alt

সারাদেশ

ভবন নির্মাণ হলেও কাজে আসছে না ভৈরব মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র

প্রতিনিধি, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) : সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে ভবন নির্মাণ করা হলেও কোনো কাজেই আসছে না ভৈরব মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। অরক্ষিত এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এখন চোর, জুয়ারি এবং নেশাখোরদের আড্ডাখানা। কাগজে-কলমে জনবল থাকলেও দেখা মেলে না কারোরই। ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করার ৩ বছর পরেও চালু না হওয়ায় কোনো কাজেই আসছে না ভবনটি। নির্মাণের ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো ব্যবসায়ীরা না আসায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছে সরকার যে শর্ত দিয়েছে তা মেনে ব্যবসা করা সম্ভব না। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা জানান ব্যবসায়ীরা যেন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এসে ব্যবসা করেন সেজন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন। তিনি আশা করছেন ব্যবসায়ীরা আসবে এবং এটি চালু হবে। জানা যায়, কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পুরাতন মেঘনা ফেরিঘাটে মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে মৎস্য অধিদপ্তর ২০ কোটি ৭৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় সম্বিলিত নির্মিত করেছে ৪ তলা বিশিষ্ট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। ২০১৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু করে ভবন নির্মাণ শেষে ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে ভবনের উদ্বোধন করা হয়। অবতরণ কেন্দ্রটি ২৭ শতাংশ ভূমির উপর নির্মিত হয়েছে। ভবনের চতুর্দিকে সীমানা প্রাচীর, অকশন শেড, প্যাকিং শেড, ৩৫টি আড়ত ঘর, ১টি আইসপ্লান্ট, সোলার প্যানেল, কোয়ালিটি কন্ট্রোলার, গভীর নলকূপ, আইস ক্রাসার ও জেনারেটর ব্যবস্থাসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় নির্মিত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণের প্রায় ৩ বছর অতিবাহিত হলেও এখনও কোনো ব্যবসায়ী অবতরণ কেন্দ্রে ব্যবসা করতে আসছে না। অন্যদিকে পুরাতন নৈশ মৎস্য আড়তদার রয়েছে ১৫০ জন। প্রতিটি আড়তের সঙ্গে রয়েছে মাছ রাখার পর্যাপ্ত জায়গা ও প্রসেসিং করার মতো বরফ কলসহ নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা। বর্তমানে অবতরণ কেন্দ্রে ১ জন ব্যবস্থাপক, ১ জন ল্যাব কন্ট্রোলার ও ১ জন নাইট গার্ড রয়েছে।

ভৈরব নৈশ মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সিংপুর মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী আবু তাহের মিয়া, রায়হান মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী মহরম আলী মিয়া, লাল গোলাপ মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী মো. বাছির মিয়া এবং মেঘনা মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী ভজন দাসসহ ব্যবসায়ীরা জানান, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ব্যবসা করতে হলে ২ লাখ টাকা অগ্রিম, মাসে ২ হাজার টাকা করে ভাড়া, বিক্রিত মাছের শতকরা দেড় টাকা কমিশন দিতে হবে সরকারকে। এসব শর্তে ব্যবসা করলে তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতি হবে। ব্যবসা টিকানো যাবে না। তাছাড়া অবতরণ কেন্দ্রে মাছ রাখা বা প্রসেসিং করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা (মাঠ) নেই। শুধু তাই নয় আগের মতো মিঠা পানির মাছ এখন আড়তে আসে না। এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় সরাসরি হাওর-বাওর বা নদীর মাছ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হয়ে থাকে। তাই ব্যবসায় মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। পুরাতন নৈশ মৎস্য আড়তে নিজেদের ভিটে ৩০-৩৫ বছর যাবত ব্যবসা করায় কোন ভাড়া লাগেনা এবং এখানকার সরবরাহকৃত মাছ বিদেশে কিছুটা রপ্তানি করায় কোনো রকমে আড়তদাররা টিকে আছে বলে তারা জানান।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ভৈরব মৎস্য আড়তদার মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ মিয়া জানান, সরকার যে শর্ত দিয়েছে এসব শর্ত দিয়ে অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে ব্যবসা করা সম্ভব না। তাছাড়া এখন আগের মতো আড়তে মাছ আমদানি না হওয়ায় নিজস্ব ভিটে কোনো রকমে ব্যবসা করে আমরা টিকে আছি। ভৈরব মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক জানান, ব্যবসায়ীরা যেন অবতরণ কেন্দ্রে এসে ব্যবসা করে সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর, আমরা আশা করছি ব্যবসায়ীরা অবতরণ কেন্দ্রে এসে ব্যবসা করবেন এবং এটি খুব শীঘ্রই চালু হবে।

ছবি

লক্ষ্মীপুরে সাংবাদিকদের ওপর মুখোশধারীদের হামলা

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপ শুরু

ছবি

মহাসড়কের বিভাজনেক বসবাস করা অসুস্থ বৃদ্ধের ঠাঁই হলো হাসপাতালে

তাড়াশে সাংবাদিকের ওপর হামলা, থানায় জিডি

আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মোটরসাইকেল চুরি

কুষ্টিয়ার নিষিদ্ধ ৪ ইটভাটা ফের গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন, জরিমানা

হবিগঞ্জে ডাকাতের হামলায় ব্যবসায়ী নিহত

ছবি

মেঘনায় প্রান্তিক কৃষকদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ

ছবি

কেশবপুরে সুঁই সুতার বুননে ভাগ্য ফেরাচ্ছে অর্ধশত নারী

দুই জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী ও বাইসাইকেল আরোহী নিহত

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে শিবির ও ছাত্রদলের সংঘর্ষ

দুই জেলায় এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের গোডাউন ও বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডে

রামপাল তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে সুন্দরবন রক্ষার দাবি

সৌদি আরবে ৫ মাস আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়, সর্বস্ব হারিয়ে দিশাহারা পরিবার

স্ত্রীর জানাজার ১০ মিনিট আগে মারা গেলেন স্বামী

গোমস্তাপুরে গৃহবধূ ও প্রেমিকের একসঙ্গে আত্মহত্যা

তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ আটক

জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি উদ্যোক্তা চাকরিচ্যুত

বাচ্চদের খেলাধুলা নিয়ে দুই পরিবারের সংঘর্ষ, নিহত ১

আবাসিক হোটেল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

পিরোজপুরে দীর্ঘদিনেও পুনঃনির্মাণ হয়নি খালের ভেঙে পড়া সেতু

মহাদেবপুরে ফলন্ত সরিষা গাছ বিনষ্ট

তালায় আ’লীগের ৫ নেতা আটক

রৌমারীতে রাস্তা দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

মুন্সীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু

শেরপুরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে শালমারা ইউপি কার্যালয়

উপকারভোগীর টাকা নিয়ে লাপাত্তা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা দম্পতি

ছবি

গঙ্গাচড়ায় পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা

ছবি

হিমাগারের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে চাষিদের বিক্ষোভ

ছবি

ভেনামি চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষ, দুই বছরেও রপ্তানি নেই

ছবি

বগুড়ায় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদল, ভুয়া ভুয়া স্লোগান

ছবি

ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে গেল ট্রাক, চালকের সহকারী নিহত

ছবি

পুলিশি হেফাজত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিলেন কর্মীরা

নদীতে গোসলে নেমে ৩ শিক্ষার্থী নিখোঁজ

সিংগাইরে জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে মারধর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

tab

সারাদেশ

ভবন নির্মাণ হলেও কাজে আসছে না ভৈরব মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র

প্রতিনিধি, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)

সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে ভবন নির্মাণ করা হলেও কোনো কাজেই আসছে না ভৈরব মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। অরক্ষিত এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এখন চোর, জুয়ারি এবং নেশাখোরদের আড্ডাখানা। কাগজে-কলমে জনবল থাকলেও দেখা মেলে না কারোরই। ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করার ৩ বছর পরেও চালু না হওয়ায় কোনো কাজেই আসছে না ভবনটি। নির্মাণের ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো ব্যবসায়ীরা না আসায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছে সরকার যে শর্ত দিয়েছে তা মেনে ব্যবসা করা সম্ভব না। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা জানান ব্যবসায়ীরা যেন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এসে ব্যবসা করেন সেজন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন। তিনি আশা করছেন ব্যবসায়ীরা আসবে এবং এটি চালু হবে। জানা যায়, কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পুরাতন মেঘনা ফেরিঘাটে মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে মৎস্য অধিদপ্তর ২০ কোটি ৭৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় সম্বিলিত নির্মিত করেছে ৪ তলা বিশিষ্ট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। ২০১৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু করে ভবন নির্মাণ শেষে ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে ভবনের উদ্বোধন করা হয়। অবতরণ কেন্দ্রটি ২৭ শতাংশ ভূমির উপর নির্মিত হয়েছে। ভবনের চতুর্দিকে সীমানা প্রাচীর, অকশন শেড, প্যাকিং শেড, ৩৫টি আড়ত ঘর, ১টি আইসপ্লান্ট, সোলার প্যানেল, কোয়ালিটি কন্ট্রোলার, গভীর নলকূপ, আইস ক্রাসার ও জেনারেটর ব্যবস্থাসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় নির্মিত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণের প্রায় ৩ বছর অতিবাহিত হলেও এখনও কোনো ব্যবসায়ী অবতরণ কেন্দ্রে ব্যবসা করতে আসছে না। অন্যদিকে পুরাতন নৈশ মৎস্য আড়তদার রয়েছে ১৫০ জন। প্রতিটি আড়তের সঙ্গে রয়েছে মাছ রাখার পর্যাপ্ত জায়গা ও প্রসেসিং করার মতো বরফ কলসহ নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা। বর্তমানে অবতরণ কেন্দ্রে ১ জন ব্যবস্থাপক, ১ জন ল্যাব কন্ট্রোলার ও ১ জন নাইট গার্ড রয়েছে।

ভৈরব নৈশ মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সিংপুর মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী আবু তাহের মিয়া, রায়হান মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী মহরম আলী মিয়া, লাল গোলাপ মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী মো. বাছির মিয়া এবং মেঘনা মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী ভজন দাসসহ ব্যবসায়ীরা জানান, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ব্যবসা করতে হলে ২ লাখ টাকা অগ্রিম, মাসে ২ হাজার টাকা করে ভাড়া, বিক্রিত মাছের শতকরা দেড় টাকা কমিশন দিতে হবে সরকারকে। এসব শর্তে ব্যবসা করলে তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতি হবে। ব্যবসা টিকানো যাবে না। তাছাড়া অবতরণ কেন্দ্রে মাছ রাখা বা প্রসেসিং করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা (মাঠ) নেই। শুধু তাই নয় আগের মতো মিঠা পানির মাছ এখন আড়তে আসে না। এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় সরাসরি হাওর-বাওর বা নদীর মাছ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হয়ে থাকে। তাই ব্যবসায় মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। পুরাতন নৈশ মৎস্য আড়তে নিজেদের ভিটে ৩০-৩৫ বছর যাবত ব্যবসা করায় কোন ভাড়া লাগেনা এবং এখানকার সরবরাহকৃত মাছ বিদেশে কিছুটা রপ্তানি করায় কোনো রকমে আড়তদাররা টিকে আছে বলে তারা জানান।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ভৈরব মৎস্য আড়তদার মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ মিয়া জানান, সরকার যে শর্ত দিয়েছে এসব শর্ত দিয়ে অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে ব্যবসা করা সম্ভব না। তাছাড়া এখন আগের মতো আড়তে মাছ আমদানি না হওয়ায় নিজস্ব ভিটে কোনো রকমে ব্যবসা করে আমরা টিকে আছি। ভৈরব মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক জানান, ব্যবসায়ীরা যেন অবতরণ কেন্দ্রে এসে ব্যবসা করে সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর, আমরা আশা করছি ব্যবসায়ীরা অবতরণ কেন্দ্রে এসে ব্যবসা করবেন এবং এটি খুব শীঘ্রই চালু হবে।

back to top