alt

সারাদেশ

সাটুরিয়ার এক বছরেও আলোর মুখ দেখেনি ‘টোকাই প্রকল্প’

প্রতিনিধি, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) : শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) : অকেজো পড়ে আছে টোকাই প্রকল্পের দুটি ময়লা বহনকারী গাড়ি -সংবাদ

সাটুরিয়ার পৌরসভার মতো এ উপজেলায় বর্জ্য সংগ্রহ, ব্যবস্থাপনা ও রিসাইকেল করতে টোকাই প্রকল্প চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। এ প্রকল্পের আওতায় দুটি অত্যাধুনিক মিনি গারবেজ ভ্যান কেনা হয়ে। সেই সঙ্গে নয়টি ইউনিয়নে বর্জ্য পরিবহনের গাড়ি কেনা হয়। জনবহুল স্থান থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে রিসাইকেল করে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করার লক্ষ্যে অহেতুক ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ৩৬ লাখ টাকা যা কোনো কাজেই আসছে না।

দুই টোকাইগাড়িসহ নয় ইউনিয়ন পরিষদের গ্যারেজে বন্দি আছে আরও নয়টি ব্যাটারি চালিত ভ্যান গাড়ি। ময়লা আর্বজনা ফেলার স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ না করে লাখ লাখ টাকা অপচয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের বিরুদ্ধে। উপজেলা উন্নয়ন প্রকল্পর বরাদ্দ থেকে টোকাই প্রকল্পের নামে দুটি ডাম্পিং গাড়ি ক্রয় করা হয় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে। এতে ব্যয় করা হয় ২৫ লাখ টাকার বেশি। এ টোকাই প্রকল্পকে সহযোগিতা করার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে নয়টি ব্যাটারি চালিত ভ্যান গাড়ি করার জন্য আরও ব্যয় করা হয় ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাটুরিয়া উপজেলাকে ক্লিন সাটুরিয়া ও গ্রিন সাটুরিয়া নির্মাণে উপজেলা উন্নয়ন বরাদ্দ (এডিপি) রাজস্ব থেকে একটি টোকাই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এতে দরপত্রের মাধ্যমে কোনো গাড়ির ক্রয়-বিক্রয় প্রতিষ্ঠান কাজটি না পেলেও কাজটি পেয়েছিলেন রাস্তা নির্মাণের ঠিকাদার আর কে এন্টারপ্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠান। এদিকে সাটুরিয়া উপজেলা প্রশাসন কিছু ময়লা আর্বজনা সংগ্রহ করে গাড়িতে ভরে আনা হয়েছিল বালিয়াটি ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে। গত ৫ জুন দুই টোকাইকে উদ্বোধন করেছিল তৎকালীন জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার। উদ্বোধনের পর থেকেই টোকাইরা গ্যারেজে বন্দি রয়েছে। এ প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন তৎকালীন ইউএনও শান্তা রহমান।

জানা গেছে, সাটুরিয়া উপজেলার ঘনবসতি এলাকার ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা সাটুরিয়ার যেকোন স্থানে একটি ডাম্পিং স্টেশন করার জন্য প্রস্তাব করেন যা ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে মাসিক সমন্নয় সভায় অনুমোদন করেন উপজেলা পরিষদ। কিন্তু ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ না করে উত্তরা মোটরস থেকে ২৫ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করা হয় দুটি গাড়ি। এক বছর আগে ওই গাড়ি ক্রয় করা হলেও তা গ্যারেজে পরে রয়েছে। গাড়ি দুটি পরে থাকায় গাড়ির যন্ত্রাংশ ও ব্যাটারি গ্যারেজে বসে থেকে নষ্ট হচ্ছে।

সাটুরিয়া সদরে প্রায় দুই শতাধিক আবাসিক ভবন রয়েছে। এসব ভবনের ময়লা আর্বজনা সাটুরিয়ার গাজীখালি নদীতে ফেলা হয়। ফলে গাজীখালি হারিয়েছে তার যৌবন ও নাব্যতা। নদীকে বাঁচানোর জন্য এ মহতি উদ্দ্যোগ নেয়া হলেও আলোর মুখ দেখেনি এক বছরে। গাজীখালি নদীবেষ্টিত সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ কয়েকটি ক্লিনিকের ময়লা আর্বজনা যত্রতত্রভাবেই ফেলা হচ্ছে যেখানে সেখানে।

এদিকে সাটুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য ভূমি উন্নয়ন কর থেকে ২ ভাগ টাকা সাটুরিয়ার ইউএনওর হিসাব নম্বরে জমা হয়। সেইখান থেকে দুইভাগের একভাগ টাকা ইউপি চেয়য়ারম্যানদের হিসাব নম্বরে দেয়া হয়। সেই টাকা থেকে ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানরা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন।

টোকাই প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করতে নয়টি ইউনিয়নের প্রতিটি ইউনিয়নে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ করে ব্যাটারি চালিত ভ্যান টলি তৈরি করা হয় ময়লা আর্বজনা আনা নেয়ার জন্য। টোকাই প্রকল্পের ক্লিন সাটুরিয়া ও গ্রিন সাটুরিয়াকে সাহায্য করার জন্য এ গাড়ি তৈরি করা হলেও কোনো কাজে আসছে না। যতে অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের গাড়িগুলো।

সাটুরিয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গাজীখালী নদীর দুপাশে গড়ে উঠেছে অনেক প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ভবন। সেইসব প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ভবনের ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য একটি টোকাই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। শুনেছি সরকারি কোষাগার থেকে ২৫ লাখ টাকা খরচ করে ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য উপজেলা পরিষদ দুটি গাড়ি এক বছর আগে আনা হয়েছিল। বিগত এক বছরে ময়লা আর্বজনা নেয়ার জন্য একদিনও টোকাই গাড়ি আসেনি। যে টোকাই প্রকল্প জনগনের উপকারে আসবে না এ রকম লোভ দেখানো প্রকল্প গ্রহণ করার আগে চিন্তা ভাবনা করে প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করেন বাসিন্দারা।

এ বিষয়ে কথা হয় সাটুরিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন পিন্টুর সঙ্গে। তিনি বলেন, এক বছর আগে টোকাই প্রকল্পের মাধ্যমে সাটুরিয়ার ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য দুটি গাড়ি কেনা হয়েছে। কিন্তু ময়লা আর্বজনা ফেলার ডাম্পিং স্টেশন না করে গাড়ি ক্রয় করা হয়। সেই আদলে বরাদ্দ দেওয়ায় প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে আরেকটি ব্যাটারি চালিত টলি ভ্যান কেনা হয়। ময়লা আর্বজনা ফেলার ডাম্পিং স্টেশন তৈরি না করে এ টোকাই প্রকল্প হাতে নেয়া ঠিক হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।

কথা হয় দড়গ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলিনূর বকস রতনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সরকারি কোষাগারের টাকা খরচ করা হলেও সাটুরিয়া বাসিন্দাদের কোন উপকার লাগেনি টোকাই প্রকল্প। অহেতুক টাকা অপচয় করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

টোকাই প্রকল্প নিয়ে কথা হয় সাটুরিয়ার ইউএনও মো. ইকবাল হোসেনে সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি দুই মাস ধরে সাটুরিয়া উপজেলায় যোগদান করেছি। টোকাই প্রকল্প কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

ছবি

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: টাঙ্গাইলে চারজনকে গ্রেপ্তার

ছবি

বগুড়ায় ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষ: নিহত বেড়ে ৫

ছবি

চট্টগ্রামে আবৃত্তি অনুষ্ঠানে বাধা, হেনস্তার অভিযোগ

ছবি

ঝিনাইদহে শীর্ষ চরমপন্থি নেতা হানিফসহ ৩ জনকে গুলি করে হত্যা

ছবি

ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাচ্ছেন সিলেট মেট্রো অঞ্চলের বন্দিরা

অবৈধভাবে চাল প্রক্রিয়াজাত ও বিক্রি, জরিমানা

মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে ও বৃদ্ধা মাকে হত্যা করলেন এক নারী

মহেশপুরে ১৭০ স্কুলে শহীদ মিনার ছাড়া একুশে পালন

কবরস্থান থেকে চারটি কংকাল চুরি

ছবি

দশমিনায় শহীদ মিনার নেই ১৮৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

ছবি

একুশের চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মসূচি পালিত

সীমান্তে বর্গা চাষ নিয়ে উত্তেজনা বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক

ইয়াবা বিক্রির টাকা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

সাভারে বিস্কুট কারখানা, ঝুটের গোডাউনে আগুন

বিয়ের বাজার করে ফেরার পথে বরসহ নিহত ২

শাহজাদপুরে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ

বাঁধের কিনারের মাটি কেটে বিক্রি, অর্থদণ্ড

ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

যুবলীগ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা

দুর্বৃত্তদের হামলায় যুবক নিহত

ফের রেলওয়ের তেল চুরি তদন্ত কমিটি গঠন

মাদরাসা ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা

ছবি

পাঠক নেই ভাষাশহীদ আবদুল জব্বার গ্রন্থাগারে

ছবি

বরগুনার কুকুয়া খালের মাটি যাচ্ছে পটুয়াখালীর ইটভাটায়

ছবি

ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোতে পারাপার ডুমুরিয়ার ভাণ্ডারপাড়া আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের

ছবি

কর্মকর্তাদের চোখের সামনেই লালমাটি দিয়ে করা হচ্ছে এলজিইডির রাস্তার কাজ

বিচারপ্রার্থীদের জন্য পানির ব্যবস্থা বিচারকের

শাহজাদপুরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

ইউএনওর সিল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি : শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

চান্দিনায় দালালের প্রতারণায় নিঃস্ব এক যুবক; অভিযোগ করায় প্রাণনাশের হুমকি

রাজবাড়ীতে ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার ২

ছবি

ভোজ্যতেলের আমদানি হ্রাসে আশার আলো ‘বিনাসরিষা-১১’

আলু খেতে ইঁদুরের উপদ্রব ঠেকাতে অভিনব পাইপ ফাঁদ

বিএনপির সম্মেলন নিয়ে সংঘর্ষে আহত এক বিএনপি নেতার মৃত্যু

ছবি

রাণীনগরে পুকুর খননের মাটি বহনের জন্য বেড়িবাঁধ কেটে রাস্তা তৈরির অভিযোগ

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের স্বীকৃতির দাবি ভাষাসৈনিক মোশাররফ হোসেন আখুঞ্জির

tab

সারাদেশ

সাটুরিয়ার এক বছরেও আলোর মুখ দেখেনি ‘টোকাই প্রকল্প’

প্রতিনিধি, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) : অকেজো পড়ে আছে টোকাই প্রকল্পের দুটি ময়লা বহনকারী গাড়ি -সংবাদ

শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সাটুরিয়ার পৌরসভার মতো এ উপজেলায় বর্জ্য সংগ্রহ, ব্যবস্থাপনা ও রিসাইকেল করতে টোকাই প্রকল্প চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। এ প্রকল্পের আওতায় দুটি অত্যাধুনিক মিনি গারবেজ ভ্যান কেনা হয়ে। সেই সঙ্গে নয়টি ইউনিয়নে বর্জ্য পরিবহনের গাড়ি কেনা হয়। জনবহুল স্থান থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে রিসাইকেল করে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করার লক্ষ্যে অহেতুক ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ৩৬ লাখ টাকা যা কোনো কাজেই আসছে না।

দুই টোকাইগাড়িসহ নয় ইউনিয়ন পরিষদের গ্যারেজে বন্দি আছে আরও নয়টি ব্যাটারি চালিত ভ্যান গাড়ি। ময়লা আর্বজনা ফেলার স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ না করে লাখ লাখ টাকা অপচয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের বিরুদ্ধে। উপজেলা উন্নয়ন প্রকল্পর বরাদ্দ থেকে টোকাই প্রকল্পের নামে দুটি ডাম্পিং গাড়ি ক্রয় করা হয় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে। এতে ব্যয় করা হয় ২৫ লাখ টাকার বেশি। এ টোকাই প্রকল্পকে সহযোগিতা করার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে নয়টি ব্যাটারি চালিত ভ্যান গাড়ি করার জন্য আরও ব্যয় করা হয় ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাটুরিয়া উপজেলাকে ক্লিন সাটুরিয়া ও গ্রিন সাটুরিয়া নির্মাণে উপজেলা উন্নয়ন বরাদ্দ (এডিপি) রাজস্ব থেকে একটি টোকাই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এতে দরপত্রের মাধ্যমে কোনো গাড়ির ক্রয়-বিক্রয় প্রতিষ্ঠান কাজটি না পেলেও কাজটি পেয়েছিলেন রাস্তা নির্মাণের ঠিকাদার আর কে এন্টারপ্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠান। এদিকে সাটুরিয়া উপজেলা প্রশাসন কিছু ময়লা আর্বজনা সংগ্রহ করে গাড়িতে ভরে আনা হয়েছিল বালিয়াটি ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে। গত ৫ জুন দুই টোকাইকে উদ্বোধন করেছিল তৎকালীন জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার। উদ্বোধনের পর থেকেই টোকাইরা গ্যারেজে বন্দি রয়েছে। এ প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন তৎকালীন ইউএনও শান্তা রহমান।

জানা গেছে, সাটুরিয়া উপজেলার ঘনবসতি এলাকার ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা সাটুরিয়ার যেকোন স্থানে একটি ডাম্পিং স্টেশন করার জন্য প্রস্তাব করেন যা ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে মাসিক সমন্নয় সভায় অনুমোদন করেন উপজেলা পরিষদ। কিন্তু ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ না করে উত্তরা মোটরস থেকে ২৫ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করা হয় দুটি গাড়ি। এক বছর আগে ওই গাড়ি ক্রয় করা হলেও তা গ্যারেজে পরে রয়েছে। গাড়ি দুটি পরে থাকায় গাড়ির যন্ত্রাংশ ও ব্যাটারি গ্যারেজে বসে থেকে নষ্ট হচ্ছে।

সাটুরিয়া সদরে প্রায় দুই শতাধিক আবাসিক ভবন রয়েছে। এসব ভবনের ময়লা আর্বজনা সাটুরিয়ার গাজীখালি নদীতে ফেলা হয়। ফলে গাজীখালি হারিয়েছে তার যৌবন ও নাব্যতা। নদীকে বাঁচানোর জন্য এ মহতি উদ্দ্যোগ নেয়া হলেও আলোর মুখ দেখেনি এক বছরে। গাজীখালি নদীবেষ্টিত সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ কয়েকটি ক্লিনিকের ময়লা আর্বজনা যত্রতত্রভাবেই ফেলা হচ্ছে যেখানে সেখানে।

এদিকে সাটুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য ভূমি উন্নয়ন কর থেকে ২ ভাগ টাকা সাটুরিয়ার ইউএনওর হিসাব নম্বরে জমা হয়। সেইখান থেকে দুইভাগের একভাগ টাকা ইউপি চেয়য়ারম্যানদের হিসাব নম্বরে দেয়া হয়। সেই টাকা থেকে ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানরা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন।

টোকাই প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করতে নয়টি ইউনিয়নের প্রতিটি ইউনিয়নে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ করে ব্যাটারি চালিত ভ্যান টলি তৈরি করা হয় ময়লা আর্বজনা আনা নেয়ার জন্য। টোকাই প্রকল্পের ক্লিন সাটুরিয়া ও গ্রিন সাটুরিয়াকে সাহায্য করার জন্য এ গাড়ি তৈরি করা হলেও কোনো কাজে আসছে না। যতে অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের গাড়িগুলো।

সাটুরিয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গাজীখালী নদীর দুপাশে গড়ে উঠেছে অনেক প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ভবন। সেইসব প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ভবনের ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য একটি টোকাই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। শুনেছি সরকারি কোষাগার থেকে ২৫ লাখ টাকা খরচ করে ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য উপজেলা পরিষদ দুটি গাড়ি এক বছর আগে আনা হয়েছিল। বিগত এক বছরে ময়লা আর্বজনা নেয়ার জন্য একদিনও টোকাই গাড়ি আসেনি। যে টোকাই প্রকল্প জনগনের উপকারে আসবে না এ রকম লোভ দেখানো প্রকল্প গ্রহণ করার আগে চিন্তা ভাবনা করে প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করেন বাসিন্দারা।

এ বিষয়ে কথা হয় সাটুরিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন পিন্টুর সঙ্গে। তিনি বলেন, এক বছর আগে টোকাই প্রকল্পের মাধ্যমে সাটুরিয়ার ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য দুটি গাড়ি কেনা হয়েছে। কিন্তু ময়লা আর্বজনা ফেলার ডাম্পিং স্টেশন না করে গাড়ি ক্রয় করা হয়। সেই আদলে বরাদ্দ দেওয়ায় প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে আরেকটি ব্যাটারি চালিত টলি ভ্যান কেনা হয়। ময়লা আর্বজনা ফেলার ডাম্পিং স্টেশন তৈরি না করে এ টোকাই প্রকল্প হাতে নেয়া ঠিক হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।

কথা হয় দড়গ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলিনূর বকস রতনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সরকারি কোষাগারের টাকা খরচ করা হলেও সাটুরিয়া বাসিন্দাদের কোন উপকার লাগেনি টোকাই প্রকল্প। অহেতুক টাকা অপচয় করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

টোকাই প্রকল্প নিয়ে কথা হয় সাটুরিয়ার ইউএনও মো. ইকবাল হোসেনে সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি দুই মাস ধরে সাটুরিয়া উপজেলায় যোগদান করেছি। টোকাই প্রকল্প কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

back to top