রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ভাঁড়রা গ্রামে আওয়ামী–সমর্থিত সংগঠন ‘স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ’ (স্বাচিপ)-এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নওশাদ আলীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে।
বুধবার গভীর রাতে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি দল বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। পরিবারের সদস্যরা প্রাণে বাঁচতে বাড়ি ছেড়ে বাইরে চলে যান।
এই বাড়িতে নওশাদ আলীর ভাগনে ফয়সাল মোহাম্মদ রুবেল পরিবারসহ বসবাস করেন। তিনি জানান, রাত ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাদের। হামলাকারীরা হেমার দিয়ে বাড়ির মূল গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা বাসার ভেতরে ঢুকে পরিবারের সবাইকে বেরিয়ে যেতে বলে। প্রাণভয়ে দুই শিশুসন্তান, স্ত্রী ও মাকে নিয়ে বাড়ির বাইরে চলে যান তিনি। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে দুর্বৃত্তরা বাসার সব আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙচুরে পুরো বাড়ির মেঝে আসবাবের টুকরো ও ভাঙা কাচে ভরে গেছে। হামলাকারীরা প্রতিটি বাথরুমের ফিটিংস ভেঙে ফেলেছে এবং জানালার থাই গ্লাস গুঁড়িয়ে দিয়েছে। বিছানাপত্রসহ অন্যান্য আসবাব এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে।
নওশাদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলে ফয়সাল জানান, দুর্বৃত্তরা মুখোশ পরা ছিল, তাই কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, এখনো পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি বা পুলিশকে কোনো তথ্য দেয়নি। ফলে পুলিশ এ বিষয়ে কিছু জানে না।
এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে একইভাবে উপজেলার পচামাড়িয়া গ্রামে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা যুব আওয়ামী লীগের সভাপতি মৌসুমী রহমানের বাড়িতেও হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ তখনও জানিয়েছিল, ২৪ ঘণ্টা পার হলেও তারা কিছু জানে না।
বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ভাঁড়রা গ্রামে আওয়ামী–সমর্থিত সংগঠন ‘স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ’ (স্বাচিপ)-এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নওশাদ আলীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে।
বুধবার গভীর রাতে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি দল বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। পরিবারের সদস্যরা প্রাণে বাঁচতে বাড়ি ছেড়ে বাইরে চলে যান।
এই বাড়িতে নওশাদ আলীর ভাগনে ফয়সাল মোহাম্মদ রুবেল পরিবারসহ বসবাস করেন। তিনি জানান, রাত ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাদের। হামলাকারীরা হেমার দিয়ে বাড়ির মূল গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা বাসার ভেতরে ঢুকে পরিবারের সবাইকে বেরিয়ে যেতে বলে। প্রাণভয়ে দুই শিশুসন্তান, স্ত্রী ও মাকে নিয়ে বাড়ির বাইরে চলে যান তিনি। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে দুর্বৃত্তরা বাসার সব আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙচুরে পুরো বাড়ির মেঝে আসবাবের টুকরো ও ভাঙা কাচে ভরে গেছে। হামলাকারীরা প্রতিটি বাথরুমের ফিটিংস ভেঙে ফেলেছে এবং জানালার থাই গ্লাস গুঁড়িয়ে দিয়েছে। বিছানাপত্রসহ অন্যান্য আসবাব এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে।
নওশাদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলে ফয়সাল জানান, দুর্বৃত্তরা মুখোশ পরা ছিল, তাই কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, এখনো পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি বা পুলিশকে কোনো তথ্য দেয়নি। ফলে পুলিশ এ বিষয়ে কিছু জানে না।
এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে একইভাবে উপজেলার পচামাড়িয়া গ্রামে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা যুব আওয়ামী লীগের সভাপতি মৌসুমী রহমানের বাড়িতেও হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ তখনও জানিয়েছিল, ২৪ ঘণ্টা পার হলেও তারা কিছু জানে না।