গাইবান্ধা : কালভার্ট আছে, চলাচলের রাস্তা নেই -সংবাদ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে আওতাধীনে চারটি কালভার্ট নির্মাণ করা হলেও এলাকাবসীর কোন উপকারে আসেনি। এটা এখন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় পত্র-পত্রিকায় এসব কালভার্ট নির্মাণ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে একাধিক সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুরে করতোয়া নদীর পূবে নদীরচরে একটি খালের দক্ষিণে এক স্প্যান বিশিষ্ট ১২ মিটার দৈর্ঘ্য একটি কলভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ চলাচলের জন্য কোনো রাস্তা নেই। এছাড়া বিশ্বনাথপুর গ্রামের করতোয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ থেকে ওই কলভার্ট যাওয়ার পথে বাঁধের পাশে বিশাল একটা খাল রয়েছে যা বছরের বেশির ভাগ সময় জলামগ্ন থাকে। তাই শুকনো সময় ছাড়া এ পথে মানুষ চলাচল সম্ভব হয় না। কেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এ খালে কলভার্ট নির্মাণ না করে খালের দক্ষিণে গিয়ে কলভার্ট নির্মাণ করল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন স্থানীয়রা। বিশ্বনাথপুর গ্রামের রোকসানা বলেন, যে রাস্তা দিয়ে কলভার্টে যাওয়া আসা করা হচ্ছে এটি আমার মামা শ্বশুরের জমি। ব্যক্তি মালিকানা জমি দিয়ে কেউ রাস্তা ব্যবহার করতে দিবে না। এ নিয়ে তার ছেলে পলাশ ও মেয়ে পারুল, পরভীন আদালতে মামলা করেছে। এদিকে সাপমাড়া ইউনিয়নের দুধাআরা গ্রামে একটি কলভার্টে থালেও তার পাশে দুই স্প্যান বিশিষ্ট আরও কলভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। এ গ্রামের অ্যাডভোকেট রেখা মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, দুধাআরা পারার মধ্যে চলাচলের জন্য ব্যক্তিগতভাবে তিনি নিজে ৩ ফিট প্রস্থ রাস্তা দেয়া হয়। ব্যক্তিগত রাস্তায় একটি কলভার্ট থাকতে কেন সেখানে নতুন আরও একটি কলভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এ কলভার্ট নির্মাণের ফলে এলাকার বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি জালামগ্ন হয়ে পড়বে। এতে এলাকার কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়বে। অন্যদিকে সাপমাড়া ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ থেকে দরবস্ত ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামে যাওয়ার জন্য সাহেবগঞ্জ গ্রামসংলগ্ন খালের উপর পাশাপাশি দুই কলভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে যা সরকারি অর্থ অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সিপিবি নেতা তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলার ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যলয়ের কোনো তথ্য সহজে পাওয়া যায় না। তাদের ওয়েবসাইটে কোনো তথ্য দেয়া থাকে না। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে আওতাধীন এসব কলভার্ট নির্মাণ অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করে তিনি বলেন, কর্মকর্তারা তাদের স্বার্থে এসব কলভার্ট নির্মাণ করেছে। এলাকার মানুষের কোনো উপকার হয়নি। এসব কলভার্ট নির্মাণে দায়ী ব্যক্তিদের তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিন্দার আলী বলেন, নিয়ম মেনে কলভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। কোনো অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিত নেই। সরকারি জমিতে কলভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে করো ব্যক্তিগত জমিতে নয় বলে দাবি তার। কলভার্ট নির্মাণে আশেপাশের জমির মালিকরা তাকে সহযোগিতা করছে। দুধাআরা কলভার্টের আশপাশে অ্যাডভোকেট রেখার কোনো জমি নেই বলে দাবি করেন তিনি।
গাইবান্ধা : কালভার্ট আছে, চলাচলের রাস্তা নেই -সংবাদ
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে আওতাধীনে চারটি কালভার্ট নির্মাণ করা হলেও এলাকাবসীর কোন উপকারে আসেনি। এটা এখন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় পত্র-পত্রিকায় এসব কালভার্ট নির্মাণ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে একাধিক সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুরে করতোয়া নদীর পূবে নদীরচরে একটি খালের দক্ষিণে এক স্প্যান বিশিষ্ট ১২ মিটার দৈর্ঘ্য একটি কলভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ চলাচলের জন্য কোনো রাস্তা নেই। এছাড়া বিশ্বনাথপুর গ্রামের করতোয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ থেকে ওই কলভার্ট যাওয়ার পথে বাঁধের পাশে বিশাল একটা খাল রয়েছে যা বছরের বেশির ভাগ সময় জলামগ্ন থাকে। তাই শুকনো সময় ছাড়া এ পথে মানুষ চলাচল সম্ভব হয় না। কেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এ খালে কলভার্ট নির্মাণ না করে খালের দক্ষিণে গিয়ে কলভার্ট নির্মাণ করল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন স্থানীয়রা। বিশ্বনাথপুর গ্রামের রোকসানা বলেন, যে রাস্তা দিয়ে কলভার্টে যাওয়া আসা করা হচ্ছে এটি আমার মামা শ্বশুরের জমি। ব্যক্তি মালিকানা জমি দিয়ে কেউ রাস্তা ব্যবহার করতে দিবে না। এ নিয়ে তার ছেলে পলাশ ও মেয়ে পারুল, পরভীন আদালতে মামলা করেছে। এদিকে সাপমাড়া ইউনিয়নের দুধাআরা গ্রামে একটি কলভার্টে থালেও তার পাশে দুই স্প্যান বিশিষ্ট আরও কলভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। এ গ্রামের অ্যাডভোকেট রেখা মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, দুধাআরা পারার মধ্যে চলাচলের জন্য ব্যক্তিগতভাবে তিনি নিজে ৩ ফিট প্রস্থ রাস্তা দেয়া হয়। ব্যক্তিগত রাস্তায় একটি কলভার্ট থাকতে কেন সেখানে নতুন আরও একটি কলভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এ কলভার্ট নির্মাণের ফলে এলাকার বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি জালামগ্ন হয়ে পড়বে। এতে এলাকার কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়বে। অন্যদিকে সাপমাড়া ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ থেকে দরবস্ত ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামে যাওয়ার জন্য সাহেবগঞ্জ গ্রামসংলগ্ন খালের উপর পাশাপাশি দুই কলভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে যা সরকারি অর্থ অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সিপিবি নেতা তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলার ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যলয়ের কোনো তথ্য সহজে পাওয়া যায় না। তাদের ওয়েবসাইটে কোনো তথ্য দেয়া থাকে না। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে আওতাধীন এসব কলভার্ট নির্মাণ অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করে তিনি বলেন, কর্মকর্তারা তাদের স্বার্থে এসব কলভার্ট নির্মাণ করেছে। এলাকার মানুষের কোনো উপকার হয়নি। এসব কলভার্ট নির্মাণে দায়ী ব্যক্তিদের তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিন্দার আলী বলেন, নিয়ম মেনে কলভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। কোনো অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিত নেই। সরকারি জমিতে কলভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে করো ব্যক্তিগত জমিতে নয় বলে দাবি তার। কলভার্ট নির্মাণে আশেপাশের জমির মালিকরা তাকে সহযোগিতা করছে। দুধাআরা কলভার্টের আশপাশে অ্যাডভোকেট রেখার কোনো জমি নেই বলে দাবি করেন তিনি।