alt

সম্পাদকীয়

দেওয়ানগঞ্জ ডাম্পিং স্টেশন প্রকল্প : দায়িত্বহীনতার প্রতিচ্ছবি

: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার নির্মাণাধীন ডাম্পিং স্টেশন প্রকল্পটি একটি দুঃখজনক উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে সরকারি প্রকল্পে দায়িত্বহীনতা, অদক্ষতা এবং সমন্বয়ের অভাব জনগণের স্বার্থকে পিছিয়ে দিচ্ছে। ‘নর্দান বাংলাদেশ ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (নবিদেপ)’-এর আওতায় জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে শুরু হওয়া এ প্রকল্পটির মেয়াদ গত দেড় বছর আগেই শেষ হয়েছে। এরপরও গত ছয় মাস ধরে কাজ পুরোপুরি বন্ধ এবং কবেনাগাদ আবার শুরু হবে, তা কেউ জানে না। এমন পরিস্থিতি শুধু অর্থের অপচয়ই নয়, বরং জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্যও হুমকি সৃষ্টি করছে।

৭ কোটি ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই ডাম্পিং স্টেশনটি দেওয়ানগঞ্জের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কথা ছিল। ২০২২ সালের জুনে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ৩৬০ দিন; কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘ট্রান কন্সট্রাকশন’ নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি অতিরিক্ত দেড় বছর সময় পার হওয়ার পরও প্রকল্পটির সিভিল কাজের ৩০ শতাংশ এবং মেকানিক্যাল কাজের শতভাগ বাকি রয়ে গেছে।

প্রকল্পের এই দীর্ঘস্থায়ী বিলম্ব শুধু ঠিকাদারের ব্যর্থতার ফল নয়, এর পেছনে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাও সমানভাবে দায়ী। পৌরসভা ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিস বারবার তাগিদ দিয়েও কাজে গতি আনতে পারেনি। এখন অফিসিয়াল চিঠি দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু প্রশ্ন হলোÑ এত দিন কী করা হয়েছে? নির্মাণসামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, জনগণের টাকা অপচয় হচ্ছে, অথচ দায়িত্বশীল কেউ এর জবাবদিহি করছেন না।

এ ঘটনা সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের দুর্বলতাকে সামনে এনে দিয়েছে। ঠিকাদার নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব, কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে শৈথিল্য এবং সময়মতো ব্যবস্থা না নেওয়ার প্রবণতা এ ব্যর্থতার মূল কারণ।

দেওয়ানগঞ্জের এই ডাম্পিং স্টেশন প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করতে হলে কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রকল্পের তদারকিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে কাজ শুরু করা জরুরি।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাস্তবতা ও সম্ভাবনার দ্বন্দ্ব

অস্থির চালের বাজারে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা

রমজানের নামে নিগ্রহ : কারা এই ‘নৈতিকতার ঠিকাদার’?

সেতু নির্মাণে গাফিলতি : জনদুর্ভোগের শেষ কোথায়?

ধর্ষণ, মব ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা : শুধু যেন কথার কথা না হয়

নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

গণরোষের নামে নৃশংসতা : কোথায় সমাধান?

গাছের জীবন রক্ষায় এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

প্রকাশ্যে ধূমপান, মবের সংস্কৃতি এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বয়ান

চট্টগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

লামায় শ্রমিক অপহরণ : প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা

রেলওয়ের তেল চুরি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা

মহাসড়কে নিরাপত্তাহীনতা ও পুলিশের দায়িত্বে শৈথিল্য

রেলপথে নিরাপত্তাহীনতা : চুরি ও অব্যবস্থাপনার দুষ্টচক্র

সবজি সংরক্ষণে হিমাগার : কৃষকদের বাঁচানোর জরুরি পদক্ষেপ

অমর একুশে

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

আইনশৃঙ্খলার অবনতি : নাগরিক নিরাপত্তা কোথায়?

বাগাতিপাড়ার বিদ্যালয়গুলোর শৌচাগার সংকট দূর করুন

হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট দূর করুন

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

নতুন পাঠ্যবই বিতরণে ধীরগতি : শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে

সরকারি জমি রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

সার বিপণনে অনিয়মের অভিযোগ, ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতার অভিশাপ : পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন ও দুর্ভোগ

সেতুর জন্য আর কত অপেক্ষা

শবে বরাত: আত্মশুদ্ধির এক মহিমান্বিত রাত

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই সংকট : ব্যর্থতার দায় কার?

মাদারীপুর পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন কবে হবে

বায়ুদূষণ : আর উপেক্ষা করা যায় না

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার : সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

যৌতুকের বলি : বৈশাখীর নির্মম পরিণতি ও আমাদের করণীয়

কেশবপুরে ওএমএস কর্মসূচির সংকট

শিক্ষক সংকট : প্রাথমিক শিক্ষার চ্যালেঞ্জ

নদীভাঙনের শিকার শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে?

tab

সম্পাদকীয়

দেওয়ানগঞ্জ ডাম্পিং স্টেশন প্রকল্প : দায়িত্বহীনতার প্রতিচ্ছবি

শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার নির্মাণাধীন ডাম্পিং স্টেশন প্রকল্পটি একটি দুঃখজনক উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে সরকারি প্রকল্পে দায়িত্বহীনতা, অদক্ষতা এবং সমন্বয়ের অভাব জনগণের স্বার্থকে পিছিয়ে দিচ্ছে। ‘নর্দান বাংলাদেশ ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (নবিদেপ)’-এর আওতায় জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে শুরু হওয়া এ প্রকল্পটির মেয়াদ গত দেড় বছর আগেই শেষ হয়েছে। এরপরও গত ছয় মাস ধরে কাজ পুরোপুরি বন্ধ এবং কবেনাগাদ আবার শুরু হবে, তা কেউ জানে না। এমন পরিস্থিতি শুধু অর্থের অপচয়ই নয়, বরং জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্যও হুমকি সৃষ্টি করছে।

৭ কোটি ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই ডাম্পিং স্টেশনটি দেওয়ানগঞ্জের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কথা ছিল। ২০২২ সালের জুনে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ৩৬০ দিন; কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘ট্রান কন্সট্রাকশন’ নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি অতিরিক্ত দেড় বছর সময় পার হওয়ার পরও প্রকল্পটির সিভিল কাজের ৩০ শতাংশ এবং মেকানিক্যাল কাজের শতভাগ বাকি রয়ে গেছে।

প্রকল্পের এই দীর্ঘস্থায়ী বিলম্ব শুধু ঠিকাদারের ব্যর্থতার ফল নয়, এর পেছনে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাও সমানভাবে দায়ী। পৌরসভা ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিস বারবার তাগিদ দিয়েও কাজে গতি আনতে পারেনি। এখন অফিসিয়াল চিঠি দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু প্রশ্ন হলোÑ এত দিন কী করা হয়েছে? নির্মাণসামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, জনগণের টাকা অপচয় হচ্ছে, অথচ দায়িত্বশীল কেউ এর জবাবদিহি করছেন না।

এ ঘটনা সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের দুর্বলতাকে সামনে এনে দিয়েছে। ঠিকাদার নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব, কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে শৈথিল্য এবং সময়মতো ব্যবস্থা না নেওয়ার প্রবণতা এ ব্যর্থতার মূল কারণ।

দেওয়ানগঞ্জের এই ডাম্পিং স্টেশন প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করতে হলে কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রকল্পের তদারকিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে কাজ শুরু করা জরুরি।

back to top