বগুড়া : ওয়াইএমসিএ’র উদ্যোগে সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় বিনামূল্যে চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত হয় -সংবাদ
জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় বিনামূল্যে চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। বগুড়া ইয়াং মেনস্ খ্রীষ্টিয়ান এসোসিয়েশন (ওয়াইএমসিএ) এর উদ্যোগে ও বগুড়া মিশন হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই কর্মসূচিটি সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য এক বিশেষ সহায়তা হিসেবে কাজ করেছে। মঙ্গলবার দিনব্যাপী এই ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শত শত চক্ষু রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন। ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং ওয়াইএমসিএ-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাম্পের কার্যক্রম শুরু হয়, যেখানে বিনামূল্যে চোখ পরীক্ষা, চিকিৎসাপত্র, চশমা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়। চক্ষু শিবিরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে চক্ষুজনিত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা এবং তাদের যথাযথ চিকিৎসার আওতায় আনা। এ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় শতাধিক রোগী চক্ষু পরীক্ষা করান এবং তাদের মধ্যে দু’ডজন রোগীকে চোখের অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়। অপারেশনের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিদের পরবর্তী সময়ে বগুড়া মিশন হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সার্জারি করানো হবে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। চক্ষুসেবা নিতে আসা বয়োঃবৃদ্ধ মামুনুর রশিদ মামুন (৭০) জানান, এমন একটি সেবামূলক কার্যক্রম আমাদের জন্য কত বড় উপকার বয়ে এনেছে তা বলে বোঝানো যাবে না। আরেক এক প্রবীণ রোগী ময়না বেগম বলেন, অনেক বছর ধরে আমার চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা হচ্ছিল, কিন্তু টাকার অভাবে ভালো চিকিৎসা করাতে পারিনি। এখানে এসে চোখের পরীক্ষা করিয়েছি এবং বিনামূল্যে চশমা পেয়েছি। এটা আমার জন্য বিশাল উপকার। বগুড়া ওয়াইএমসিএ’র ইপকপ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বলেন, সারিয়াকান্দির কুতুবপুরে আয়োজিত চক্ষু শিবির দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য এক আশীর্বাদস্বরূপ। বিনামূল্যে চোখ পরীক্ষা, ওষুধ, চশমা পেয়ে এলাকার মানুষদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বয়ে গেছে। চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা প্রদানকারী মেডিক্যাল টিমের সদস্য প্যারামেডিকস অপথালটিকস মিঃ দীলিপ মারান্ডী বলেন, এখানে এসে বিভিন্ন বয়সী রোগীর চক্ষু পরীক্ষা করে দেখতে পাচ্ছি বেশিরভাগই ক্ষীণ দৃষ্টিসম্পন্ন, অথচ তারা বিষয়টি আগে বুঝতেই পারেননি। এ ছাড়া অনেকেরই অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে এবং কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে জটিল রোগ লক্ষ্য করা গেছে। বগুড়া চার্চ্চেস অব গড মিশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ডোনাল্ড দাস বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো এমন মানুষদের কাছে পৌঁছানো, যারা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে চোখের চিকিৎসা করাতে পারেন না।
বিশেষ করে যাদের অপারেশন বা দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন, তাদের জন্য আমরা আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে চাই। বগুড়া ওয়াইএমসিএ-এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যক্ষ বরার্ট রবিন মারান্ডী বলেন, চক্ষু শিবিরটি স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য এক বিশেষ সহায়তা প্রদান করে আসছে। আমরা দেখতে পাই, অনেক মানুষ শুধুমাত্র অর্থের অভাবে চোখের সঠিক চিকিৎসা করাতে পারে না, যা তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করে। তাই আমাদের এই উদ্যোগ শুধুমাত্র চিকিৎসা দেওয়া নয়, বরং তাদের নতুনভাবে স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দেওয়া। এ সময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া ওয়াইএমসিএ’র প্রেস সচিব আজাহার আলী, আইক্যাম্প সুপারভাইজার নজরুল ইসলামসহ প্রমুখ।
বগুড়া : ওয়াইএমসিএ’র উদ্যোগে সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় বিনামূল্যে চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত হয় -সংবাদ
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় বিনামূল্যে চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। বগুড়া ইয়াং মেনস্ খ্রীষ্টিয়ান এসোসিয়েশন (ওয়াইএমসিএ) এর উদ্যোগে ও বগুড়া মিশন হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই কর্মসূচিটি সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য এক বিশেষ সহায়তা হিসেবে কাজ করেছে। মঙ্গলবার দিনব্যাপী এই ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শত শত চক্ষু রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন। ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং ওয়াইএমসিএ-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাম্পের কার্যক্রম শুরু হয়, যেখানে বিনামূল্যে চোখ পরীক্ষা, চিকিৎসাপত্র, চশমা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়। চক্ষু শিবিরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে চক্ষুজনিত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা এবং তাদের যথাযথ চিকিৎসার আওতায় আনা। এ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় শতাধিক রোগী চক্ষু পরীক্ষা করান এবং তাদের মধ্যে দু’ডজন রোগীকে চোখের অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়। অপারেশনের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিদের পরবর্তী সময়ে বগুড়া মিশন হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সার্জারি করানো হবে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। চক্ষুসেবা নিতে আসা বয়োঃবৃদ্ধ মামুনুর রশিদ মামুন (৭০) জানান, এমন একটি সেবামূলক কার্যক্রম আমাদের জন্য কত বড় উপকার বয়ে এনেছে তা বলে বোঝানো যাবে না। আরেক এক প্রবীণ রোগী ময়না বেগম বলেন, অনেক বছর ধরে আমার চোখে ঝাপসা দেখার সমস্যা হচ্ছিল, কিন্তু টাকার অভাবে ভালো চিকিৎসা করাতে পারিনি। এখানে এসে চোখের পরীক্ষা করিয়েছি এবং বিনামূল্যে চশমা পেয়েছি। এটা আমার জন্য বিশাল উপকার। বগুড়া ওয়াইএমসিএ’র ইপকপ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বলেন, সারিয়াকান্দির কুতুবপুরে আয়োজিত চক্ষু শিবির দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য এক আশীর্বাদস্বরূপ। বিনামূল্যে চোখ পরীক্ষা, ওষুধ, চশমা পেয়ে এলাকার মানুষদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বয়ে গেছে। চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা প্রদানকারী মেডিক্যাল টিমের সদস্য প্যারামেডিকস অপথালটিকস মিঃ দীলিপ মারান্ডী বলেন, এখানে এসে বিভিন্ন বয়সী রোগীর চক্ষু পরীক্ষা করে দেখতে পাচ্ছি বেশিরভাগই ক্ষীণ দৃষ্টিসম্পন্ন, অথচ তারা বিষয়টি আগে বুঝতেই পারেননি। এ ছাড়া অনেকেরই অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে এবং কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে জটিল রোগ লক্ষ্য করা গেছে। বগুড়া চার্চ্চেস অব গড মিশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ডোনাল্ড দাস বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো এমন মানুষদের কাছে পৌঁছানো, যারা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে চোখের চিকিৎসা করাতে পারেন না।
বিশেষ করে যাদের অপারেশন বা দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন, তাদের জন্য আমরা আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে চাই। বগুড়া ওয়াইএমসিএ-এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যক্ষ বরার্ট রবিন মারান্ডী বলেন, চক্ষু শিবিরটি স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য এক বিশেষ সহায়তা প্রদান করে আসছে। আমরা দেখতে পাই, অনেক মানুষ শুধুমাত্র অর্থের অভাবে চোখের সঠিক চিকিৎসা করাতে পারে না, যা তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করে। তাই আমাদের এই উদ্যোগ শুধুমাত্র চিকিৎসা দেওয়া নয়, বরং তাদের নতুনভাবে স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দেওয়া। এ সময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া ওয়াইএমসিএ’র প্রেস সচিব আজাহার আলী, আইক্যাম্প সুপারভাইজার নজরুল ইসলামসহ প্রমুখ।