রায়পুরা (নরসিংদী) : শান্তা হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন -সংবাদ
নরসিংদীর রায়পুরায় গোষ্ঠীগত দ্বদ্বের জেরে প্রতিপক্ষের হামলার সময় শান্তা ইসলাম (২৪) নামে এক গৃহবধূকে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি জেলা যুবদলের সদস্য সোহেল ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও থানা ঘেরাও করেছে স্বজন ও এলাকাবাসী। এ সময় বিভিন্ন ফ্যাস্টুন ও ব্যানার হাতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। রোববার দুপুরে রায়পুরা পৌরসভা মাঠে এ মানববন্ধন করা হয়। পরে পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মিছিলটি রায়পুরা বাজার হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রায়পুরা থানা প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে থানার অফিসার ইনচার্জের সামনে আসামি গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
মানববন্ধনে নিহতের স্বামী ও স্বজনরা বলেন, শান্তা ইসলাম ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গোষ্ঠীগত দ্বদ্বের জেরে তাকে সন্ত্রাসী সোহেল বাহিনীরা নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। ঘটনার ৯ দিন পার হয়ে গেলেও সোহেলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে।
অন্যদিকে, শান্তা হত্যার কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই হত্যাকারীরা ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজ মোর্শেদ খানের বাড়ি থেকে একটি গরু লুট করে ভুঁড়িভোজ করেছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনরা।
রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আদিল মাহমুদ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি শান্তাকে হত্যা করেছে সোহেল। তাকে গ্রেপ্তার করতে রায়পুরা থানাপুলিশের পাশাপাশি র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সদস্যরা তৎপর রয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর রায়পুরার চরাঞ্চলের শ্রীনগর ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জের ও গোষ্ঠীগত দ্বদ্বে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলার সময় গুলিতে নিহত হয় শান্তা ইসলাম। সে ওই এলাকার শাকিল খানের স্ত্রী। ঘটনার একদিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি জেলা যুবদল সদস্য ও শ্রীনগর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে সোহেল মিয়াকে প্রধান করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা আহসান উল্লাহ।
রায়পুরা (নরসিংদী) : শান্তা হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন -সংবাদ
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নরসিংদীর রায়পুরায় গোষ্ঠীগত দ্বদ্বের জেরে প্রতিপক্ষের হামলার সময় শান্তা ইসলাম (২৪) নামে এক গৃহবধূকে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি জেলা যুবদলের সদস্য সোহেল ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও থানা ঘেরাও করেছে স্বজন ও এলাকাবাসী। এ সময় বিভিন্ন ফ্যাস্টুন ও ব্যানার হাতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। রোববার দুপুরে রায়পুরা পৌরসভা মাঠে এ মানববন্ধন করা হয়। পরে পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মিছিলটি রায়পুরা বাজার হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রায়পুরা থানা প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে থানার অফিসার ইনচার্জের সামনে আসামি গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
মানববন্ধনে নিহতের স্বামী ও স্বজনরা বলেন, শান্তা ইসলাম ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গোষ্ঠীগত দ্বদ্বের জেরে তাকে সন্ত্রাসী সোহেল বাহিনীরা নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। ঘটনার ৯ দিন পার হয়ে গেলেও সোহেলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে।
অন্যদিকে, শান্তা হত্যার কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই হত্যাকারীরা ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজ মোর্শেদ খানের বাড়ি থেকে একটি গরু লুট করে ভুঁড়িভোজ করেছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনরা।
রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আদিল মাহমুদ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি শান্তাকে হত্যা করেছে সোহেল। তাকে গ্রেপ্তার করতে রায়পুরা থানাপুলিশের পাশাপাশি র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সদস্যরা তৎপর রয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর রায়পুরার চরাঞ্চলের শ্রীনগর ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জের ও গোষ্ঠীগত দ্বদ্বে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলার সময় গুলিতে নিহত হয় শান্তা ইসলাম। সে ওই এলাকার শাকিল খানের স্ত্রী। ঘটনার একদিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি জেলা যুবদল সদস্য ও শ্রীনগর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে সোহেল মিয়াকে প্রধান করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা আহসান উল্লাহ।