নারায়ণগঞ্জে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১৪৩ মাস উপলক্ষে আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চাষাঢ়ায় শহীদ মিনারে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট এ আয়োজন করে।
সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সহসভাপতি মনি সুপাস্থ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বি, সদস্যসচিব হালিম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, ন্যাপের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ভবানী শংকর রায়, প্রদীপ ঘোষ বাবু ও সামাজিক সংগঠন সমমনার সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা, সিপিবির শহর সাধারণ সম্পাদক সুজয় রায় চৌধুরী, বাসদের সংগঠক প্রদীপ সরকার প্রমুখ।
রফিউর রাব্বি বলেন, ‘দেশে বিচার ব্যবস্থা এখনো গণতান্ত্রিক হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় দুর্বৃত্তরা যেমনি বহাল রয়েছে আবার নতুন দুর্বৃত্তও তৈরি হচ্ছে। চব্বিশের হত্যাকারীদের বিচার না হওয়ার কারণে একদিকে যেমনি পতিত দুর্বৃত্তদের আস্ফালন পরিলক্ষিত হচ্ছে, অন্যদিকে ক্ষোভে, ঘৃণায় সাধারণ জনতা আইন হাতে তুলে নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করছে। সরকার ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে। চব্বিশের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের বৈষম্যবিরোধী সকল মত ও পথের স্বাধীনতা নিশ্চিৎ করার স্বপ্ন ক্রমাগত দূরে সরে যাচ্ছে।’
দীর্ঘ বছরেও ত্বকী হত্যার বিচার শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এক মাস পরে ত্বকী হত্যার একযুগ পূর্ণ হতে যাচ্ছে, অথচ আজো এ হত্যার তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করা হয় নাই। এ সরকার শুরুতে এ বিচারে তৎপরতা দেখালেও এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে।’
তিনি ত্বকী হত্যার নির্দেশদাতা শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান ও ভাতিজা আজমেরী ওসমানসহ সকল আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
মাহবুবুর রহমান মাসুম প্রশ্ন রাখেন, ‘শামীম ওসমানের নির্দেশে ত্বকীকে হত্যা করা হয়েছে বলেই এতদিন ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ রাখা হয়েছিল কিন্তু এখন বিচারে বাধাটা কোথায়?’
তিনি দ্রুত ত্বকী হত্যার বিচার শুরুর দাবি জানান।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরীর শায়েস্তা খাঁ সড়কের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দু’দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ত্বকী হত্যার পর থেকে বিচারের দাবিতে প্রতি মাসের ৮ তারিখ আলোক প্রজ্বালনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট।
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নারায়ণগঞ্জে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১৪৩ মাস উপলক্ষে আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চাষাঢ়ায় শহীদ মিনারে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট এ আয়োজন করে।
সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সহসভাপতি মনি সুপাস্থ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বি, সদস্যসচিব হালিম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, ন্যাপের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ভবানী শংকর রায়, প্রদীপ ঘোষ বাবু ও সামাজিক সংগঠন সমমনার সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা, সিপিবির শহর সাধারণ সম্পাদক সুজয় রায় চৌধুরী, বাসদের সংগঠক প্রদীপ সরকার প্রমুখ।
রফিউর রাব্বি বলেন, ‘দেশে বিচার ব্যবস্থা এখনো গণতান্ত্রিক হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় দুর্বৃত্তরা যেমনি বহাল রয়েছে আবার নতুন দুর্বৃত্তও তৈরি হচ্ছে। চব্বিশের হত্যাকারীদের বিচার না হওয়ার কারণে একদিকে যেমনি পতিত দুর্বৃত্তদের আস্ফালন পরিলক্ষিত হচ্ছে, অন্যদিকে ক্ষোভে, ঘৃণায় সাধারণ জনতা আইন হাতে তুলে নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করছে। সরকার ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে। চব্বিশের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের বৈষম্যবিরোধী সকল মত ও পথের স্বাধীনতা নিশ্চিৎ করার স্বপ্ন ক্রমাগত দূরে সরে যাচ্ছে।’
দীর্ঘ বছরেও ত্বকী হত্যার বিচার শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এক মাস পরে ত্বকী হত্যার একযুগ পূর্ণ হতে যাচ্ছে, অথচ আজো এ হত্যার তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করা হয় নাই। এ সরকার শুরুতে এ বিচারে তৎপরতা দেখালেও এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে।’
তিনি ত্বকী হত্যার নির্দেশদাতা শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান ও ভাতিজা আজমেরী ওসমানসহ সকল আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
মাহবুবুর রহমান মাসুম প্রশ্ন রাখেন, ‘শামীম ওসমানের নির্দেশে ত্বকীকে হত্যা করা হয়েছে বলেই এতদিন ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ রাখা হয়েছিল কিন্তু এখন বিচারে বাধাটা কোথায়?’
তিনি দ্রুত ত্বকী হত্যার বিচার শুরুর দাবি জানান।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরীর শায়েস্তা খাঁ সড়কের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দু’দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ত্বকী হত্যার পর থেকে বিচারের দাবিতে প্রতি মাসের ৮ তারিখ আলোক প্রজ্বালনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট।