মহান ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনার নেই ১৭০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় ২৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৭০ টিতে ভাষা শহীদদের স্মরণে নেই কোনো শহীদ মিনার। প্রতি বছর ভাষার মাস এলেই এ নিয়ে কথা হয়, আলাপ আলোচনা হয় কিন্তু কার্যকরী কোনো পদক্ষেপের অভাবে আর বাস্তবায়ন হয় না। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস পালন করা হতো। বর্তমানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও পালন করা হয়। সরকারিভাবে প্রতিবছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা ২১ ফেব্রুয়ারি পালনেও অভ্যস্ত। এত কিছুর পরও উপজেলার ১৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে আজও নির্মিত হয়নি কোনো শহীদ মিনার। মাত্র ৬৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে। এর মধ্যে আবার অনেক শহীদ মিনার অযত, অবহেলা ও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মহেশপুরে ১৫২টির মধ্যে সরকারি প্রাইমারি স্কুলের মাত্র ২২টিতে শহীদ মিনার রয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল আছে ৮৪টি। এর মধ্যে শহীদ মিনার আছে ৪২টিতে, ২৫টি মাদ্রাসার কোনোটিতে শহীদ মিনার নেই, ১০টি কলেজের মধ্যে মহেশপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ বাদে ৯টিতে শহীদ মিনার আছে। সব মিলিয়ে ২৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৬৫টিতে শহীদ মিনার অছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দিনেশ চন্দ্র পাল বলেন, যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য উপর থেকে নির্দেশনা আসছে পরিষদে এটা ওঠানো হয়েছে। পরিষদ থেকে এটা করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে আমরা জোরালো কোনো পদক্ষেপ পাই নাই। সে কারণে আমরা কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য সরকারি নির্দেশনা আছে কিন্তু বরাদ্দ নেই তবে আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নিয়েছি।
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
মহান ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনার নেই ১৭০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় ২৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৭০ টিতে ভাষা শহীদদের স্মরণে নেই কোনো শহীদ মিনার। প্রতি বছর ভাষার মাস এলেই এ নিয়ে কথা হয়, আলাপ আলোচনা হয় কিন্তু কার্যকরী কোনো পদক্ষেপের অভাবে আর বাস্তবায়ন হয় না। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস পালন করা হতো। বর্তমানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও পালন করা হয়। সরকারিভাবে প্রতিবছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা ২১ ফেব্রুয়ারি পালনেও অভ্যস্ত। এত কিছুর পরও উপজেলার ১৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে আজও নির্মিত হয়নি কোনো শহীদ মিনার। মাত্র ৬৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে। এর মধ্যে আবার অনেক শহীদ মিনার অযত, অবহেলা ও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মহেশপুরে ১৫২টির মধ্যে সরকারি প্রাইমারি স্কুলের মাত্র ২২টিতে শহীদ মিনার রয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল আছে ৮৪টি। এর মধ্যে শহীদ মিনার আছে ৪২টিতে, ২৫টি মাদ্রাসার কোনোটিতে শহীদ মিনার নেই, ১০টি কলেজের মধ্যে মহেশপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ বাদে ৯টিতে শহীদ মিনার আছে। সব মিলিয়ে ২৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৬৫টিতে শহীদ মিনার অছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দিনেশ চন্দ্র পাল বলেন, যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য উপর থেকে নির্দেশনা আসছে পরিষদে এটা ওঠানো হয়েছে। পরিষদ থেকে এটা করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে আমরা জোরালো কোনো পদক্ষেপ পাই নাই। সে কারণে আমরা কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য সরকারি নির্দেশনা আছে কিন্তু বরাদ্দ নেই তবে আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নিয়েছি।