alt

সম্পাদকীয়

হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট দূর করুন

: বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো জনবল সংকট। কোনো কোনো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসক, নার্স, সহায়ক কর্মী ও প্রশাসনিক জনবলের অভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর ফলে চিকিৎসাসেবা, পরিচ্ছন্নতা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ সংকটের অন্যতম উদাহরণ।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন, অথচ কার্যকর জনবল রয়েছে ৫০০ শয্যার অনুমোদিত সংখ্যার অর্ধেক। চিকিৎসক সংকট এতটাই প্রকট যে, ২২৪ অনুমোদিত পদের মধ্যে ২০টি পদ একেবারেই শূন্য। তৃতীয় শ্রেণীর ১৮২টি পদের অর্ধেক শূন্য, আর চতুর্থ শ্রেণীর ৪২৬টি পদের মধ্যে ২১৯টি শূন্য রয়েছে। এর ফলে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, রোগীরা ন্যূনতম সেবাটুকু পেতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নয়, দেশের অন্যান্য সরকারি হাসপাতালেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। ঢাকার বাইরে বেশিরভাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। অনুমোদিত শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও সহায়ক কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়নি। ফলে প্রতিটি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা হিমশিম খাচ্ছে।

শিক্ষক সংকটও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেডিকেল কলেজগুলোর ৬৫ শতাংশ শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় চিকিৎসা শিক্ষার মান যেমন কমছে, তেমনি রোগীরাও মানসম্মত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও কর্মী না থাকায় চিকিৎসকদের ওপর চাপ বাড়ছে এবং তারা মানসম্মত সেবা দিতে পারছেন না।

এমন অবস্থায় কর্তৃপক্ষের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। হাসপাতাল পরিচালকেরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে নিয়মিত অবহিত করছেন, কিন্তু দীর্ঘদিনেও সংকট নিরসনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার, তাই দেশের সব হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।

জনবল সংকট নিরসনে জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। অনুমোদিত পদের সবগুলোতে দ্রুত নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। হাসপাতালের বর্ধিত শয্যাসংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন জনবল মঞ্জুর করতে হবে। মেডিকেল শিক্ষার মানোন্নয়নে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

দেশের হাসপাতালগুলোর জনবল সংকট দীর্ঘমেয়াদে জনগণের স্বাস্থ্যসেবাকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। এ সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে প্রত্যেক রোগী তার প্রাপ্য চিকিৎসা সেবা পেতে পারেন।

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

tab

সম্পাদকীয়

হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট দূর করুন

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো জনবল সংকট। কোনো কোনো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসক, নার্স, সহায়ক কর্মী ও প্রশাসনিক জনবলের অভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর ফলে চিকিৎসাসেবা, পরিচ্ছন্নতা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ সংকটের অন্যতম উদাহরণ।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন, অথচ কার্যকর জনবল রয়েছে ৫০০ শয্যার অনুমোদিত সংখ্যার অর্ধেক। চিকিৎসক সংকট এতটাই প্রকট যে, ২২৪ অনুমোদিত পদের মধ্যে ২০টি পদ একেবারেই শূন্য। তৃতীয় শ্রেণীর ১৮২টি পদের অর্ধেক শূন্য, আর চতুর্থ শ্রেণীর ৪২৬টি পদের মধ্যে ২১৯টি শূন্য রয়েছে। এর ফলে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, রোগীরা ন্যূনতম সেবাটুকু পেতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নয়, দেশের অন্যান্য সরকারি হাসপাতালেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। ঢাকার বাইরে বেশিরভাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। অনুমোদিত শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও সহায়ক কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়নি। ফলে প্রতিটি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা হিমশিম খাচ্ছে।

শিক্ষক সংকটও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেডিকেল কলেজগুলোর ৬৫ শতাংশ শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় চিকিৎসা শিক্ষার মান যেমন কমছে, তেমনি রোগীরাও মানসম্মত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও কর্মী না থাকায় চিকিৎসকদের ওপর চাপ বাড়ছে এবং তারা মানসম্মত সেবা দিতে পারছেন না।

এমন অবস্থায় কর্তৃপক্ষের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। হাসপাতাল পরিচালকেরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে নিয়মিত অবহিত করছেন, কিন্তু দীর্ঘদিনেও সংকট নিরসনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার, তাই দেশের সব হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।

জনবল সংকট নিরসনে জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। অনুমোদিত পদের সবগুলোতে দ্রুত নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। হাসপাতালের বর্ধিত শয্যাসংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন জনবল মঞ্জুর করতে হবে। মেডিকেল শিক্ষার মানোন্নয়নে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

দেশের হাসপাতালগুলোর জনবল সংকট দীর্ঘমেয়াদে জনগণের স্বাস্থ্যসেবাকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। এ সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে প্রত্যেক রোগী তার প্রাপ্য চিকিৎসা সেবা পেতে পারেন।

back to top