বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষে রোববার বেলা ১১টায় বাগেরহাটের মোংলা বন্দর উপজেলার দিগরাজ বিলে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), সুন্দরবন রক্ষায় আমরা ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটার কিপার কমরেড মো. নূর আলম শেখ। মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর নেত্রী কমলা সরকার, নাজমুল হক, আব্দুর রশিদ হাওলাদার, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর নেতা হাছিব সরদার, ছবি হাজরা, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার মারুফ বিল্লাহ এবং মেহেদী হাসান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জনস্বার্থবিরোধী বাগেরহাটের রামপাল তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্র পাশের পশুর নদী দূষণের মাধ্যমে সুন্দরবনের ক্ষতি করছে। তাই অনতিবিলম্বে কয়লাভিত্তিক রামপালের এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে বিশ্ব ঐতিহ্য রামসার সাইট সুন্দরবন জলাভূমি রক্ষা করতে হবে। শুধু বিদ্যুৎকেন্দ্র নয়, সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন বন্ধ করতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবনে হরিণ শিকার বেড়ে গেছে। ফারাক্কা বাঁধ এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলেও সুন্দরবন জলাভূমি হুমকিতে আছে। নীতি নির্ধারকদের সুন্দরবন জলাভূমি রক্ষাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, সুন্দরবন জলাভূমির গুরুত্ব অপিরিসীম বিধায় ১৯৯২ সালে সুন্দরবন ৫৬০তম রামসার সাইট হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর নেতা জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ হাওলাদার বলেন, সুন্দরবনে দূষণ বেড়ে যাওয়ায় নদীখাল মাছশূন্য হতে চলেছে।
একদিকে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রভাব, অন্যদিকে শিল্প দূষণের ভারে আক্রান্ত বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন জলাভূমি। সভাপতির বক্তব্যে সুন্দরবন রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষাক্ত পারদে সুন্দরবনের প্রাণ পশুর নদী মারাত্মকভাবে আক্রান্ত। এর প্রভাবে সুন্দরবনের নদী খালের জলজ প্রাণী হুমকিতে পড়েছে। অন্যদিকে বন্যপ্রাণী হত্যা এবং পাচার ও সুন্দরবনের নদীখালে বিষ প্রয়োগের ফলে বাস্তুতন্ত্র উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে সুন্দরবন বিনাশী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে বিশ্ব ঐতিহ্য রামসার সাইট সুন্দরবন জলাভূমিকে রক্ষা করতে হবে।
সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষে রোববার বেলা ১১টায় বাগেরহাটের মোংলা বন্দর উপজেলার দিগরাজ বিলে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), সুন্দরবন রক্ষায় আমরা ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটার কিপার কমরেড মো. নূর আলম শেখ। মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর নেত্রী কমলা সরকার, নাজমুল হক, আব্দুর রশিদ হাওলাদার, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর নেতা হাছিব সরদার, ছবি হাজরা, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার মারুফ বিল্লাহ এবং মেহেদী হাসান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জনস্বার্থবিরোধী বাগেরহাটের রামপাল তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্র পাশের পশুর নদী দূষণের মাধ্যমে সুন্দরবনের ক্ষতি করছে। তাই অনতিবিলম্বে কয়লাভিত্তিক রামপালের এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে বিশ্ব ঐতিহ্য রামসার সাইট সুন্দরবন জলাভূমি রক্ষা করতে হবে। শুধু বিদ্যুৎকেন্দ্র নয়, সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন বন্ধ করতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবনে হরিণ শিকার বেড়ে গেছে। ফারাক্কা বাঁধ এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলেও সুন্দরবন জলাভূমি হুমকিতে আছে। নীতি নির্ধারকদের সুন্দরবন জলাভূমি রক্ষাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, সুন্দরবন জলাভূমির গুরুত্ব অপিরিসীম বিধায় ১৯৯২ সালে সুন্দরবন ৫৬০তম রামসার সাইট হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর নেতা জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ হাওলাদার বলেন, সুন্দরবনে দূষণ বেড়ে যাওয়ায় নদীখাল মাছশূন্য হতে চলেছে।
একদিকে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রভাব, অন্যদিকে শিল্প দূষণের ভারে আক্রান্ত বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন জলাভূমি। সভাপতির বক্তব্যে সুন্দরবন রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষাক্ত পারদে সুন্দরবনের প্রাণ পশুর নদী মারাত্মকভাবে আক্রান্ত। এর প্রভাবে সুন্দরবনের নদী খালের জলজ প্রাণী হুমকিতে পড়েছে। অন্যদিকে বন্যপ্রাণী হত্যা এবং পাচার ও সুন্দরবনের নদীখালে বিষ প্রয়োগের ফলে বাস্তুতন্ত্র উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে সুন্দরবন বিনাশী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে বিশ্ব ঐতিহ্য রামসার সাইট সুন্দরবন জলাভূমিকে রক্ষা করতে হবে।