আমতলী (বরগুনা) : এভাবেই ভেকু দিয়ে কুকুয়া খালের মাটি কেটে পটুয়াখালীর প্রাইম ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে -সংবাদ
বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কুকুয়া খালের মাটি কেটে পটুয়াখালীর মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বাজারঘোনা প্রাইম ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ইটভাটার মালিক পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি বিএনপি নেতা নাশির উদ্দিন খন্দকার প্রভাবখাটিয়ে তার ম্যানেজার শাহারিয়ার মাদবরের মাধ্যমে মাটি কেটে নিচ্ছেন। এক জেলার খালের মাটি অন্য জেলায় বাসিন্দা প্রভাবখাটিয়ে তার ইটভাটায় নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দ্রুত খালের মাটি কেটে নেয়ার সঙ্গে জড়িত ইটভাটার মালিক নাশির উদ্দিন খন্দকার ও তার ম্যানেজার শাহারিয়ার মাদবরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
জানা গেছে, বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কেওয়াবুনিয়া এলাকা দিয়ে কুকুয়া খাল প্রবাহিত। ওই খালের দুই দিকে বাঁধ দিলে পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য নাশির উদ্দিন খন্দকার তার ম্যানেজার শাহারিয়ার মাদবরের মাধ্যমে মাটি কেটে তার প্রাইম ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা নিষেধ করলেও তিনি তা মানছেন না এমন অভিযোগ তাদের। এক জেলার খালের মাটি অন্য জেলায় নেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে, আমতলী উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে প্রভাবশালী ইটভাটার মালিকের নির্দেশে তার ম্যানেজার শাহারিয়ার মাদবর খালের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। ভেকু মেশিন দিয়ে গভীর করে মাটি কেটে নেয়ায় খালের পাড় ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করে বলেন, প্রাইম ইটভাটার মালিক পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি ও বিএনপি নেতা। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় তার ম্যানেজার শাহারিয়ার মাদবরের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না। গত কয়েকদিন ধরে তিনি খালের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এদিকে ওই খালের ওপরের সেতুটি দিয়ে মাটি বোঝাই ট্রলি চলাচল করায় ব্রীজটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। ব্রীজের ঢালাই ওঠে যাচ্ছে। দ্রুত এর সঙ্গে জড়িত ইটভাটার মালিক নাশির উদ্দিন খন্দকার এবং ম্যানেজার শাহারিয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভেকু মেশিন দিয়ে খালের মাটি কেটে ট্রলি গাড়ী বোঝাই করে পটুয়াখালী জেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বাজারঘোনা প্রাইম ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। খালের দুই পাশে বাঁধ দেয়া আছে। গভীর করে খালের মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে। এতে খালের পাড় ভেঙে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভেকু চালক বলেন, আমাকে শাহারিয়ার মাদবর মাটি কাটতে বলেছে, তাই আমি খাল থেকে মাটি কেটে ট্রলিতে বোঝাই করে দিচ্ছি। তিনি আরো বলেন, এসব মাটি পটুয়াখালীর বিএনপি নেতার প্রাইম ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় আরিফ সিকদার বলেন, বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া খালের মাটি পটুয়াখালী জেলার বাস মালিক সমিতির সভাপতি নাশির উদ্দিন খন্দকার প্রভাবখাটিয়ে তার ম্যানেজার শাহারিয়ার মাদবরের মাধ্যমে তার প্রাইম ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছেন। অনেক গভীর করে খালের মাটি কাটায় পানি প্রবেশ করা মাত্রই পাড় ভেঙ্গে যাবে। এতে এলাকার অনেক ক্ষতি হবে। তিনি আরো বলেন, এক জেলার খালের মাটি অন্য জেলার মানুষ কেটে নেবে এটা মেনে নেয়া যায় না। দ্রুত উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানান তিনি। স্থানীয় আশরাফ আলী বলেন, পটুয়াখালীর প্রাইম ইটভাটার মালিক নাশির উদ্দিন খন্দকার তার ইটভাটার ম্যানেজার শাহারিয়ার মাদবরের মাধ্যমে খালের মাটি কেটে নিচ্ছেন। খুব দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রাইম ইটভাটার ম্যানেজার শাহারিয়ার মাদবরের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি বিএনপি নেতা প্রাইম ইটভাটার মালিক নাশির উদ্দিন খন্দকার বলেন, স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে খালের মাটি কিনে নিয়েছি। সরকারী খালের মাটি কিভাবে আপনি কিনে নিয়েছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই খালটি রেকর্ডিও জমিতে। তাই আমার কাছে স্থানীয়রা মাটি বিক্রি করছেন। তিনি আরও বলেন, ওই জমিতে গত ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে চাষাবাদ হচ্ছে।
এই বিষয়ে কথা হলে কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার বলেন, বিষয়টি আমি আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। তিনিই এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ঘটনাস্থলে আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভুমি) পাঠানো হয়েছে। তিনিই এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, খালের মাটি কেটে নেয়ার বিষয়টি জেনেছি। এই ব্যাপারে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
আমতলী (বরগুনা) : এভাবেই ভেকু দিয়ে কুকুয়া খালের মাটি কেটে পটুয়াখালীর প্রাইম ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে -সংবাদ
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কুকুয়া খালের মাটি কেটে পটুয়াখালীর মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বাজারঘোনা প্রাইম ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ইটভাটার মালিক পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি বিএনপি নেতা নাশির উদ্দিন খন্দকার প্রভাবখাটিয়ে তার ম্যানেজার শাহারিয়ার মাদবরের মাধ্যমে মাটি কেটে নিচ্ছেন। এক জেলার খালের মাটি অন্য জেলায় বাসিন্দা প্রভাবখাটিয়ে তার ইটভাটায় নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দ্রুত খালের মাটি কেটে নেয়ার সঙ্গে জড়িত ইটভাটার মালিক নাশির উদ্দিন খন্দকার ও তার ম্যানেজার শাহারিয়ার মাদবরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
জানা গেছে, বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কেওয়াবুনিয়া এলাকা দিয়ে কুকুয়া খাল প্রবাহিত। ওই খালের দুই দিকে বাঁধ দিলে পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য নাশির উদ্দিন খন্দকার তার ম্যানেজার শাহারিয়ার মাদবরের মাধ্যমে মাটি কেটে তার প্রাইম ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা নিষেধ করলেও তিনি তা মানছেন না এমন অভিযোগ তাদের। এক জেলার খালের মাটি অন্য জেলায় নেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে, আমতলী উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে প্রভাবশালী ইটভাটার মালিকের নির্দেশে তার ম্যানেজার শাহারিয়ার মাদবর খালের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। ভেকু মেশিন দিয়ে গভীর করে মাটি কেটে নেয়ায় খালের পাড় ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করে বলেন, প্রাইম ইটভাটার মালিক পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি ও বিএনপি নেতা। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় তার ম্যানেজার শাহারিয়ার মাদবরের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না। গত কয়েকদিন ধরে তিনি খালের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এদিকে ওই খালের ওপরের সেতুটি দিয়ে মাটি বোঝাই ট্রলি চলাচল করায় ব্রীজটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। ব্রীজের ঢালাই ওঠে যাচ্ছে। দ্রুত এর সঙ্গে জড়িত ইটভাটার মালিক নাশির উদ্দিন খন্দকার এবং ম্যানেজার শাহারিয়ারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভেকু মেশিন দিয়ে খালের মাটি কেটে ট্রলি গাড়ী বোঝাই করে পটুয়াখালী জেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বাজারঘোনা প্রাইম ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। খালের দুই পাশে বাঁধ দেয়া আছে। গভীর করে খালের মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে। এতে খালের পাড় ভেঙে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভেকু চালক বলেন, আমাকে শাহারিয়ার মাদবর মাটি কাটতে বলেছে, তাই আমি খাল থেকে মাটি কেটে ট্রলিতে বোঝাই করে দিচ্ছি। তিনি আরো বলেন, এসব মাটি পটুয়াখালীর বিএনপি নেতার প্রাইম ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় আরিফ সিকদার বলেন, বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া খালের মাটি পটুয়াখালী জেলার বাস মালিক সমিতির সভাপতি নাশির উদ্দিন খন্দকার প্রভাবখাটিয়ে তার ম্যানেজার শাহারিয়ার মাদবরের মাধ্যমে তার প্রাইম ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছেন। অনেক গভীর করে খালের মাটি কাটায় পানি প্রবেশ করা মাত্রই পাড় ভেঙ্গে যাবে। এতে এলাকার অনেক ক্ষতি হবে। তিনি আরো বলেন, এক জেলার খালের মাটি অন্য জেলার মানুষ কেটে নেবে এটা মেনে নেয়া যায় না। দ্রুত উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানান তিনি। স্থানীয় আশরাফ আলী বলেন, পটুয়াখালীর প্রাইম ইটভাটার মালিক নাশির উদ্দিন খন্দকার তার ইটভাটার ম্যানেজার শাহারিয়ার মাদবরের মাধ্যমে খালের মাটি কেটে নিচ্ছেন। খুব দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রাইম ইটভাটার ম্যানেজার শাহারিয়ার মাদবরের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি বিএনপি নেতা প্রাইম ইটভাটার মালিক নাশির উদ্দিন খন্দকার বলেন, স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে খালের মাটি কিনে নিয়েছি। সরকারী খালের মাটি কিভাবে আপনি কিনে নিয়েছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই খালটি রেকর্ডিও জমিতে। তাই আমার কাছে স্থানীয়রা মাটি বিক্রি করছেন। তিনি আরও বলেন, ওই জমিতে গত ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে চাষাবাদ হচ্ছে।
এই বিষয়ে কথা হলে কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার বলেন, বিষয়টি আমি আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। তিনিই এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ঘটনাস্থলে আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভুমি) পাঠানো হয়েছে। তিনিই এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, খালের মাটি কেটে নেয়ার বিষয়টি জেনেছি। এই ব্যাপারে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।