দেশের সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাসদর। পাশাপাশি গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়েও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে সেনাবাহিনী। সেনাসদরের মতে, জনগণই নির্ধারণ করবে কোন তথ্য কতটা বস্তুনিষ্ঠ।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “মব জাস্টিস, চাঁদাবাজি, চুরি, রাহাজানি ও হত্যার মতো অপরাধের হার আগের তুলনায় অনেক কমেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৫০ দিনে সেনাবাহিনীর অভিযানের ফলে অপরাধের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
চাঁদাবাজির সংখ্যা ২৫০ থেকে কমে ১১০-এ নেমে এসেছে।
চুরির ঘটনা ৮৫০ থেকে কমে ৬৫০-এর নিচে নেমেছে।
হত্যার সংখ্যা ৩৫০ থেকে কমে ১২০ হয়েছে।
কর্নেল শফিকুল জানান, সেনাবাহিনী অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে সার্বক্ষণিক নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে অপরাধ কমে এসেছে।
সামাজিক মাধ্যমে সেনাবাহিনী নিয়ে কিছু বিরূপ মন্তব্য করা হচ্ছে—এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কর্নেল শফিকুল বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় মতপ্রকাশের সুযোগ সবার রয়েছে। আমরা কারও মতপ্রকাশে বাধা দিচ্ছি না। তবে মতামতের বস্তুনিষ্ঠতার বিচার জনগণের ওপরই ন্যস্ত।”
সম্প্রতি ঢাকার মোহাম্মদপুর ও বনানীতে ডাকাতির ঘটনায় বর্তমান ও সাবেক সেনাসদস্যদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তিনি বলেন, “এ দুটি ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং বিচ্ছিন্ন। এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীতে কর্মরত সদস্যদের সেনা আইনে বিচার করা হবে, আর সাবেক সদস্যদের বিচার দেশের প্রচলিত আইনে হবে।”
পার্বত্য জেলা বান্দরবানে রাবার শ্রমিক অপহরণের বিষয়ে কর্নেল শফিকুল জানান, ২০ জন শ্রমিক অপহৃত হয়েছেন এবং সেনাবাহিনী উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চীনের দৌরাত্ম্য কমাতে অভিযান চলছে। তিনি জানান, সাম্প্রতিক অভিযানে কুকি-চীনের দুটি ক্যাম্প ধ্বংস করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনীর সহায়তায় ১১টি বম পরিবারের ৮১ জন তাদের এলাকায় ফিরে এসেছে।
গত ৫০ দিনে সেনাবাহিনী বিভিন্ন অভিযানে ১৭২টি অবৈধ অস্ত্র ও ৫২৭ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।
এ সময় সেনাবাহিনী গাজীপুর, আশুলিয়া ও সাভারের শিল্পাঞ্চলে ৮৮টি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং মূল সড়কে ৩০টি অবরোধ অপসারণ করেছে।
এক মাসে ৪২টি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, যার মধ্যে:
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত – ১৪টি
সরকারি সংস্থা বা অফিস সংক্রান্ত – ৩টি
রাজনৈতিক কোন্দল – ৯টি
অন্যান্য – ১৬টি
গত এক মাসে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে ২,১৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৩৪ জন মাদক ব্যবসায়ী বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি।
কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনী সবসময় নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে কাজ করে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়।
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
দেশের সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাসদর। পাশাপাশি গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়েও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে সেনাবাহিনী। সেনাসদরের মতে, জনগণই নির্ধারণ করবে কোন তথ্য কতটা বস্তুনিষ্ঠ।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “মব জাস্টিস, চাঁদাবাজি, চুরি, রাহাজানি ও হত্যার মতো অপরাধের হার আগের তুলনায় অনেক কমেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৫০ দিনে সেনাবাহিনীর অভিযানের ফলে অপরাধের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
চাঁদাবাজির সংখ্যা ২৫০ থেকে কমে ১১০-এ নেমে এসেছে।
চুরির ঘটনা ৮৫০ থেকে কমে ৬৫০-এর নিচে নেমেছে।
হত্যার সংখ্যা ৩৫০ থেকে কমে ১২০ হয়েছে।
কর্নেল শফিকুল জানান, সেনাবাহিনী অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে সার্বক্ষণিক নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে অপরাধ কমে এসেছে।
সামাজিক মাধ্যমে সেনাবাহিনী নিয়ে কিছু বিরূপ মন্তব্য করা হচ্ছে—এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কর্নেল শফিকুল বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় মতপ্রকাশের সুযোগ সবার রয়েছে। আমরা কারও মতপ্রকাশে বাধা দিচ্ছি না। তবে মতামতের বস্তুনিষ্ঠতার বিচার জনগণের ওপরই ন্যস্ত।”
সম্প্রতি ঢাকার মোহাম্মদপুর ও বনানীতে ডাকাতির ঘটনায় বর্তমান ও সাবেক সেনাসদস্যদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তিনি বলেন, “এ দুটি ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং বিচ্ছিন্ন। এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীতে কর্মরত সদস্যদের সেনা আইনে বিচার করা হবে, আর সাবেক সদস্যদের বিচার দেশের প্রচলিত আইনে হবে।”
পার্বত্য জেলা বান্দরবানে রাবার শ্রমিক অপহরণের বিষয়ে কর্নেল শফিকুল জানান, ২০ জন শ্রমিক অপহৃত হয়েছেন এবং সেনাবাহিনী উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চীনের দৌরাত্ম্য কমাতে অভিযান চলছে। তিনি জানান, সাম্প্রতিক অভিযানে কুকি-চীনের দুটি ক্যাম্প ধ্বংস করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনীর সহায়তায় ১১টি বম পরিবারের ৮১ জন তাদের এলাকায় ফিরে এসেছে।
গত ৫০ দিনে সেনাবাহিনী বিভিন্ন অভিযানে ১৭২টি অবৈধ অস্ত্র ও ৫২৭ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।
এ সময় সেনাবাহিনী গাজীপুর, আশুলিয়া ও সাভারের শিল্পাঞ্চলে ৮৮টি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং মূল সড়কে ৩০টি অবরোধ অপসারণ করেছে।
এক মাসে ৪২টি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, যার মধ্যে:
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত – ১৪টি
সরকারি সংস্থা বা অফিস সংক্রান্ত – ৩টি
রাজনৈতিক কোন্দল – ৯টি
অন্যান্য – ১৬টি
গত এক মাসে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে ২,১৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৩৪ জন মাদক ব্যবসায়ী বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি।
কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনী সবসময় নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে কাজ করে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়।