্তি ট্রলারের ধাক্কায় ব্রিজটির একাংশ ভেঙ্গে খালে পড়ে গেলে দু’পাড়ের সরসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ খালের উভয় তীরে বসে সাপ্তাহিক বাজার।
বাজারের লোকজন, লেবুখালী সরকারি হাবিবুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারীসহ কয়েক হাজার পথচারী লোহার ব্রিজটি দিয়ে যাতায়াত করত। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় এখন তারা খেয়া নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়। এ নিয়ে আমরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি।
এদিকে, ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের লক্ষ্মীবাজার-সংলগ্ন খাপড়াভাঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত ২০২০ সালের ২ এপ্রিল জরাজীর্ণ আয়রন ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এ খালে প্রবল জোয়ারের চাপে ব্রিজটি মাঝ বরাবর ভেঙে পড়ায় অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
অপরদিকে গলাচিপা উপজেলার এলাকায় নির্মিত কমপক্ষে ৫টি আয়রণ ব্রিজ দীর্ঘ সংস্কারাভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পারাপারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এসব ব্রিজ মেরামত বা প্রতিস্থাপনের জন্য উপজেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় এবং এলজিইডি অফিসে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি কিন্তু কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারহীন থাকায় এসব ব্রিজ অচিরেই মেরামত অথবা নতুন নির্মাণ করে জনদুর্ভোগ লাগৈাবে অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
গলাচিপা উপজেলার এলাকায় নির্মিত আয়রণ কমপক্ষে ৫টি ব্রিজ দীর্ঘ সংস্কারাভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পারাপারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এসব ব্রিজ মেরামত বা প্রতিস্থাপনের জন্য উপজেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় এবং এলজিইডি ফিসে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি কিন্তু কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। এতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন আলী মীর জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মিত ২৪২টি জরাজীর্ণ ব্রিজের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা পেলে প্রাক্কলন তৈরি করে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে এবং বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে এসব ব্রিজ মেরামত বা নতুন ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।